আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনুভূতির চিঠি (ডায়েরির পাতা থেকে)

ধন্যবাদ তোমাকে হে পৃথিবী,তুমি তোমার জঠরে ৯ মাস অসম্ভব জন্ত্রনা নিয়ে জন্ম দিয়েছ আমার মা বাংলাকে! তোমার সেই মেয়ের জঠরে আমি ছিলাম ৯ মাস,ধন্যবাদ আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কে,তার ইচ্ছাতেই সব হয়েছে !!
প্রিয় মা বীরাঙ্গনা গুরুদাসী’রা শুরুতেই তোমাদের বীরাঙ্গনা বলেছি বলে কষ্ট পেয়োনা কেননা ওটা খুব গর্বের পরচিয়। মা,জানিনা তোমরা কোথায় আছো কেমনই বা আছো। কোন দিন তোমাদের খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি,তোমাদের কথা জেনেছি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ে,জেনেছি তোমাদের উপর অমানুষিক নির্যাতণ করা হয়েছিল,দিনে নিদেন পক্ষে ৮০ বার। সেই কাহিনী পড়েছি আর চোখের সামনে ভেসে উঠেছে ঘর ভর্তি বিবস্ত্র,রক্তাক্ত,ক্ষত-বিক্ষত,ভীত তোমরা আর ঐসব একদঙ্গল অমানুষের পৈশাচিক হাসি মাখা মুখ। আমি অভিশাপ দিয়েছি,অভিশাপ দিয়েছি ঐসব ছ’ফুটি দানবদের আর তাদের দোশরদের যারা কিনা নিজেদের সাচ্চা মুসলমান বলে বড়াই করে। দেখো আল্লাহ তাদের কোন দিনই ক্ষমা করবেন না। জানি তোমাদের বুক ভরা অভিমান,নিজ পরিবার তোমাদের মেনে নেয়নি,সমাজ তোমাদের গ্রহণ করেনি,আমি সেই সমাজেরই একজন তবুও আমার মনে খুব যন্ত্রণা হয় ! একবার কী ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেবে আমায় ? একবার কী আমার গালে কষে এক চড় লাগাবে তোমাদের ভুলে যাওয়ার জন্য .................................................................................................................................... অকৃতঙ্গ সন্তান (১৯৯৬,তখন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী,বিজয় দিবসের রাতে পাড়ার ছেলেদের মাইকে বাজানো ’’সব কটা জানালা খুলে দাওনা’’ গানটা শুনতে শুনতে কী ভেবে যেন লিখেছিলাম এই অনুভুতির চিঠি। শুরুটা ছিল,’’প্রিয় বীরাঙ্গনা মা’’,গুরুদাসীর কথা জেনেছি আরো পরে। পুরোনো বই ঘাটতে ঘাটতে সেই পুরোনো ডায়েরিটাও পেয়ে গেলাম আজ।)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।