যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের পর দেশে অসহযোগ আন্দোলন চালু ছিল। এই সময় রেডিও পাকিস্তান ঢাকা পাকিস্তান সরকারের নির্দেশ অমান্য করে নিজেদের মত অনুষ্ঠান সাজিয়ে এবং দেশাত্ববোধক সংগ্রামী গানের প্রচারণা বাড়িয়ে দিয়ে দেশ জুড়ে একটি ভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিল। সে সময় তারা পাকিস্তান সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে অনেক সংবাদ পরিবেশন করেছে। এটা আজ ইতিহাস যে ঢাকা রমনা রেসকোর্স থেকে শেখ মুজিবর রহমান এর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ রেডিও পাকিস্তান ঢাকা সরাসরি সম্প্রচার করেছিল।
আমি তখন জেলা শহর যশোরে বাস করি। উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র, অর্থাৎ কলেজে পড়ি। ছাত্র রাজনীতির সাথে গভীর ভাবে সম্পর্কিত। বৃহত্তর যশোর জেলায় রাজনৈতিক মহলে মোটামুটি পরিচিত মুখ। বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানায় ১৯৬৯-৭০ এ যে আঁখচাষী আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনের কথা যারা জানেন তারা আরো ভাল বুঝতে পারবেন তরুনরা সাহসী এবং উদ্যোমী হলে কত কি করতে পারে।
১৯৭১ এর মার্চে যশোরে আমরা দুটি বিষয় লক্ষ্য করছিলাম। একটি হল গুন্ডাদের উপদ্রব এবং প্রশাসনের সাথে বিশেষ করে জেলার সামরিক প্রশাসনের সাথে পাকিস্তানপন্থী মুসলিমলীগ, জামাত, পিডিপি এবং মোহাজের বিহারী নেতাদের ঘন ঘন বৈঠক। এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৪৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর ভারত থেকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে যে সমস্ত মোহাজের বিহারীদের আগমন হয়েছিল তাদের প্রধান প্রধান বসতি গড়ে উঠেছিল খুলনা, যশোর, ঈশ্বরদি, সৈয়দপুর এবং ঢাকায়। ফলে সেই সময় যশোর শহরে অনেক বিহারীর বসবাস ছিল।
বিহারীদের মধ্যে প্রায় সবাই পাকিস্তানপন্থী হলেও কিছু সংখ্যক বিহারী ছিল যারা পাকিস্তানপন্থী ছিল না বরং আমাদের সাথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিল এবং স্বাধীন প্রগতিশীল একটি পূর্ব বাংলা বা বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতো।
এদের মধ্যে আমার দু'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল, যারা আবেগতাড়িত হয়েই হোক আর ঐতিহাসিক কারনেই হোক বিহারকে বৃহত্তর বাংলার অংশ বলে মনে করতো। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সেই নাঈম এবং শাহজাহান এখন রিফিউজি হয়ে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে পাকিস্তানের করাচীতে বসবাস করে। বিহারীদের মধ্যে আনোয়ার নামে এক সিনিয়র বড় ভাই ছিলেন আরো সচেতন। বাংলায় বক্তৃতা করতে পারতেন না বলে সামনে থাকতেন না। কিন্তু ছাত্র রাজনীতিতে সংক্রিয় সংগঠক ছিলেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ যোগ দেয়ার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি যশোর শহরের পুরানো পরিচিত কয়েকজন দুর্বৃত্তদের দেখা পেয়ে তাদের বন্ধু মনে করে তাদের পাল্লায় পড়েন। তারা কৌশলে আনোয়ার ভাইকে দিয়ে তার বাবার কাছে কয়েক হাজার টাকা চেয়ে একটি চিঠি লিখিয়ে নিয়ে তার টাকা-পয়শা, ঘড়ি এবং মূল্যবান সামগ্রী কেড়ে নিয়ে ভারতের মাটিতে আনোয়ার ভাইকে খুন করে । শুধু তাই নয় আনোয়া ভাইয়ের বাবা চিঠি পেয়ে সেই জামানায় আনোয়ার ভাইয়ের জন্য এক হাজার (১০০০) পাসকস্তানী টাকা পাঠিয়েছিলেন। দুর্বৃত্তরা সেই টাকা মেরে দিয়ে, আনোয়ার ভালো আছে মর্মে বন্ধৃ সেজে বাংলায় তার বাবাকে বংলাদেশে চিঠি লিখেছিল।
কারণ তারা উর্দূ লিখতে জানতো না। এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কী হতে পারে?
