আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিডিয়ায় পাখি নেই, মশারাই খ্যাতির শিখরে



মিডিয়ায় পাখি নেই, মশারাই খ্যাতির শিখরে রিঙকু অনিমিখের লেখাটি পড়ে ভাল লাগল এবং একটি মন্তব্য লিখতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু এখনো আমরা ব্লগের নিরাপদ ব্লগার নই। তাই তো নিজের ব্লগেই মন্তব্য লিখছি। .......... রিঙকু অনিমিখ লিখেছেন: আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোতে অপূর্ব নামের এক জোড় ভ্রু’র আবির্ভাব ঘটেছে বছর কয়েক হলো। প্রায় ধারাবাহিকেই তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

সে নাকি আবার অনেক তরুণীরই ন্বপ্নপুরুষ। তরুণীরা যে জোড়া ভ্রু এতটা পছন্দ করে আগে জানতাম না। যদিও সেইসব তরুণীদের রুচি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যায়। যা হোক; এই জোড় ভ্রু ওলা মহান অভিনেতাকে কোন এক চ্যানেলে একবার এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, ‘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। ’ অনুষ্ঠানটি ছিলো তারকাদের নিয়ে একটি কুইজ অনুষ্ঠান।

ভাবা যায়, এই সিম্পল প্রশ্নটির উত্তর সেদিন সে দিতে পারেনি! যা ক্লাস সিক্স থেকেই একজন মানুষের (বাঙালির) জানা থাকার কথা। তার চেয়েও বড় কথা, একজন সাংস্কৃতিক জগতের মানুষের কাছ থেকে এরকম অসাংস্কৃতিকসূলভ আচরণ কেউই প্রত্যাশা করে না। বরঙ আমি মনে করি, এ জাতীয় তথ্য না জানা থাকলে বাঙালির বাঙালিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যারা সংস্কৃতি মনা মানুষ তারা এই ঔদ্ধত্বকে কি করে বর্দাস্ত করবো। মিডিয়ায় কম জানা, অপাঠক, মুর্খ সর্বোপরি অসাংস্কৃতিক লোকজনের ভিড় যে ক্রমাগত বাড়ছে সে ব্যাপারটা আমাদের কাছে আরো একবার পরিষ্কার হয়ে যায়।

এবঙ সেইসব পরিচালকদের কুরুচি, ফালতু দৃষ্টিভঙ্গী, আত্মমর্জাদা ও আত্মসম্মানহীনতার বিষয়টাও আমাদের কাছে অজানা থাকে না, যারা এইসব মুর্খ, অসাংস্কৃতিক লোকদেরকে দিয়ে অভিনয় করানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। প্রসঙ্গক্রমে, কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের একটি কবিতার কথা মনে পড়ে গেলো- “...মিডিয়ায় পাখি নেই, মশারাই খ্যাতির শিখরে। দুয়ারে ধর্মের ষাঁড়, উলুবনে চামচিকা ওড়ে। আমার মন্তব্য: আমার এক মামা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় পাশ করে একটি টিভি চ্যানেলে সাংবাদিকতা করেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছেন।

ঈদের পরদিন একটি চ্যানেলে অপূর্ব নামের আলোচিত এই নায়কের নাটক চলছিল। হঠাৎ কথায় কথায় আমার ঐ মামা বলে ফেললেন তার লেখাপড়ার কথা। অপূর্ব নাকি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। বাবার অঢেল অর্থের কারণেই নাকি সে মিডিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে। এ কথা শোনার পর থেকে তার প্রতি খারাপ ধারণা হয়েছিল।

আর আজ রিঙকু ভাইয়ের লেখা পড়ে প্রতিজ্ঞা করলাম--ঐ মূর্খের অভিনয় আর দেখব না। আমার লেখা প্রথম পাতায় ছাপা হবে না। তাই জানি না কেউ পড়বেন কিনা। মিষ্টি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.