আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিনব পন্হায় বিলেত যাত্রা

!!!

বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডনে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। এই বিষয়ে বেশ কয়েকজন ব্লগার ব্লগে লিখেছেন। ব্লগে একটা লেখায় দেখেছি গত ৬ মাসে বাংলাদেশ থেকে ১৮-২০ হাজার স্টুডেন্ট গেছেন। আবার যেতে আগ্রহী এমন একজন তরুণ আমার কাছে জানিয়েছেন এই সংখ্যাটা ৩০ হাজার!!! এইসব তরুণরা জেনে বা না জেনে যাচ্ছেন এবং গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষত কাজ না পাওয়ার দরুন খুব কষ্টে এখন তাদের দিন কাটছে।

লন্ডনগামী এসব তরুণদের ভিসা পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে দেশে ঘটছে নানা ঘটনা। তার মধ্যে দু’টো শেয়ার কললাম আপনাদের সাথে। ১ম ঘটনা: বৃহত্তর সিলেটের একটি থানায় বেশ কিছু বনেদী লন্ডনী রয়েছেন। বনেদী বলতে বুঝাচ্ছি পুরানো লন্ডনী এবং অর্থের দিক থেকে বিত্তশালী। এদের মধ্যে একটি পরিবার এই ভিসা প্রক্রিয়ায় ব্যবসার মাধ্যমে না কি ৮/১০ কোটি টাকা কামাই করে ফেলেছেন।

কীভাবে? ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শর্তের মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে আবেদনকারীকে ১০লাখ টাকা ৩৫দিনের জন্য ব্যাংক একাউন্টে দেখাতে হয়। সেটা অনেকের জন্য ম্যানেজ করা সম্ভবপর হয়ে উঠেনা। তো এক্ষেত্রে এই পরিবার আবেদনকারীকে অর্থ ধার দেন ৩৫দিনের জন্য এবং তার পূর্বেই তাদের হাতে চলে আসে নগদ আড়াই লাখ টাকা !!! কেউ কারোর সাথে যাতে বিট্রে করতে না পারেন সেজন্য কিছু নিরাপদ ব্যবস্হা নিয়ে রাখা হয়। যেমন -যার একাউন্টে টাকা রাখা হয় তিনি, অর্থাৎ আবেদনকারী, যাতে টাকা তুলে ফেলতে না পারেন সেজন্য ব্যাংকের চেক বই অর্থলগ্নকারীর হেফাজতে দিয়ে দেয়া হয় ইত্যাদি। খুব সহজে অর্থ কামাইয়ের পন্হা, নয় কি? কিছু ব্যাংক না কি এই বিষয়ে অনিয়ম করায় বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

২য় ঘটনা: সম্প্রতি একজন আবেদনকারী বৃটিশ হাইকমিশনে গেলে তার আবেদনে কিছু ভুল আছে মর্মে তাকে জানানো হয়। এবং ভুল সংশোধন করে আবার আসার জন্য ডেট দেয়া হয়। আবেদনকারী পুনরায় নির্দিষ্ট তারিখে হাইকমিশনে উপস্হিত হলে তাকে ভিসা দেয়া সম্ভব নয় মর্মে জানিয়ে দেয়া হয়। কেন? কারণ জেনে আবেদনকারী হতবাক। তাকে জানানো হলো তার পাবলিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিয়ে আরো একজন ব্যক্তি কিছুদিন আগে লন্ডন চলে গেছেন।

কিন্তু আবেদনকারী যে সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন সেটা তো তার নিজের। তবে অন্যজনের এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করা কীভাবে সম্ভব? জানা গেল আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য। সিলেট শহরে এই ভিসা পাইয়ে দেয়ার নাম করে বেশ কিছু কনসালট্যান্সী ফার্ম গজিয়েছে। সবকাজে তারা পারদর্শী। না হলে আর কনসালট্যান্সি কিসের? ইংল্যান্ডের কলেজের ভর্তির অফার লেটার পেতে হলে সার্টিফিকেট লাগে।

তো যাদের এই সব সনদ নেই অর্থাৎ ফেল্টুস তাদের জন্য ফার্মগুলোর রয়েছে স্পেশাল আয়োজন। তারা শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগসাজশে বের করে ফেলছে একদম আসল সার্টিফিকেট। এক্ষেত্রে এসএসসি’র জন্য ১/২ লাখ এবং এইচএসসি’র জন্য ২/৪ লাখ টাকা প্রয়োজন। যার নামে সার্টিফিকেট তার নামে বের করা হচ্ছে পাসপোর্ট। তারপর হাইকমিশনকে বোকা বানিয়ে দিয়ে উঠে পড়া বিলেতের প্লেনে।

অতএব লন্ডনে যেতে আগ্রহীরা নেমে পড়ুন এখুনি মাঠে। তবে লন্ডনে গিয়ে কাজ না পেলে আমায় দোষ দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আগেই যোগাযোগ করে নিন আমাদের লন্ডন প্রবাসী ব্লগারদের সাথে _____________________________________________ পাদটীকা: উপরের ঘটনা আমার শুনাকথা। অতএব শুনাকথায় কান দিবেন কি না তার দায় দায়িত্ব আমার নয় কিন্তু

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।