যাক, গুন্ডা উপদ্রব প্রসঙ্গে আসি। ঐ সময় জেলা শহরগুলিতে কিছু কিছু প্রভাবশালী পরিবারে দু’একজন করে দুর্বৃত্ত প্রকৃতির যুবক ছিল যারা শহরে আজকালকার মাস্তান চাঁদাবাজদের মত গুন্ডা হিসাবে পরিচিত ছিল। মুসলিম লীগসহ কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের কাছে এই সব গুন্ডাদের কদর সমাদর ছিল। এইসব দলের প্রশ্রয়ে থেকে তারা নানা ধরনের দুষ্কর্ম করে বেড়াতো।
১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ চলাকালে এইসব গুন্ডাদের দুর্বৃত্তমূলক অত্যাচার সীমাহীন ভাবে বেড়ে গিয়েছিল। ২৪ মার্চ ১৯৭১ রাতে এক প্রভাবশালী পরিবারের এইরূপ এক দুর্বৃত্ত সদলবলে আমাদের পরিচিত বস্তিবাসী এক রিকসা চালকের স্ত্রীকে অপহরণ করে নির্যাতন করেছিল। ঘটনাটি জানার পর প্রকৃত অর্থে আমাদের মাথায় খুন চেপে গিয়েছিল। এই দুর্বৃত্তকে কি করা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে ২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতে যশোর জেলা স্কুলের মাঠে আমরা চার বন্ধু বৈঠকে বসেছিলাম। একজন ঠিক বন্ধু নয়, আমাদের দু'এক বছরের সিনিয়র।
রাতের বেলায় মাঠে বসার কারণ হ’ল মার্চের গরমে খোলা মাঠে আরামদায়ক ঠান্ডা বাতাসে বসে কথা বার্তা বলা। বাড়ীর আশেপাশে খোলামাঠে রাতের বেলা ঠান্ডা বাতাসে বসে গল্প-সল্প করা তখনকার দিনে খুবই সাধারণ রেওয়াজ ছিল। এভাবে এম এম কলেজ এবং জেলা স্কুলের মাঠে গরমের দিনে আমরা প্রায়ই বসতাম। মাঝে মাঝে পাড়ার মুরুব্বী মহিলারাও এভাবে দলবেঁধে বসে গল্প করতো।
প্রশাসনের সাথে পাকিস্তানপন্থী নেতাদের ঘন ঘন বৈঠকের পাশাপাশি বিহারী সম্প্রদায়ের মধ্যে তখন এক ধরনের আতঙ্ক লক্ষ করা গিয়েছিল।
২৩শে মার্চ ১৯৭১ ছিল পাকিস্তানের জাতীয় দিবস। তাই ২২ মার্চ রাতে আমরা কয়েক বন্ধু স্বাধীন পূর্ববাংলার দাবীতে একটি লিফলেট বিতরণ করতে রাতে শহরে বের হয়েছিলাম। তখনকার দিনে এই ধরনের লিফলেট দিনে বিতরণ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আর স্বাধীন পূর্ববাংলা এজন্য যে, তখনো পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের দাবীটি লোকায়ত ধারনার অন্তর্ভূক্ত হয়নি। কারণ তখনো পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের জন্য দেনদরবার চলছিল।
লিফলেট বিতরণ শেষে বাসায় ফেরার পথে আমি একটি বিহারী বাড়ীর বাইরের বাশেঁর চটার গেট খুলে ফুল বাগানের ভিতর দিয়ে অর্ধেক পথও এগুতে পারিনি, এমন সময় হঠাৎ বাড়ীর সকল লাইট জ্বলে উঠল এবং বাড়ীর মালিক শুকুর সাহেব (আমার পরিচিত পিতৃতুল্য, যিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন).. “কে? কে? কোন হ্যায়....” বলে চিৎকার শুরু করে দিলেন। তার সাথে বাড়ীর অন্যরাও চিৎকার শুরু করে দিলেন। এক সাথে সব লাইট জ্বলে উঠলো। সেখানে ঢুকার সময় আমি লক্ষ্য করিনি যে সমস্ত লাইট বন্ধ ছিল। যাই হোক আমাকে দেখে এবং চিনতে পেরে তাদের হৈচৈ শেষ পর্যন্ত থামলো।
