আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সর্বনাশা বিদ্’আত

আিম তুচ্ছ মানব

“বাদিউন” শব্দের অর্থঃ সৃষ্টি করা, একন কিছু সৃষ্টি করা যার কোন অস্তিত্ব বা নজির পূর্বে ছিল না। আমাদের এই বিশ্বজগতের কোন অস্তিত্ব ছিল না, মহান আল্লাহ ত’আলা তাকে সৃষ্টি কনের, সেহেতু আল্লাহ ত’আলার এক সিফতি নাম হলো “বাদিউল আলম”। “বাদউন” শব্দের অর্থঃ আবিষ্কার করা, কোন বস্তু আমাদের অজ্ঞাত ছিল তাহা আবিষ্কার করা হয়েছে। আমেরিকা মহাদেশ কলম্বাস তা আবিষ্কার করেছেন, ভু-গর্ভে খনিজ পদার্থ ইত্যাদি বেড় করাকে “বাদউন” বলা হয়। “বিদউন” শব্দের অর্থঃ উদ্ভাবন করা, মহান আল্লাহর সৃষ্ট বস্তুর সাহায্যে নতুন কিছু আবিস্কার করা, মহান আল্লাহর দেয়া বিভিন্ন খনিজ পদার্থ, যেমন লৌহ, স্বর্ণ, রৌপ, তাম্র, পেট্রোল, ডিজেল, কাঠ, বাঁশ, মাটি, পানি, পাথর ইত্যাদির সাহায্যে বৈজ্ঞানিক, কারিগর, প্রস্তুতকাত্মীগণ বিভিন্ন প্রকার বস্তু তৈরী করেছেন, যেমন বিদ্যুৎ, রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ফ্রিজ, টেলিফোন, এরোপ্লেন ইত্যাদি তৈরী করাকে বলা হয় “বিদউন”।

ধর্ম নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষগণ এ গুলির ব্যবহার করে থাকন। এতে দ্বীন-ইসলামে পাপ বা সোয়াবের কিছু নেই। “বিদআতুন” (বিদ’আত) শব্দের অর্থঃ দ্বীনের েেত্র (ইসলামে) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যত কিছু আমাদেরকে দিয়ে গেছেন তাতেই ইসলাম পরিপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর এন্তোলের পর দ্বীন-ইসলামের নামে সোয়াবের আশায় যে কোন ন’তন প্রথা, রছম-রেওয়াজ, অনুষ্ঠান প্রচলন করার নামই হল “বিদ’আতুন” বা বিদ’আত। মহান আল্লাহ ত’আলার ঘোষণায় দ্বীন ইসলাম ১৪০০ বৎসর পূর্বেই পরিপূর্ণ, এ দ্বীন-ইসলামে আর নতুন কোন রসম-রেওয়াজ, অনুষ্ঠান সোয়াবের আশায় ঢুকানো বা সংযোজন করা নিষিদ্ধ (হারম)।

দ্বীন-ইসলামের েেত্র শেষ ও মহানবী (সাঃ) দ্বারা বাস্তবায়িত সমস্ত কার্য্যকলাপই সর্বশেষ এবং পরিপূর্ণ। মহান আল্লাহ বলেন, “রাসূল তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা গ্রহণ কর, আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক”। (হাশর- ৫৯: ৭) মহান আল্লাহর প থেকে যত আদেশ, নিষেধ, কিচ্ছা-কাহিনী, উদাহরণ পাক ক্বোরআনে বর্ণিত হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কথা, কাজ এবং অন্যের কথা ও কাজের অনুমোদনই হল পরিপূর্ণ দ্বীন-ইসলাম। অর্থাৎ মহান আল-ক্বোরআন এবং সহীহ হাদীস, এ দু’টাই মান্য করার কথা বলেছেন মহান আল্লাহঃ “হে ঈমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। আর তোমাদের আমলগুলি ধবংশ করো না।

” (মুহাম্মদ- ৪৭ ঃ ৩৩) পরবর্তী কালে এ দ্বীন-ইসলামে সোয়াবের আশায় বা সোয়াব হবে বলে মনে করে নতুন কোন অনুষ্ঠানের আবিস্কার করার নামই হল বিদ’আত। ক্বোরআনে নেই এবং আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাতেও পাওয়া যায় না এমন কাজ পরবর্তীতে ইসলামের নামে সোয়াবের আশায় চালু করার নামই হল বিদ’আত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ট বাণী হচ্ছে আল্লাহর বাণী এবং সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে মুহাম্মাদের পন্থা। সর্বনিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে যা দ্বীন সম্পর্কে (মনগড়া ভাবে) নূতন প্রথা (বিদ’আত) চালু করা হয়েছে এবং প্রত্যেক বিদ’আতই গোমরাহী। ” (মুসলিম রেওয়য়েতে, মেশকাত, ১ম খন্ত, হাদীস ১৩৪)



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।