আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার দুর্নীতির বিচার চাই........ যেদেশে সূর্যের চেয়ে বালির তাপই বেশি ( প্রসংগ ২৭তম বিসিএস)।



ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা নিজেকে নিদোর্ষ প্রমানের চেষ্টা করার কু-মতলব নিয়ে নাকি ভেতরে ভেতরে জমে উঠা হাজারও পক্ষপাত দোষে দুষ্ট কথার ভার হতে মুক্তি লাভের স্বাথর্পর অভিপ্রায় নিয়ে পাঠকের সমথর্ন আদায়ের দুরভিসন্ধি নিয়ে কি-বোডের্র উপর চেপে বসেছি। অথবা হতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্মের দূরবস্হার কথা ভাবতে ভাবতে ছড়ান-ছিটানো ভাবনাগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করছি। সুহৃদ পাঠক, কাউকে আঘাত করার কোন অভিপ্রায় আমার নাই। কিন্তু যখন ভাবি আজ থেকে ১৫ বছর আগে দেশ কথায় ছিল এবং ১৫ বছর পর এ দেশ কোথায় দাড়াবে, এ দেশের ভবিষ্যত কার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ?? প্রথমে একটি মজাদার কল্পনা প্রসূত আত্নকহিনী শোনা যাক, ভদ্রলোকের (?) নিজের মুখে; উনি ২৭তম বিসিএস নিয়ে শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছিলেন, ক্ষমতা শেষে মাত্র ২০০কোটি টাকা দিয়ে শুরু করেছেন এনজিও ফাউন্ডেশন: ক্ষমতার বিড়ম্বনা: আমার নাম মো: শাহাদত হোসেন। অনেক কষ্টে নামটি মনে পড়ল।

অনেক দিন এ নামে আমায় কেউ ডাকে না, শেষ বার শুনেছিলাম মায়ের মুখে, তাও প্রায় বছর পাচেক আগে। তার পর আর ঐদিকটা যাওয়া হয় না। পুরো জাতির কাছে নিজের নামটি ঘষে-মেঝে ঠিক-ঠাক করলেও ঐ একজন মহিলাকে শুধরাতে পারিনি। নামের এই উৎকর্ষ আনতে আমাকে ধাপের পর ধাপ প্রশাসনের হাজারও সিড়ি পাড়ি দিতে হয়েছে, শত-শত দায়িত্ব-কর্তব্য মাথায় নিতে হয়েছে, একটি একটি করে ঝরে গেছে মাথার চুল, মাথায় পড়েছে টাক। কত-শত আমলা-মন্ত্রির মাথায় তৈল মদর্ন করে নিজের মাথায় হাত বুলিয়েছি, তবেই আমার টাক হয়েছে তেল-তেলে।

পত্রিকার পাতায় কিংবা টিভির পর্দায় যখন স্বচছ টাক দেখি, প্রানটা জুড়িয়ে যায়। ক্ষমতার লোভ আমার কখনোই ছিল না, কিন্তু এই অথর্ব জাতি বার বার আমাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের উদ্ধার করতে। আমি আবার কাউকে না বলতে পারি না । ► আমার চোখের নীচে ঝুলেপড়া চামরার ভাজ দেখেও কি আচ করতে পার না, কতদিন রাতের পর রাত পান করেছি কতশত সব রাঘব-বোয়ালদের স্বাস্হ্য। তাদের খেদমতে সবসময় পেশ করেছি এক্কেবারে ১এর মাল।

আমার এই সত্যনিষ্ঠা এবং ১০০% বিশুদ্বপ্রিয়তা দেখে খুশিতে বাগ-বাকুম হয়েছেন কতশত মন্ত্রিরি-আমলা আর উর্দিপরা অদৃশ্য অপছায়ারা। আমার সাথে সুসস্মপর্ক রয়েছে উপরতলার সব বাসিন্দার, বলতে গেলে আবার নিজের গুনকীর্তন করতে হয়, যা আমি একদম পছন্দ করি না. ► আর পছন্দ করেন না এ দেশের দুইজন জনগননন্দিত-পরিক্ষীত-বারংবার নির্বাচিত এবং অহেতুক দুর্নীতির দায়ে দায়গ্রস্হ নেত্রীযূগল। এই দুই মহান নারীর নেতৃত্বে এদেশে সরকারের পালাবদলের খেলা চলে। দুজনের মধ্যে দা-কুমড়ো সম্পর্ক, একে অন্যের মুখদর্শন করতেও নারাজ। কোন ব্যাপারে তারা কখনও ঐক্যমতে পৌছাতে পারেন না কেবল দুটি বিষয় ব্যাতিরেকে।

