আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বদেশের সমার্থক নাম, আর কিছু নয় শুধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ ই আগষ্ট "জাতীয় শোক দিবস পালন হবে মুজিব নামের এক কিংবদন্তির প্রতি ন্যুনতম শ্রদ্ধা নিবেদন।’

সত্য পথের অনুসন্ধানি
যুগের আশা- আকাংখাকে যিনি বাক্যরূপ দিতে সক্ষম এবং নিজের যুগ-কে তদানীন্তন আশা-আকাংখার স্বরূপ চিনিয়ে দিতে সমর্থ এবং যিনি তা সম্পন্ন করেন--তিনি সেই যুগের মহামানব, তিনি যা করেন, তা তার যুগের মর্মদেশ এবং সগন্ধসার। তিনি তার যুগের বাস্তব রূপদাতা--দার্শনিক হেগেলের এই কথার সুত্রেই সীমাবদ্ধতা সত্বেও শেখ মুজিবের নামে ইতিহাসের দরজা খুলে যায়, হাজার বছরের বিপুল বাংলাভাষীর জন্য তিনি ছিনিয়ে এনেছেন একটি স্বাধীন আবাস ভুমি, পলাশীর আম্রকাননে জাতির পরাজয়ের গ্লানি ঘুছিয়েছেন একাত্তরের অদুরে মুজিব নগরের আম্রকাননে গঠিত প্রবাসী সরকার তথা মুজিব । এভাবেই মুজিব ঢুকে পড়েন জাতির অদ্ভূদ্যয়ের রন্দ্রে রন্দ্রে জাতির শিকড়ে, অবলিলায় বসে পড়েন জনকের আসনে। বিরুদ্ধ বাদীদের কারনে আদালত গড়ালেও মনের মসনদে তিনি অনির্বান ছিলেন, আছেন। তুমি মনে করো সেই কলংক ময় রাত্রের স্মৃতি-তুমি মনে কর সেই নিস্পাপ শিশু মুখের আদল-এবং তুমি মনে করো সেই রাত্রিতে গড়িয়ে পড়া -লাল টকটকে জবা রং রক্তের স্রোত।

বাঙালী, তুমি কি এতই অবোধ!-তুমি কৃতজ্ঞ হও বাঙালী তুমি কৃতজ্ঞ হও---- - মিথ্যে বলতে বলতে একদিন টিকটিকির লেজের মত অকস্মাৎ খসে যাবে তোমার জিভ-কারন স্বদেশের সমার্থক নাম আর কিছু নয়-শুধু শেখ মুজিব। ইকবাল বাবুলের এই কবিতার ভুমিকায় আমি আজ লিখতে বসেছি আমার সবচেয়ে প্রিয় এক ইতিহাসের চরিত্রকে নিয়ে, যাকে আমি ভালবেসেছি সেই ছোটকাল থেকে। বাবা শব্দটি না হয় রেখে দিলাম আমার বাবার জন্য কিন্তু জনক, একাটা জাতির জনক/জাতির পিতা--ও কি খুব বেশী হয়ে যাবে এই বঙ্গশার্দুলের বিশেষণে?নামের আগে বসালে?যে কোন প্রতিবাদে নিবেদিত হতে এই অগ্নি পুরুষই আমাকে দিয়েছে অসীম প্রেরনা। হ্যাঁ উনি জাতির জনক বাঙালী জাতির জনক বাংলাদেশী জাতির জনক,হাজার বছর আগে সৃষ্ট বাংগালী জাতির তিনি জনক হয়ে যান, হয়ে উঠেন সময়ের সৃষ্ট আবিস্কারে। সময় কাউকে কাউকে তৈরী করে মহামানবে আবার কোন কোন মহামানব সৃষ্টি করে তার যাপিত সময়কে অনন্য ইতিহাস করে ।

