আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজনের দোষ সবার ঘাড়েই পড়ে



রানারা একদিন এল হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায়। দেখেশুনে হিন্দুদের শ্মশানে লাগোয়া একখণ্ড জমি কিনে নিয়ে বাসা বানালো। কারো মনেই কোন ভুল সন্দেহ জাগলো না । এমনি করে বেশ কয়েক বছর কেটে গেল। এবারই হঠাৎ করে রানা আকারে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিল যে ঐ শ্মশানে হিন্দুরা আর কোন মৃতদেহ পোড়াতে পারবে না।

তাতে তাদের অসুবিধা হয়। এটা কিন্তু মূলতঃ একটা অজুহাত বৈ কিছু নয়। কারণ হিন্দুদের শ্মশানটি যেমন চারিদিক থেকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা তেমনি মরা যে পাকা ঘরে পোড়ানো হয়, সেটিও আলাদাভাবে উঁচু দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ উপরন্তু মরা পোড়ানোর ধোঁয়া খুব উঁচু দিয়েই বের হয়ে যায়, তাতে কারও অসুবিধা হবার কথা নয়। কথা হলো তবে কি রানারা ঐ শ্মশান লাগোয়া জমিটি জেনেশুনেই কিনেছিল এই বলে যে একদিন এভাবে বাধা দেবে বলে ? দ্বিতীয়তঃ সে পাড়ার আর এক হিন্দু ছেলে মিথুনকে বলেছে যে হিন্দুদের ঘণ্টা কাসা বাজানো তার জন্য আপত্তিকর। এমনি করেই রানার মত সুযোগসন্ধানীরা হিন্দুদের উদারতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে হিন্দুদের তাদের পৈত্রিক ভিটাও ছাড়তে বাধ্য করে।

আমি বিশ্বাস করি এদেশে এখনো খাঁটি মানবতার বিবেকসম্পন্ন উদারচেতা মুসলমানের অভাব হয়নি। এরা কি এগিয়ে আসবেন রানাদের মত উগ্রমনোভাবাপন্ন মুসলমান যারা আছে, তাদের ভেতরে যথার্থ মানবতার আলো জ্বালাতে। কারণ হাদীসে আছে, যার হাত থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে আমারও দুষমন। রানাদের মত লোকেরা হয়ত তাদের পরিণতি বুঝতে পারছে না কিন্তু যারা বুছঝেন, তাদের কি কোনও দায়ীত্ব নেই ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.