একটি হলো তারাও নিজের প্রশংসা শুনতে যারপরনাই অপছন্দ করেন আর একটি হলো দুজনেই ড: সাদাত হুসাইন এর উপর অগাধ ভরসা করেন এবং তাকে প্রিয়-পাএ হিসেবে বিবেচনা করেন। আর করবেন নাই-বা কেন? আমার নামতো আর এমনিতেই শাহাদত থেকে সাদাত হয়নি, এর পেছনে কারন আছে যা সামনে না আনাই উত্তম বলে বিবেচ্চ্য! তবে সহজ-সরল কারনটি বলা যায়, সেটি হলো সাদা মনের মানুষ আমি তাই ভেবে-চিন্তে শাহাদত কে সাদাত্‌ করে নিয়েছি। ► আর "হুসাইন" কিভাবে ? হোসেন তো আর এমনি হুসাইন হয় নাই!! আমার নির্ভেজাল সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নাই বিগত কোন সরকারই, সকল জাতীয় গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে তাদের মতানৈক্য থাকলেও কেবল আমার ব্যাপারে তারা ঐক্যমত পোষন করেছেন, প্রমান দিয়েছেন আমি ড: সাদাত্‌ হুসাইন তথাকথিত জাতীয় গুরুত্বপু্র্ন বিষয়ের উর্দ্ধে। আমি ড: সাদাত হুসাইন। ম্যাডামের সময়ে ছিলাম অনেক বড় আমলা আর বঙ্গবন্ধু কন্যার সময়ে ছিলাম আমলাদেরও আমলা যাকে বলে বাপেরও বাপ।

পেট্রোবাংলায় যে র্নীর্ভেজাল তেল পাওয়া যায় তা ভেজালমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সবরকম কেলেংকারিই করেছি ঘুনেধরা এসমাজকে দূর্নীতিমুক্ত করতে। বিশ্বাস না হলে ম্যাডামকেই জিগেস করুন ! উনিও ছিলেন আমার এই ন্যায়-নিষ্ঠ কেলেংকারীর সাক্ষী !! ম্যাডাম যখন চেয়ার ছাড়তে বাধ্য হলেন, তখন কতজন কত কথা বলেছে! নিন্দুকেরা এর নাম দিয়েছে গ্যাটকো দুর্নীতি। এদেশের হাজারও নীতি নির্মান করেছি আমি আর আমাকে শোনায় দুর্নীতির গপেপা !! ► বিদায়কালে ম্যাডামকে একবোতল খাটি সরিষার তেল কিনে দিয়ে বলেছি, দুর্নীতি হোক আর সুনীতি হোক সব আমাদেরই তৈরী, GATCO নি্যে আপনি Tension করবেন না, এমন হাজারও ফাইল ঝুলিয়ে রেখেছি সচিবালয়ে দীর্ঘদিন কিন্তু ভেজালমুক্ত ১নং কেমিক্যাল ব্যাবহার করায় কিছ্ছু হয়নি এখন পর্যন্ত। গ্যাটকো মামলার ফাইলও আদালতের কাঠগড়ায় শুধু ঝুলেই থাকবে, কিছ্ছু হবে না। আপনারাই বলুন কিছু হয়েছে ? হয় নাই !! আপনাদের দোয়ায় হবেও না ইনশাল্লাহ্‌ !! ► মনের বাহিরটা আমার শিশুকাল থেকেই সাদা কিন্তু পিতা-মাতা বুঝতে পারেননি, নাম আমার সাদাত না রেখে রেখেছিলেন শাহাদত ! যাই হোক, নামের সাথে কলংকের কালি লাগতে দেইনি এখন পর্যন্ত।