দুই অর্থেই শেখ মুজিব সময়ের এক অনন্য ক্যারিশমেটিক চরিত্র। দেশে দেশে যে জাতির জনকদের নাম --মহাত্মা গান্ধী, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাদের নামের কাতারে আমার মুজিবের নাম কোন ভাবেই বেমানান নয়,অবদানে শৌর্যে বীর্জ্যে এবং এই আসনে দ্বিতীয়জন অনুপস্থিত। শোক দিবসকে ঘিরে গত বিএনপি জোট সরকারের জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোল্লা আবু কাউছারসহ কয়েকজন উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন। আদালত এক রায়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন। বিচারপতি আবদুর রশিদ তাঁর রায়ে যেসব আইনি মানদন্ডে জোট মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নাকচ করেছেন, তার অন্যতম হলো ২০০২ সালে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস বাতিলের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সই না দেওয়া।

রায়ের উপসংহারে বিচারপতি আবদুর রশিদ লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের ধরাছোঁয়ার ঊর্ধ্বে একটি ইতিহাস। তাঁর কন্ঠস্বর আজও লাখ লাখ মানুষের হূদয়কে আন্দোলিত করে। এ জাতি হয়তো নিজ জাতিরাষ্ট্রের সংগ্রাম ও বিজয়ের অর্জনসমূহের মূল্যায়নে অভিন্ন অবস্থানে নাও পৌঁছাতে পারে, কিন্তু তাই বলে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতাকে কাপুরোষোচিতভাবে হত্যার দিনটিকে সবটুকু শ্রদ্ধা ও গাম্ভীর্যে স্নরণ না করার অধিকার হতে বঞ্চিত হতে পারে না। জাতীয় শোক দিবস পালন হবে মুজিব নামের এক কিংবদন্তির প্রতি ন্যুনতম শ্রদ্ধা নিবেদন। ’ ১৫ আগষ্ট: কিসিন্জার বোস্টার, আথারটনের সিআইএর পোষ্য মীরজাফর ডালিম ফারুক রশিদ মার্কিন কিলিং মিশনে মুজিবকে ও প্রান দিতে হল টান্ডা যুদ্ধের সোভিয়েত খতমের বলি হিসাবে।

চিলির প্রেসিডেন্ট সেলভেদর আলেন্দের মত মুজিব ও হয়ে গেলেন ইতিহাসের নিহত জনপ্রিয় নেতাদের কাতারে.সমসাময়িক মার্কিন বিরুধীতার খেসারত দিয়েছেন এই দুই অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতে চাননি, বাঙালিদের কেউ তাঁকে হত্যা করতে পারে। তিনি ভুল করেননি। যারা তাঁকে হত্যা করেছিল, তারা হূদয়ে বাঙালি ছিল না। এই হত্যাকান্ডের পরপরই যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করল, তাদের কথা মনে রাখলেই সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

জননায়ক- বাংলার বন্ধু -বঙ্গবন্ধু আনিসুজ্জামানের কলমেই ফিরে দেখি : "যে-মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সে-মাটির সঙ্গে নিঃশর্ত একাত্মতা বোধ করেছিলেন, প্রবলভাবে ভালোবেসেছিলেন সে-মাটির সন্তানদের। স্বদেশ ও মানুষের প্রতি এ নিখাদ ভালোবাসাই তাঁর জীবনের মূলকথা , তাঁর শক্তি ও দুর্বলতার উৎস। এই ভালোবাসা থেকে দেশ ও জাতির প্রতি নিজ কর্তব্য করে গেছেন তিনি অন্তত তিরিশ বছর-ধরে। কখনো জনতার মধ্য দিয়েই পথ করে নিয়ে তিনি গেছেন বক্তৃতার মঞ্চে, ক্ষমতার আসনে, কারাগারের অন্তরালে। কখনো তিনি থেকেছেন অগণিত মানুষের মিছিলের পুরোভাগে প্রতিবাদে, ক্ষোভে, প্রত্যাশায়, দাবিতে।

