আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষা বাজারে আগুন। এবার শিশুরাও আক্রান্ত।

অনেক হাসি-কান্না মিথ্যা হতে পারে কিন্তু প্রতিটি দীর্ঘশ্বস'ই সত্য।
চাল, আলু কিংবা চিনির বাজার দর বাড়লে বিভিন্ন চ্যানেল ক্যামেরাসহ বাজারে হাজির হয়, বাণিজ্য মন্ত্রিকেও দেখা যায় সেই ভিড়ে। পেটের ভাবনা আগ্রাধিকার পাবে এটাই স্বাভাবিক, তাই বলে শিক্ষার গুরুত্ব কি কখনই বুঝবে না এই জাতি? শিক্ষা এখন পণ্যে পরিণতও হলেও সব্জি বা নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্যের সমান মর্য়াদাও পেল না। গতকাল একটা মানব বন্ধন হয়ে গেল ঢাকায়। স্বল্প মুল্যে নয়, স্বাভাবিক মুল্যে শিক্ষা গ্রহনের দাবীতে (প্রচারের জন্য আরটিভি কে ধন্যবাদ)।

কিন্তু আজকে কোন পত্রিকায় খবরটা দেখলাম না। কোমলমতি শিশুরা বুকে প্লাকার্ড নিয়ে হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। সাথে বাব-মায়েরাও ছিলেন। প্লাকার্ডে লেখা ছিল “মাননীয় প্রধানমন্ত্রি আমাদের অসহায় বাবা'দের বাঁচান, আমাদের শিক্ষার সুযোগ দিন” ইত্যাদি। আরটিভির সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া অভিভাবকদের বক্তব্য থেকে জানতে পারলাম বেসরকারী স্কুল গুলো ছাত্র-ছাত্রিদের মাসিক বেতন ১২০% বৃদ্ধি করেছে।

আগে যে ছাত্রকে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা দিতে হত তাকে এখন ৪২০০ টাকা দিতে হবে। দুই শিশুর পিতাকে শুধু বেতন বাবদ দিতে হবে ৮৪০০ টাকা, বাই-খাতা ও অন্যান্য উপকরনের খরচ তো আছেই। এই শিশুরা কি প্রধান মন্ত্রি বা শিক্ষা মন্ত্রির দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে, না কি শিক্ষা মন্ত্রির “কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে” এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে ?? হয়ত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্ত যদি না হয়, তাহলে শিশু অধিকার মানবাধিকার নিয়ে গলাফাটানো মিডিয়াগুলো কি তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারবে? এতদিন ঝরে পড়া শিক্ষার্থী শুনলে গ্রামের স্কুল গুলোর কথা মনে পড়তো, এখন কি শহরেও শুরু হবে ঝরে পড়া? এভাবে কুঁড়িতেই ঝরে পড়লে ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ পাবো আমরা ???
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.