বঙ্গবন্ধু কন্যার সময়কালেও নামের সাথে কালিমা লেপন করতে পারে নাই নিন্দুকের দল। উপরন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার আর্শীর্বাদও ধন্য করেছে আমাকে। খাটি সোনা চিনতে তিলিও ভুল করেন নাই, আমি ছিলাম কেবিনেট সচিব, জানেন তো, অ-নে-ক খ-ম-তা !! ► মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়াই, নিজেকে আয়নার সাথে তুলনা করি, কতটা সচ্ছ-পরিস্কার-স্পষ্ট কেবল পেছনটা নিকশ-কালো-অন্ধকার। ঘুমে ঢুলু-ঢুলু চোখের নীচে ঝুলে পড়া চোখের পাতা টেনে তাকায়, সহসা আতকে উঠি, সচ্ছ আয়নার বুকে দেখতে পায় দেশী-নেড়ী কুকুরের মুখ !তড়িৎ পেছন ফিরে দেখি, কেউ দেখল না তো ? নাহ্,!!মুখের সামনে ব্যাকা ভাজ টেনে হাসি আর তেল-চকচকে টাকের উপর হাত বুলাই, নাহ্ !! পিয়ালায় শেষ চুমুক দেই, বিছানায় যাই, নিজেকে মুক্ত করি.............. ► মাঝে মাঝে কৈশরের ফেলে আশা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। সারাটি জীবন কেটে গেছে কলম ঘষে, আমলা নিয়ে নতুবা মামলা নিয়ে।

Showcase ভরে গেছে সার্টিফিকেট আর শুভেচ্ছা-স্বারকে। কৈশর-স্মৃ্তি বড় ভোগায় আমাকে। স্কুলের বারান্দায় দাড়িয়ে গ্রীলের ফাক দিয়ে কতদিন দেখেছি, চৌধুরী বাড়ীর ছেলেরা কিভাবে মাঠের মাঝে বল নিয়ে লুটোপুটি খেলেছে, বাড়িতে আমার নুন আনতে পানতা ফুরায়, জীর্ণ-শীর্ণ-দারিদ্রক্লিষ্ট হতভাগার সাহস হয়নি গিয়ে বলে, আমাকে তোমরা খেলতে নিবে?তখন থেকেই বুঝে নিয়েছি, খেলার মাঠে না নামলেও পড়ার মাঠে আমাকে হতে হবে এক নম্বর। সেই থেকে পড়াশুনার দৌড়ে আমি সবার সামনে। যখন খেলার সময় ছিলো তখন সযোগ হয়নি আর যখন সুযোগ এলো তখন সময় হয়নি।

► কিন্ত এখন সময় এসেছে, কৈশরের ফেলে আশা বদ্ধ আকাক্ষাগুলোকে অবমুক্ত করার। দেশে লেগেছে পালাবদলের হাওয়া। এক 9/11 পাল্টে দিয়েছে বিশ্বের ঘটনা প্রবাহ, আর এক 1/11 পাল্টে দিয়েছে এদেশের বায়ুর প্রবাহ, নদীর স্রোত আর মেঘের ধেয়ে চলা পথ। ধুয়ে-মুছে সব দুর্নীতি দূর করতে একদল মানুষ যেন আদা-জল খেয়ে মাঠে নেমেছে আর পেছন থেকে লাঠিয়াল বাহিনী হাত উচিয়ে তাদের সমর্থনে হুংকার দিচ্ছে থেকে থেকে। বোকা দেশের অসহায় জনগন বৃথা আসফালনে আন্দোলিত হয়ে হাত তালি দিচ্ছে।

নর্দমা থেকে রাজপথ শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিজান। ► দেশের ভবিষ্যত চালক যে ভুমিতে জন্ম নেয়, সেখানে ধরেছে পচন। BSTI এর পরীক্ষাগারে নেয়া হলো ভুমিউপাদান, দুরীভুত হলো সংক্রামিত যত উপাদান। নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে BPSC বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। একাদশ শতকের বাংলাদেশ যারা বিনির্মান করবেন তাদের সিলেকশন হতে হবে অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত।