কখনো পেয়েছেন রাষ্ট্র পরিচালনার ভার-সাফল্যে উল্লসিত, ব্যর্থতার বেদনাহত, গৌরবের উদ্ভাসে দীপ্ত, সমালোচনার বাণে বিদ্ধ কোলাহল থেকে অকস্মাৎ অন্তর্হিত হয়েছেন নির্জন কারাপ্রকোষ্ঠের নিভৃতে বাইরের জগতের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে থেকেছেন মৃত্যুর অপেক্ষায়। তাঁর অদম্য সাহস ও অকুন্ঠ আত্মত্যাগ, সাংগঠনিক শক্তি ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, মানুষের আপনজন হওয়ার ও তাদের বিশ্বাস-অর্জনের পারগতা- এসবই তাঁকে ধীরে-ধীরে রূপান্তরিত করেছিলো রাজনৈতিক কর্মী থেকে জননায়কে। নিজের বাঙালীসত্তার গভীর অনুরণন উপলব্ধি করেছিলেন তিনি। কখনো স্বভাবের প্রেরণায়, কখনো সযত্ন উৎসাহে তার উন্মোচন ঘটিয়েছিলেন। দেশবাসীকেও তেমনি অনুপ্রাণিত করেছিলেন সেই সত্তার জাগরণ ঘটাতে।

দেশ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে এক মোহনীয় স্বপ্ন রচনা করেছিলেন তিনি ধীরে ধীরে, সেই স্বপ্ন সফল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন সকলের প্রতি। কী বিপুল সাড়া তিনি পেয়েছিলেন, তার পরিচয় তো আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। ১৯৬৯-এ, ১৯৭০-এ, ১৯৭১-এ, কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা/দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে সমুদ্রে হল হারা, সেকথা লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায় তারপর সেই ৭ই মার্চের ভাষণ, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। যে শুনেছে সে ভাষণ তারই শরীরে বয়ে গেছে বিদ্যুৎপ্রবাহ।

কী ছিল সে ভাষণে? কোনো অজ্ঞাত তথ্য নয়, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘোষণা নয়, ভাষার কোনো কারুকার্য নয়, বলবার কোনো পরিশীলিত ভঙ্গি নয়। তাতে ছিল এ দেশের সর্বশ্রেণীর মানুষের অকথিত বাণীর প্রকাশ, তাদের চেতনার নির্যাস, বক্তব্যের অবিসংবাদিত আন্তরিকতা। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এই আন্তরিকতার বন্ধন গড়ে উঠেছিল বলেই তো শত্রুদেশে বন্দী থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর প্রেরণা ছিল সক্রিয়। স্বাধীনতা লাভের জন্য যেমন দৃঢ় সংকল্পবব্ধ ছিল সকলে তেমনি প্রবল আকাঙক্ষা ছিল তার নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে তোলার। ১৫ আগষ্ট হত্যার বিচার : পিতা রক্ত হাতে মেখে যারা নাচে-পরিচয়হীন সেই সব কালো কীট-বিপরীত স্রোতে শ্যাওলার মতো বাঁচে-অন্ধকারের কালো শেয়ালেরা আজ ঘোরে এই দেশে- হাতে ঘাতকের ছুরি- এখানে এখন প্রয়োজন পিতার প্রেমের প্রিয় উত্তর সুরী।

--প্রতিশোধ ছাড়া প্রেমে সব কিছু জয় হয়না কখনো , কেড়ে নিতে হবে চাবি -রক্তের ঋণশোধ করে দিতে হবে -প্রতি ধুলিকনা জানায় প্রবল দাবি। কবি মহাদেব সাহা এই দাবীটি জানিয়েছিলেন যখন মুজিব তনয়ার হাতে ক্ষমতা ছিল না । কিন্তু এখন?! মুজিব হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে এখন লজ্জা হয়,কারন শেখ হাসিনা এখন নির্বাহী ক্ষমতায়। বিচারের রায় কার্যকর করা টুকু অন্তত দেখে যেতে চাই আমরা। একটা বিশেষ ট্রাইবুনাল করে বিচারটা শেষ করে দিলে মনে হয় অনেক কিছু করা হয় দেশের জন্য।