ঐ বাড়ীর এক ছেলে নাম মোর্তজা আমাদের সিনিয়র ছিলেন (তিনি এখন বাংলাদেশে, যশোরেই আছেন)। তিনি রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সমর্থক ছিলেন। আমি ঐ বাড়ীতে তার কাছেই গিয়েছিলাম। তাদের হৈ চৈ চিৎকার এবং কথাবার্তা শুনে বুঝতে পারলাম যে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিহারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি এবং আমার বন্ধুরা তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হয়েছিলাম।
২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতে যখন আমরা যশোর জেলা স্কুলের মাঠে, তখন রাত আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটের সময় পাকিস্তান আর্মির চারটি বড় বড় গাড়ী বেশ দ্রুততার সাথে জেলা স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়ে (যে রাস্তাটি এখন মুজিব সড়ক নামে পরিচিত) রেলগেট বিহারী কলোনীর দিকে চলে গেল। এর একটু পরেই বিহারী কলোনীর দিক থেকে ঢাক, ঢোল, বাঁশী এবং মানুষের হৈ চৈ শব্দের আওয়াজ পাওয়া গেল। আমরা রাস্তার পাশে এসে কী হয়েছে তা দেখার চেষ্টা করলাম। দেখলাম বৈরাগীদের আম বাগানের দক্ষিণে, ঠিক যেখান থেকে বিহারী কলোনী শুরু সেখানে, রাস্তার ডান পাশে (পশ্চিম পাশে) ছোট আকারে আগুন জ্বলছে। কিছু একটা বিপদ আঁচ করতে পেরে আমরা চার বন্ধু তখনই যে যার বাড়ীর দিকে রওয়ানা হলাম।
তখনকার সময়ে যশোর শহরের অলি-গলি, আগান-বাগান, চোরাপথ সবই আমাদের চেনা ছিল বলে বাসায় ফিরতে কোন কষ্ট হয় নি। অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে রাতে বাসায় ঘুমুইনি। পরদিন সকালে বাসায় ফিরে আসার পথে শুনলাম আমাদের পাড়ার এক বড় ভাই, নাম গজনবী, যিনি ইপিআর-এ (স্বাধীনতার পরে বিডিআর) চাকরি করতেন, তাকে পাকিস্তান আর্মি বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। বাসায় এসে হাতমুখ ধুয়ে গোছল সারতে সারতে আমার বাবার কাছে যশোর কালেক্টরেট (ডিসি অফিস) এর একজন পিয়ন এসে সংবাদ দিয়ে গেল গজনবী ভাই এবং আরো নয়জন লোককে (মোট ১০ জন) কালেক্টরেট বিল্ডিং এর সামনে মাঠে দাঁড় করিয়ে পাকিস্তান আর্মি গুলি করে হত্যা করেছে। ভয়ানক একটি দু:সংবাদ।
আমার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি পাকিস্তানীদের চরিত্র ভাল করে বুঝতেন। তিনি আমাকে অনুনয়ের সুরে বললেন, “বাবা তুমি শহর ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাও। সময়টা ভাল না এবং সামনে মনে হয় সমূহ বিপদ”।
এর মাঝে খবর এলো কে একজন আমাদের পাড়ায় এসে খোজ নিয়ে গিয়েছে যে, আমি এবং ইমান আলী মাষ্টার সাহেব বাড়ীতে আছি কি না।
ইমান আলী মাষ্টার সাহেব তখন কৃষক সমিতি করতেন, সর্বশেষ কৃষক সংগ্রাম সমিতির সভাপতি ছিলেন, সম্প্রতি প্রয়াত।
শহর ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। প্রথমে অন্যান্য বন্ধুদের খবর পাঠাতে হবে। কে কোথায় যাচ্ছি বা যাবো, পরে কোথায় মিলিত হ’ব। ইত্যাদি।