এহেন মহান দায়িত্ব দেওয়া হবে এমন বিজক্ষণ ব্যাক্তি শুধু একজনই আছে ড: সাদাত হুসাইন। ► দেশউদ্ধারের মহান ব্রত নিয়ে আবার আমাকে নিতে হলো পি এস সি এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। আর শুরু হলো আমার খেলা, জীবন নিয়ে খেলা, কিছু তথাকথিত মেধাবি ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা। শুরুতেই বাজিমাত। দুর্নিতী দুরীকরণের নামে মহু্রতেই বাতিল করে দিলাম দীর্ঘ তিন বছর ধরে পর্যায়ক্রমে নিরবাচিত হওয়া শিক্ষার্থীদের অর্থাৎ ২৭তম বি সি এস পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফলে নিরবাচিত শিক্ষার্থীদের।

আমার এই দারুন পারফরমেন্সে চারিদিকে সাড়া পড়ে গেল। আমিতো রীতিমত স্টার !! সকল পএ-পত্রীকায় শুরু হলো আমার গুন-গান, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার টক শোতে আমি হয়ে গেলাম হট আইটেম। অতশত সাক্ষাতকার দিতে দিতে আমিতো বীতিমত অসুস্হ হওয়ার যোগাড়। ► কিন্ত না, আমাকে শক্ত হতে হবে, খেলাতো মাএ শুরু। গেমপ্লান এমনভাবে সাজালাম যেন খেলার পরোটা সময় জুড়ে থাকে টান-টান উত্তেজনা আর উৎকন্ঠা।

সবাইকে আবার ডাকলাম ভাইভা পরীক্ষায়, নাটক চলতে থাকল পি এস সি ভবনে আর ভেতর ভেতর সাজাতে থাকলাম নতুন তালিকা। খেলা এখানে এসে কিছুটা চ্যালেন্জের সম্মুর্খীন হলো, কেননা রেজাল্ট হতে হবে এমন যাতে আমার সতিত্বের প্রমাণও মেলে আবার লাঠিয়াল বাহিনীও শান্ত থাকে। কি আর বলবো, দেশের প্রধান উপদেষ্টা সে এখনও আমাকে স্যার স্যার করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। দূর্ণীতি দূরীকরণের নামে ছেটে দিলাম কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীকে। তৈরী হলো নতুন ফলাফল।

ব হু প্রতিক্ষীত ২৭তম পরীক্ষার ২য় ফলাফল, পরোপুরি ফরমালিন মুক্ত, ১০০% না হলেও মোটামুটি ৯৯% হালাল। ► এই ফলাফলের উপর BSTI এর সিল বসিয়ে দেয়া হলো যাতে নিন্দুকেরা পাছে আময় ল্যাং মারতে না পারে। আহা আমার সে-কি পারফরমেন্স, সবাইকে তাক লাগিয়ে ০৩ দিনের মধ্যে শেষ করেছি ফিজিক্যাল টেস্ট যা কিনা তিনমাস লেগে যায়। ফুসে উঠছে আগুন চারিদিকে, ১১শত জীবনের জীন্দা কবর দিয়ে দিয়েছি। মৃতমানুষের হুংকার !! রাতারাতি নিয়োগ দিয়েছি, আমার একসময়ের সেই অধস্হন আমলা আর লাঠিয়াল ভাইদের পছন্দের সববাইকে।

তার পর থেকেই বাজিয়ে যাছ্ছি রেড হুইসেল। খেলা শেষ !! খেলা শেষ!! এদেশের পশ্চাত-দেশে.......১১১৪ টি..............নতুন.। দশদিক জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আমার খ্যাতি.......। দূর্ণীতি-কে টা-টা-বাই-বাই!! PSC পরিণত হলো তীর্থ-ভূমিতে। মেধা-যাচাই এর খেলায়, আমার স্কোর ১১১৪।

