আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার স্মৃতিতে বয়রা কলেজ

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

এই আমাদের ক্লাসরুমের দরজ। প্রথমদিকে এই দরজা দিয়েই ঢুকতাম বের হতাম। পরে আর এই দরজা দিয়ে বের হওয়া হতো না এক বিশেষ কারণে এই আমাদের ক্লাসরুম রানী মুখার্জি তখন নতুন। এই ছবিটা যেখান থেকে তোলা ওখানে দাড়িয়ে রানী মুখার্জির মত সাজপোশাকওয়ালা এক মেয়েকে দেখে বহুত মজা পেয়েছিলাম। কলেজ গেইট দিয়ে ঢুকলেই এমনটা দেখা যায় কলেজের পুকুর যেটা ছাত্রী হলের পাশে ক্লাসফাকি দিয়ে এই সিড়ির উপরে উপন্যাস লিখতাম আমরা ২ সখী এই ফুলবাগান থেকে ২১শে ফেব্রয়ারিতে ফুল চুরি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন এক স্যার যদিও ধরা পড়লে দায়দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন আমরা যখন পড়তাম তখন কলেজে অডিটোরিয়াম ছিল না।

কমার্স গ্রুপের ক্লাসরুমটা ছোটখাটো প্রোগ্রামের জন্য অডিটোরিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বড় প্রোগ্রাম হতো খোলা আকাশের নিচে এই স্থানে। এই সিঁড়ির উপর দাড়িয়ে একদা আওয়ামী লীগের সেতু আপু পরীক্ষায় এ্যাপিয়ার হবার গুরুত্ব বর্ননা করেছিলেন আমাদের ২জনকে। নতুন তৈরি অডিটোরিয়াম। আমরা এইটা নির্মানকাজ শুরু না অনেকটাই দেখেছি।

এই অডিটোরিয়ামের বারান্দায় বসেও অনেকদিন উপন্যাস লিখেছি নানা যার চটপটি ফুচকা আজও বয়রা কলেজকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে এইটা মনে হয় লাইব্রেরী এখানে যাবার দুর্ভাগ্য আমার হয় নি কখনও কলেজমাঠ যা শীতকালে পরিপূর্ণ থাকে ক্যান্টিন: এখানে বসেই খেয়েছি কত সিঙ্গারা উইথ কোক লেইস ফিতার দোকান যা যেকোন গার্লস কলেজের ভূষণ এই সেই সিঁড়ি যেখান থেকে পড়ে গিয়েছিলো আমার সখি। তাকে সাহায্য করতে এসে বিএনপির মুনমুন আপু তার ব্ক্তব্যে বলেছিলেন, কেন মেয়েরা হিল পরে কলেজে আসে! (যদিও বেচারী সখি ফ্ল্যাট পরেছিলো আর আপু হিল ) ফেইসবুকে খুলনা সরকারী মহিলা কলেজের গ্রুপে জয়েন করে ছবিগুলো পেয়ে পুরানো কথা মনে পড়লো তাই ছবি গুলো দিলাম। দিয়ে এত বেইজ্জতি হবো জানলে দিতাম না আমার মত একটা ছোট্ট মেয়েকে সন্দেহ করার কি আছে!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।