আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শান্তির রাজকুমারী



আজ প্রিন্সেন্স ডায়নার ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ভোর হওয়ার আগে ৩৬ বছর বয়সী বৃটেনের প্রিন্সেস ডায়ানা প্যারিসের স্যন নদীর তীরে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। ধারণা করা হয় পাপারাজ্জি বা ফটোগ্রাফারদের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য দ্রুত গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিয়ে করে রাজপরিবারে প্রবেশ করার পর ১৬ বছর ধরে প্রিন্সেস ডায়ানা বরাবরই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট করে এসেছিলেন; কিন্তু ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে তার স্বল্পকালীন জীবনের অবসান ঘটে। চার্লস ছিলেন ডায়ানার জীবনের প্রথম পুরুষ এবং স্বামী। বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর বিদ্যা ও চিন্তাধারার দিক থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব বেশি ব্যবধান ছিল।

এই ব্যবধান কখনো মেটানো সম্ভব হয়নি। তিনি পাঁচবার ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা চালিয়ে তার স্বামী আর রাজপরিবারের দৃষ্টি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৯২ সালে যুবরাজ চার্লস এবং ডায়ানা দম্পতি আলাদাভাবে থাকার কথা ঘোষণা করেন। ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে সংশ্লিষ্ট আদালতে তিন মিনিট ধরে যে রায় প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দম্পতিটির দীর্ঘ ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘোষিত হয়। তাতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডায়ানা আড়াই কোটি মার্কিন ডলার পেয়ে রাজপরিবারের সদস্যের পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত হন, শুধু বজায় রাখতে পেরেছেন ‘প্রিন্সেস অফ ওয়েলস’ পদমর্যাদা।

অবশ্য তার দুটো ছোট সন্তানের অভিভাবকত্বের অধিকার যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। তালাকের পর এক বছরের মধ্যে ডায়ানা অপ্রত্যাশিতভাবে ৯৩টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি শুধু ছয়টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অব্যাহতভাবে কাজ চালানোর ওপর তার শক্তি কেন্দ্রীভূত করে রাখেন। তিনি আফ্রিকা সহ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি প্রভৃতি দেশ সফর করেন এবং বিভিন্ন দাতব্য তৎপরতায় অংশগ্রহণ করেন। অসহায়, দরিদ্র আর সমাজের উপকার করার জন্য তার একান্ত আগ্রহ আর মায়া-মমতার জন্য তাকে ‘শান্তির রাজকুমারী’ অভিধা দেয়া হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডায়ানার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো তার স্মৃতি বহন করে চলেছে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।