oracle.samu@googlemail.com
ভিসা প্রাপ্তি তুলনামূলক সহজিকরন ও উন্নত দেশ হওয়ায় এখনকার ছাত্র -ছাত্রীদের প্রথম টার্গেটে পরিনত হয়েছে ইংলেন্ড। সবাই শুধু পড়া-শোনা করার জন্য যাচ্ছে তা নয়, উন্নত জীবন-জিবিকার মোহে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তনরা ও পরবাসি জীবন বেছে নিচ্ছে। অপর্যাপ্ত/মিথ্যা তথ্য ও এক শ্রেণীর ভিসা কনসালটিং ফার্মের দৌড়াত্ব নবিন প্রণের রঙ্গিন সপ্লগুলোকে আজ দুঃসপ্নে পরিনত করেছে। যা নিয়ে নিত্ব-নতুন খবর বের হচ্ছে দেশী-বিদেশী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়।
http://www.youtube.com/watch?v=L2DuA0h80cE
মূলত নতুন ভিসা সিসটেম (পয়েন্ট বেজ সিসটেম) অনুযায়ি খুব সহজেই আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন।
টায়ার-৪ অনুযায়ি আপনার পয়েন্ট ৪০ হলেই আপনি ভিসা পাবার যোগ্য। যেখানে
ইউনি/কলেজ এর ভিসা লেটার (একসেপটেন্ছ লেটার) - ৩০ পয়েন্ট
১ বছরের টিউসন ফি ও ৯ মাসের লিভিং কস্ট - ১০ পয়েন্ট
অর্থাত ইউনি/কলেজ এর ভিসা লেটার ও ব্যাংকে ১৫-২৫ লক্ষ টাকা দেখাতে পারলেই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজিকরনের মূল উদ্দেশ্য হলো চলমান অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠান বিপুল অর্থ। একজন ছাত্র মিনিমাম ১২-১৫ হাজার পাউন্ড খরচ করছে। শুধু এই সেপ্টেম্বর সেশনেই ঢাকা ভিসা সেন্টার থেকে এক মাসে ২৫০০ ভিসা ইসু করা হয়েছে।
এরকম ভিসা সেন্টার রয়েছে সিলেট ও চট্রগ্রামে।
Click This Link
আর আমাদের দেশীয় ভিসা প্রসেসিং সেন্টারগুলো এই সুযোগে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী পাঠাচ্ছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধরার কথা বলে। কোন কোন ক্ষেত্রে ১-৩ লক্ষ টাকায় ১৫-৩০ লক্ষ টাকার ব্যাংক সিকিউরিটিও ভাড়া পাওয়া যায়। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা ব্যাপক হারে পাড়ি যমাচ্ছে ইংলেন্ডে যাদের মূল লক্ষ হচ্ছে রাজধানী শহর লন্ডন।
আমাদের দেশের মতই অনেক নামসর্বস্য ইউনি/কলেজ রয়েছে ইংলেন্ডে যাদের মূল ব্যাবসাই হচ্ছে বিদেশী ছাত্রদের ভিসা নিশ্চত করা।
এখান থেকে যাওয়া বেশির ভাগ ছাত্রদের মূল লক্ষ থাকে পার্ট-টাইম/ফুল-টাইম জব করে লিভিং ও স্টাডি কস্ট যোগার করা এবং সম্ভব হলে দেশেও কিছু টাকা পয়সা পাঠান। পূর্বে নামসর্বস্য ইউনি/কলেজগুল তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এরকম সুযোগ দিলেও নতুন নিয়ম অনুযাযী কোন ছাত্র টানা ১০ দিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ইউনি/কলেজ সে ব্যাপারে হোম-ডিপার্টমেন্টকে জানাতে বাদ্ধ। না জানালে তাদের লাইসেন্ছ বাতিল হতে পারে। আর হোম-ডিপার্টমেন্ট অফিসে বসেই বায়মেট্রিক সাইন চেক করে এক জন ছাত্রের এটেনডেন্ছ ও তাদের মুভমেন্ট পরখ করতে পারে। ফলে আগের যে কোন সময়ের চাইতে ছাত্ররা অনেক বেশী নজরদারির মধ্যে থাকছে।
চলমান অার্থিক মন্দা নতুন আসা ছাত্রদের আরও বেশী বিপদে ফেলেছে। আগে বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টগুল যেখানে সপ্তাহে ৮০-১৪০ পাউন্ড দিত, তা বর্তমানে ৬০-৮০ পাউন্ডে নেমে এসেছে। তার পরেও জব সেন্টারগুল বেশীর ভাগ ছাত্রকেই কোন জব দিতে পারছে না। ফলে এক রকমা মানবেতর দিন-কাটাচ্ছে নতুন আসা ছাত্র-ছাত্রীরা।
যারা স্টুডেন্ট ভিসায় ইউকে যাচ্ছেন তারা ২য় বার ভাবুন, অড-জব করে খাকা-খাওয়ার খরচ যোগান সম্ভব হলেও কোন ভাবেই টিউশন ফি যোগার করা সম্ভব নয়।
সুতরাং দেখে-শুনে / খোজ-খবর নিয়া ইংলেন্ডে যান।
আর আমাদের সরকার ও বাংলাদএশী দূতাবাসকেও এটা মনযোগ দিয়ে দেখতে হবে, কারন দিনে দিনে সমস্যা প্রকট হচ্ছে যা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ও নবিন ছাত্রদের জীবনকে কঠিন চেলেন্জের সম্মুখিন করে দিচ্ছে।
মডারেটরদের প্রতি আবেদন সম্ভব হলে পোস্টটি স্টিকি করা হোক যাতে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করা সম্ভব হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।