আমাদের পাড়ায় আমাদের একটি ভক্ত বাহিনী ছিল। সবাই ক্লাস ফাইভ, ছিক্স, সেভেন এ পড়তো। এরা কিশোর, আমাদের সাথে ২১শের প্রভাত ফেরীতে যেত, মিছিলে যেত, আমরা পোষ্টার লিখতাম, তারা দেয়ালে লাগাতো, ইত্যাদি। তাদের ডাকলাম, কাকে কাকে খবর দিতে হবে, চিঠি দিতে হবে, কী বলতে হবে, সব বুঝিয়ে প্রস্তুতি শেষ করলাম। সব শেষে হাকিম, রিক্সা চালক আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সারা রাত শহরে পোষ্টার সাটা আর চিকা মারার বিশ্বস্ত সহযোগী।
সে আমাদের সাথে আসছে না, তার চোখ ছল ছল করছে। আমিও অবেগাপ্লুত হয়ে বিদায় নিলাম, বিলস্ব করার মত সময় নাই। মা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, কাছে ডাকলেন, পরম আদরে মাথায় হাত বুলালেন, হাতে বিশটি টাকা গুজে দিলেন।
কিন্তু কারফিউর মধ্যে পাকিস্তান আর্মির প্রচন্ড আনাগোনা, শহর থেকে পালাই কি করে? শেষ পর্যন্ত বেলা পৌনে একটার দিকে আমি এবং ইমান আলী মাষ্টার সাহেব শহর থেকে বেরনোর অভিযান শুরু করলাম। বহু কষ্টে অলি-গলি চোরাপথ ধরে, তিন চারটি ঝুকিপূর্ণ রাস্তা অতিক্রম করে বিকেল সাড়ে ৩:০০ টার দিকে আমরা যশোর শহরের উত্তর-পশ্চিম দিকে ডাকাতিয়া নামে একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হলাম।
আসার পথে নোয়াদা গ্রামের গোলাম মোস্তফা, আমার স্কুল জীবনের এক সহপাঠী, আর একজন লোককে সাথে নিয়ে সাইকেলে করে আমাদের খানিকটা পথ এগিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকে ভৈরব নদ পার হয়ে ফতেপুর ও কানিজপুর হয়ে বারীনগরের যশোর-ঝিনাইদহ রাস্তা পার হয়ে টীয়েরডাঙ্গা নামে একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছালাম। ভৈরব নদ পার হতে সাহায্য করেছিল ডাকাতিয়া গ্রামের আমিন উদ্দিন সাহেবের পুত্র এবং ভাইপো। আমিন উদ্দিন সাহেব যশোর সি এণ্ড বি অফিসে চাকরী করতেন। রাতে আশ্রয় নিয়েছিলাম আমার বড় ভাইয়ের শ্বশুরের গ্রামের বাড়ী এনায়েতপুর গ্রামে।
কিন্তু ঘুম? সে তো সে দিন আসে নি! সেখানে দুই দিন ছিলাম।
এনায়েতপুরে থাকতেই টীয়েরডাঙ্গায় একটি ছোট কালভার্টের উপর গ্রামের লোকদের সাথে গোধুলী লগ্নে রেডিওতে শেখ মুজিবর রহমান সাহেবের পক্ষে দেয়া মেজর জিয়ার ভাষণটি শুনেছিলাম। সম্ভবত ২৭ মার্চ। তবে ভাষণটি পুনঃপ্রচার ছিল। ভাষনটি চট্টগ্রাম থেকে না বিদেশী কোন রেডিওর পুণঃপ্রচার ছিল তা সঠিক বলতে পারবো না।
ভাষনটি খুবই সংক্ষিপ্ত এবং ইংরেজীতে ছিল। কয়েকদিন পর একই ভাষনের একটি বাংলা ভার্সানও রেডিওতে শুনেছিলাম। ভাষণে মেজর জিয়া কি বলেছিলেন তা আমার মুখস্ত নয়। তবে অনেক বইতে ছাপা হয়েছে। আমি সেখান থেকে কপি-পেস্ট করতে পারতাম।
সেটাও করলাম না। কারণ ঐ ভাষণটি এখন সবাই জানে। তবে তিনি যে ঘোষণাটি শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে দিয়েছেন সেটি আমার নিজের কানে শোনা। এই ভাষনটি আরো যারা শুনেছিলেন তাদের কেউ কেউ এখনও বেঁচে আছেন।
পরে জেনেছিলাম, ২৫ মার্চ রাতে বিহারী কলোনীতে হৈ চৈ আগুন লাগানোর ঘটনাটি যশোর শহরে পাকিস্তান আর্মির অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য সাজানো একটি প্লট ছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।