১১১৪টি প্রতিশ্রুতি, ১১১৪টি প্রাণ, ১১১৪ টি স্বপ্ন, ১১১৪টি পরিবার........................... খেলা শেষ !! The End!! সুহৃদ পাঠক, এতক্ষণ যে মহান পরাক্রমশালী নিবেদিতপ্রাণ ব্যাক্তির বিজয়গাথা শুনলাম তিনি বর্তমান পি এস সি-র চেয়ারম্যান জনাব সাদাত হুসাইন। "বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন" একটি বিশেষ সংস্হা । দেশের ভবিষৎ কর্নধার অর্থাৎ সকল সরকারী কর্মকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হয় এই মহান প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধানে। একটি সময় ছিল যখন, ভাবা হতো দেশে এখনও একটি জায়গা আছে যেখানে দূ্রনীতির বিষাক্ত শেকড় গজাতে পরেনি। সহায়-সম্বলহীন মানুষ, মেধাই যাদের একমাএ মুলধন তাদের শেষ আশ্রয়, শেষ ভরসা এই পি এস সি।

আমার বাবাকে এখনও বিশ্বাস করাতে পারিনা যে পি এস সি-তেও দূ্রণীতি হয়। গত এক-দশক ধরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই তি্রথাশ্রম পরিণত হয়েছিল দুর্ণীতি-অনাচার-অবিচার-ঘুষ-দলীয় প্রভাব আর অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দুতে। তবুও দিশেহারা এ জাতির ভবিষ্যত প্রজন্ম ভরসা করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটির উপরই। 1/11 এর পর পরিবর্তনের হাওয়া লাগে এই প্রতিষ্ঠানেও। দেশজুড়ে খুজে পাওয়া গেল একজন মানুষকে যে কিনা পি এস সির বিষ-বাস্প দুর করতে বদ্ধ-পরিকর।

ক্ষমতায় আসার পরই শুরু করলেন ইতিহাস এর সফল সংস্কার। র্দীর্ঘ তিন-বছর ধরে ২৭তম বি সি এস এর চুড়ান্ত ফলাফল প্রাকাশিত হয়েছে তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। কিন্তু এই বিসিএস পরীক্ষার বিসমিল্লায় গলদ ছিল অথাৎ প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপএ ফাসের অভিযোগ আছে যদিও তৎকালীন চেয়ারম্যান তা অস্বীকার করেন। উল্লেখ্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর চুড়ান্ত ফলাফলে কোন প্রভাব ফেলে না। তিনি মহুর্তে মধ্যে বাতিল ঘোষনা করলেন অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে শেষ হওয়া ২৭তম বিসিএস।

ততক্ষণে অর্ধেক পরীক্ষার্থীর মেডিকেল চেক-আপও শেষ হয়ে গেছে। সেসকল পরীক্ষার্থীস অনেকেই ইতোমধ্যে বর্তমান চাকুরি স্তফা দিয়ে দিয়েছে বুনতে শুরু করেছে নতুন স্বপ্ন কেননা মেডিক্যেল চেকআপ এর পর বাদ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ইতিপূর্ব ঘটেনি । ১২০০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকল কেবল মাএ মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে উনি বুঝে গেলেন কারা দু্রণীতিযুক্ত আর কারা দু্রণীতিমুক্ত!! লিখিত পরীক্ষার ১২০০নম্বর নয় বরং মৌখিক পরীক্ষার ৫০ নম্বর হয়ে গেল দূ্রনীতি যাচাই এর নিয়ামক। এর পর তার বিজয়গাথা রচিত হলো, পূর্বে নির্বাচিত ৮৮% পরীক্ষাথীই বাদ পড়ল নতুন চুড়ান্ত ফলাফলে। তার এই ক্রীড়া-নৈপূর্নে অতিআনন্দে-উল্লাসে হতবাক পুরোজাতি, আনন্দ-উল্লাসে বিহ্বল আমিও।

