আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধীরে ধীরে মহামারীর রুপ নিচ্ছে সোয়াইন ফ্লু, তাই আরো তৎপর হয়ে সচেতনতা এখনই বাড়ানো প্রয়োজন

একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...

৩০ আগষ্ট ২০০৯, প্রথম আলোর তথ্যানুযায়ী আরও ৩১ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট আক্রান্তকারীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯৪। প্রতিদিনই ২০-৩০ জনকে সনাক্ত করা হচ্ছে। তবে আমার ধারণা দেশে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তকারীর সংখ্যা উল্লেখিত সংখ্যার কয়েকগুন হয়ে থাকতে পারে। কেনোনা, অনেকেই হয়তো সময়ের অভাবে অথবা আলসেমীর কারণে, অথবা সঠিক তথ্যের অভাবে হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে যাচ্ছে না এবং হাসপাতালগুলোর সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়।

যেসব হাসপাতালে সোয়াইন ফ্লু'র পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে পারবেন সেইসব হাসপাতালের নাম নিচে তুলে দেওয়া হলো (প্রথম আলো পত্রিকা থেকে সাহায্য নিয়ে)‍- ১. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শহীদমিনার সংলগ্ন) ২. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৩. শহীদ সোহরাওওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৪. জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল ৫. সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল উপরে উল্লেখিতো হাসপাতালগুলোতে চিকিসা এবং পরীক্ষা-নিরিক্ষা অনেক আগে থেকেই চলছে। আর আজ থেকে নিন্মোক্ত হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নিরিক্ষার ব্যাবস্থা চালু করা হবে (তথ্যঃ ৩০ আগষ্ট ২০০৯, প্রথম আলো) ১. বারডেম (শাহবাগ) ২. বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ (ধানমন্ডি) ৩. উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল (উত্তরা) ৪. হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৫. ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৬. ঢাকা শিশু হাসপাতাল ৭. শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৮. মহানগর শিশু হাসপাতাল এবং ৯. মহানগর জেনারেল হাসপাতাল জানি ভবিষ্যৎ বলা ঠিক নয়, তবে সোয়াইন ফ্লতে আক্রান্তকারীর সংখ্যা সপ্তাহখানেকের মধ্যে ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর মাসখানেকের মধ্যে এ সংখ্যা যখন হাজার ছাড়িয়ে যাবে তখন সরকারসহ অনেক মহলই তৎপরতা দেখাবে। তবে আমার বলাটা মিথ্যে প্রমানিতো হলেই আমি বেশী খুশি হবো। সরকারের আশায় বসে না থেকে এখনই গনমাধ্যমে, প্রিন্ট ও প্রেস মিডিয়ার সাহায্যে সোয়াইন ফ্লুর ব্যাপারে(সোয়াইন ফ্লু কি, উপসর্গসমূহ, প্রতিরোধ, চিকিৎসা ইত্যাদি ) জোর প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।

সবাইকে মাস্ক ব্যাবহার করার জন্য অনুপ্রানিত করতে হবে। দু’একজন নয়, সবাইকে. . . নয়তো কিন্তু খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়বে সোয়াইন ফ্লু. . . যা আমাদের জন্য সুখকর হবে না এবং ছড়িয়ে পড়ার পর কারো উপর দোষ চাপানো মো্টেই ঠিক হবে না। আমাদেরকেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ----------------------------------------------------------------------------- হাসপাতালগুলোর অবস্থান কারো সঠিকভাবে জানা থাকলে মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দেয়ার অনুরোধ করলাম।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.