আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রজন্ম চত্তর আন্দোলন ও আশু করনীয়

১) ঐক্য বদ্ধ থাকুন। নিতীগত ও মত পার্থক্য নিরসনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মতপার্থক্য দূর করে বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য বদ্ধ থাকুন । ২) যুদ্ধাপরাধীর সর্ব্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য নিরলস সংগ্রাম করুন । ৩) প্রনীত আইনে যেন আর কোন ফাঁক ফোকর না থাকে । ৪) প্রশিকিউশন কে শক্তিশালি করতে হবে ।

বিচারে অপরাধীদের সর্ব্বচ্চ শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য অযোগ্য উকিলদের বিযুক্ত করন। ৫) স্বাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন । আগামীতে মামলাগুলোর প্রসিকিউশন ( Prosecution) কে মামলাগুলো সঠিক তথ্যপ্রমান উপস্থাপন করতে হবে । ৬) চলমান মামলাগুলোর প্রসিকিউশনে কোন ভূল ত্রুটি থাকলে তা অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে । ৭) ১৯৭১ এর শহীদ ও নির্যাতিতদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করুন, তাদের পরিবার কে সংগঠিত করুন এবং চলমান আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করুন ।

লাখো শহীদের পরবর্ত্তী প্রজন্ম কে ঐক্য বদ্ধ করতে পারলে এই আন্দোলন এ তারাই মুল শক্তি হতে পারে । এই শক্তিকে উপেক্ষা করবেন না। তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে মুক্তিযোদ্ধা ,শহীদ, নির্যাতিতদের বংশধরদের সহ স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের জনগনের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলুন । ৮) রাজনৈতিক কোন স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করবেন না । মনে রাখতে হবে এই বিচার প্রক্রিয়া কোন নির্দিষ্ট দলের নয় বরং যুদ্ধাপরাধী তথা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবি ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গোটা জাতির প্রত্যাশা ।

৯) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এরপর যুদ্ধাপরাধের দায়ে নাৎসী পার্টি কে নিষিদ্ধ করেছিল । পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী জামাত , ছাত্র সংঘ (যা ইসলামি ছাত্র শিবিরে রুপান্তরিত) , মুসলিম লীগ , পি পি পি (অবলুপ্ত), নেজামে ইসলাম প্রভৃতি কে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে আপরাধ সংগঠিত করার দল হিসাবে প্রতিষঠানিক ভাবে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক । এবং তাদের বিচারের জন্য আইন প্রণয়ন করা হোক । ১০) দেশে সরকারি ,আধা-সরকারি ,স্বায়াত্ব শাসিত প্রতিষঠানের সকল স্তর থেকে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধীদের মুক্ত করুন । অবিলম্বে তদন্ত শুরু করুন ।

১১) ফেস বুক , টুইটার , সোসাল মিডিয়া সহ সমাজে মেরুকরন প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হচ্ছে । স্বাধীণতার স্বপক্ষ বিজয়ী শক্তি ও স্বাধীণতার বিপক্ষ বিজীত শক্তি রাজাকার ,আল-বাদর , জামাত আজ স্বাধীণতার চার দশক পরে মুখোমুখী । প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর যেমন স্বাধীনতার চেতনা বহন করে চলেছে এই আদর্শিক লড়াই কে বেগবান ও সংহত করুন । ১২) নিও-রাজাকার , রাজাকার নিও-আল-বদর , আল-বদর আল- শামস ও জামাতিদের চিহহ্নিত করুন এবং তাদেয় নিজে বর্জন করুন , অন্যকে বর্জন করতে আবেদন করুন, এবং রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গঠনের পক্রিয়ায় যুক্ত করুন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.