শুধুমাএ উত্তর মেলে না কতগুলো অমিমাংশিত প্রশ্নের !! তার এই বিজয়গাথা তো গেল আয়নার সামনের অংশ, পেছনের নিকশ-কালো-অন্ধকারে তবে কি আছে ?? এ প্রশ্নের উত্তর বোধকরি এদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও জানেন না !! জানেন শুধু একজন !! জনাব, চেয়ারম্যান, ** দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা হয়েছে priliminary exam এ কিন্তু আপনি সংশধন করলেন ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে। পচন যদি গোড়াতে হয় তবে আগা ছেটে দিলে কি সমাধা হয় ?? ** ভাইভায় যদি ঘুষ কেলেংকারী হয়ে থাকে তবে সাজা পাবে কে ?? যে ঘুষ দিয়েছে নাকি যে ঘুষ নিয়েছে ?? ধরে নিলাম কেউ কেউ ঘুষ-দিয়েছে আপনার গড়া কিছু সরকারী আমলাকে, কিন্তু যে ছেলেটি এই কেলেংকারীর মাঝে নেই সে কেন বলির পাঠা হবে?? ধরে নিলাম কোন কোন সদস্য দুই নম্বর ছিল, কিন্তু আমি যে সদস্যের বোর্ডে ভাইভা দিয়েছি সে তো এখনও আছে, তবে আমি কেন বাদ পড়বো, তবে কি তিনি টাকা খেয়েছিলেন, যদি না খেয়ে থাকেন তবে আমার ভাইভা ফেয়ার ছিল, একটি ফেয়ার সিলেকসন প্রক্রিয়ায় উত্তির্ন হওয়ার পরও কেন আমি দূর্ণীতির দায়ে বাতিল হবো ?? ** ২য় ফলাফল প্রকাশের পর তাতখনিক পতিক্রিয়ায় মিডিয়ার সামনে আপনি বলেছেন, রেজাল্ট ৯৯% সঠিক, আপনি কি জানেন ১% এ কতজন বলির শিকার হয় ?? এই ১% দূর্নীতি করার এখতিয়ার আপনাকে কে দিয়েছে ?? ** শুধু মাএ পুলিশ ক্যাডারে ৪৪জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বাদ দিয়েছেন অথচ আপনি বলছেন মুক্তিযোদ্ধা কোটার লোক পাওয়া যায় নি !! জীবন নিয়ে এমন মসকরা করার ক্ষমতা আপনাকে কে দিয়েছে?? ** যে পরীক্ষাথি মৌখিক পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে নাই, সে কিভাবে চুড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত হয় ?? ** যে মেডিকেল টেস্ট করতে ০৩ মাস সময় লাগে, আপনি ০৩ দিনে কেন এবং কিভাবে শেষ করলেন, রাতা-রাতি কিভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হয়, মাঝ রাতে পরিক্ষার্থীকে ফোনে ডেকে জয়েন করতে বলা হয় কেন, তারা কি আপনার বউয়ের ভাই লাগে !! এহেন কর্মকান্ড কি নির্দেশ করে ?? কিসের এত তাড়া ছিল আপনার ?? ** "২য় রেজাল্টের সিলেকসন প্রক্রিয়ায় সংবিধানের পাচটি লংঘন চিন্হিত করেছে তদন্ত কমিটি" র্শীর্ষক যে লীড নিউজ প্রথম আলো প্রকাশ করে তার কি জবাব আছে আপনার কাছে?????? ** নতুন নিয়মে ২য় বার প্রকাশিত ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। মজার বিষয় হলো এই নতুন নিয়মাবলী প্রয়োগের পরে প্রণোয়নের ঘোষণা দেওয়া হয় । এই রকম ঘটনা কখন হয়?? ** সংসদীয় উপকমিটি, সংসদীয় স্হায়ী কমিটি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশেও কখন এ নিয়োগ বিলম্বিত, অগ্রাহ্য ও অস্বীকার করা হয় ?? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই সকল প্রশ্নের একটিই উত্তর: যখন সূর্যের চেয়ে বালির তাপই বেশী, তখন তো এমনই হয়, এমনই হওয়ার কথা । যেদেশে সূর্যের চেয়ে বালির তাপই বেশী, সেদেশে তো দিনের আলোতেই অন্ধকার নেমে আসবে।