কারন একজন প্রেসিডেন্টকে খুন করে আবার জনসমক্ষে খুনিরা সেটা গর্ব করে বলা দেখলে আইনের শাসন বলে কিছু থাকে না। সেদিন যারা নিহত হয়েছিলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিয়েছিল তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলের প্রাণ। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ রাসেলের হত্যাকান্ডটা অনেক মানুষকে আবেগী করে তুলেছিল, দেশী বিদেশী অনেক মানুষকে। জাহিদ রেজা নুর এর লিখায় সেদিনের কিছু টুকরো ছবি --একে একে হত্যা করা হয়েছে ভাইদের, ভ্রাতৃবধুদের।

"ছোট ভাই রাসেল ভয়ার্ত মনে ভাবীদের কাছে খুঁজেছিল আশ্রয়। ভাবীরা লাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত আগলে রেখেছিল শিশু দেবরকে। এরপর শিশু রাসেলের শরীরেও গুলির ক্ষতচিহ্ন। এরই মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ওর মাকে। এবং হত্যা করা হয়েছে বাবাকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সিঁড়ির ওপর পড়ে আছেন তিনি। নীরব। নিথর। রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করেছে।

ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর রোডে তখন অমানিশার সব আঁধার। আঁধার পুরো দেশজুড়ে। শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা জীবনের এই নির্মমতম ট্র্যাজেডির কথা জানলেন পরে। জানলেন দেশ থেকে অনেক দুরের এক শহরে বসে। জন্ম ও শিক্ষা শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

[২] তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার (যিনি আদালতের হিসাব সংরক্ষণ করেন) ছিলেন এবং মা'র নাম সায়েরা খাতুন। চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন যখন তার বয়স সাত বছর। নয় বছর বয়সে তথা ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।

১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনিস্টিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ থেকে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ চালিয়ে যেতে পারেন নি। কারণ তার চোখে জটিল রোগের কারণে সার্জারি করাতে হয়েছিল এবং এ থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠতে বেশ সময় লেগেছিল। গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৪২ সনে এসট্রান্স পাশ করার পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন।

১৯৪৭ সনে অর্থাৎ দেশবিভাগের বছর মুজিব কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৩৮ সনে আঠারো বছর বয়সে তার সাথে ফজিলাতুন্নেসার বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।

আর পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এব শেখ রাসেল। তিনজন পুত্রই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে আততায়ীর হাতে নিহত হন। (উইকি) দুটি কথা: দলীয় দৃষ্টি কোন থেকে নয় আমার মননে এক আপাদমস্তক নেতার প্রতি ,এক সুন্দর সুপুরুষের প্রতি এ আমার নিতান্তই ভক্তি। এমন চওড়া কপাল, দরাজ কন্ঠ, দীর্ঘ দেহী সুপুরুষটি আমাকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করে আছে। ।

আমরা কি দুটি জায়গায় অন্তত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্টিত করতে পারি না? এক শেখ মুজিব আরেক স্বাধীনতা যুদ্ধ? যেটি আমাদের প্রেরনার উৎস হবে হবে গর্বের? আর কি আছে এমন যেটি আমাদের এক বিন্দুতে রাখতে পারে? , মাগফেরাত কামনা করছি সে দিন রাজনীতির সঙ্গে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও সে সব নারী -শিশু যারা রেহাই পায়নি ঘাতকের হাত থেকে তাদের জন্য। শোক,শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি জাতির জনকের অম্লান স্মৃতির প্রতি। (এই পোষ্ট লিখতে সাহায্য করেছে প্রথম আলো আর্কাইভ, ও মিজানুর রহমান খান জাহিদ নুর এর লিখা থেকে ) বিশদ ভাবে জানতে উইকি বাংলা ভার্ষনটি পড়তে পারেন অনেক রেয়ার ছবি ও পাবেন। Click This Link কবি শেখ নজরুলের ছড়া দিয়ে শেষ করছি : জনকের চিরচেনা ছায়া তুমি রোদজ্বলা শরীরের মায়া তুমি স্বাধীনতা-স্বপ্নের চোখ তুমি তাই বুঝি অবিরাম শোক তুমি!
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.