যেদেশে সূর্যের চেয়ে বালির তাপই বেশী, সেদেশেই তো বঞ্চিত-ভাগ্যাহত-সন্তানরা যখন শহীদমিনারে অভুক্ত-মৃতপ্রায় শরীরে আগুণ জালাবে তখন "ভদ্রলোকের এক কথা" এমন সদুচ্চারণে গোয়ার্তুমির হাসি হাসবে পিতাসম সাদাত্‌-রা, সেদেশেই তো বিজয়ের উল্লাসেই ঝরবে দু:খের অশ্রু, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই হবে মাতালের প্রলাপ, দূর্ণীতির চকচকে মোড়কেই ঢাকা পড়বে সত্যিকারের মেধা-মনন-প্রতিশ্রুতি, সেদেশেই তো আপনার-আমার মত blogger -রা যারা কিনা সত্যিকার আর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রুপকার হতে পারত তারা বিছিন্ন থাকবে সরকারি চাকরির দ্বারপ্রান্ত হতে ! কারণ হয়ত সরকারি চাকরিতে যাবার আপনার কোন ইচ্ছে নাই, নয়তো যেতে দেওয়া হ্য় নাই । ভবিষ্যত প্রজন্ম......?? তাই যখন শুনি, দূর্নীতির দায়ে ২৭তম বিসিএস পরিক্ষার দ্বিতীয়-দফার ফলাফলে প্রথম দফায় চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত ১১১৪জন পরীক্ষার্থীকে বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে, তখন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, আমি আমার দূর্ণীতির বিচার চাই..........। কিন্তূ যেখানে সূর্যের চেয়ে বালির তাপই বেশি.......... প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যেন দূর্বলের বৃথা আস্ফালন । পরিশেষে, জাতীর এহেন মহান বিবেকের উদ্দেশ্য, "দূর্নীতিমুক্ত মেধা-যাচাই" এর মানদন্ড খ্যাত ড: সাদাত হুসাইন-এর শ্রী-চরন-কমলে, নির্মলেন্দু গুন এর একটি কবিতা উসর্গ করতে চাই। দাদার অনুমতি নেইনি কেননা এহেন মহান পূজনীয় ব্যাক্তিত্বের জন্যই তার এই পক্তিমালা: দাশ বংশ কোন কাজকর্ম তো নাই, খাচ্ছেন দাচ্ছেন আর যখন যা চাচ্ছেন হাতের কাছে তাই পেয়ে যাচ্ছেন।

স্প্যানিশ অলিভ অয়েল মালিশ করে পালিশ করছেন বেগম সাহেবের পাছা, আর নিজের বিচির চামড়া। আর আমরা আমাগো হুগায় মাখছি ভেরেন্ডার তেল। আপনাগো দিন যায় মহা আনন্দে, ভিসিআরে, টিভির পর্দায়। আমরা মাঠের লোক, বস্তিবাসি, পথের লোক, মেধাহীন কৃমিকীট আর পোকামাকড়ের মতো আপনাগো নেতৃত্বের আকাশ-ছোয়া দালানের আনডারগ্রাউন্ড ফাউন্ডেশনটাকে পাকাপোক্ত করার মহান উদ্দেশ্য নি্য়ে, জননীর চর্বীহীন অপুস্ট জরায়ু ছিড়ে এই সুমহান বঙ্গদেশে জন্ম নিয়েছি। আপনাগো ব্যাংক ব্যালান্স আর চর্বির চিকনাই যত বাড়ে, আনুপাতিক হারে ততই আমাগো গায়ের চর্ম ঠেকে হাড়ে, আপনারা আছেন, থাকবেন, এ কথা জানলি পরে এই বঙ্গদেশের পবিএ ভূমিতে জন্ম নিতো কোন হালায় ? ---------------------------------------------------------------------------------- বি দ্র: এই লিখার প্রতিটি ঘটনা, চরিএ এবং ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ মনগড়া, অবাস্তব এবং পাগলের প্রলাপ মাত্র।

> নস্টাল-জিয়া

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।