আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবকিছু হাসির বিষয় নয়-৪৬

আমি লিখি মানুষের কথা,মানুষ পড়ে না। তারা হাসে। তাদের হাসির জন্যে আমি লিখি 'সবকিছু হাসির বিষয় নয়' তারা হাসে না! তবু আমি লিখব।

তিনি একজন ডাক্তারবাবু। মনে করুন, তাঁর নাম সুজন।

সুজন বাবুর একবার গাড়ী খারাপ হয়েছে। মেরামতের জন্যে গ্যারাজে দিলেন। বিল দেখে সুজনবাবুর চক্ষু চড়কগাছ। বললেন--একটা গাড়ী মেরামত করতে এতো বিল? আমরা মানে ডাক্তাররা মানুষের ভেতরের কলকব্জা সারাই করি কিন্তু তোমাদের মতো এমন গলাকাটা বিল নিইনে, তা জানো? মিস্ত্রী বললো--জানি ডাক্তারবাবু। তবে কথা কি জানেন, আপনারা মানে ডাক্তারবাবুরা সেই আদম-ইভের আমলকার একই মডেলের যন্ত্রপাতি সারাই করেন।

কিন্তু আমাদের গাড়িগুলির মডেল সকাল-বিকেল পাল্টায় তাই চার্জ একটু বেশী। (২) গুরুজী--বলো তো সুজন, বিদ্যুতের অপর নাম ক্ষণপ্রভা কেন? সুজন--কখনও কারেন্ট থাকে, কখনও থাকে না,তাই। (৩) সখী--আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অত কি ভাবছো বলো তো? সুজন--লোকটাকে আগে কোথায় দেখেছি, কিছুতেই মনে করতে পারছি না! (৪) সুজন একদিন সখীকে ছাড়া রাস্তায় একা হাঁটছে। একজন ভিখারী তার কাছে ভিক্ষা চায়লো। কৃপণ হিসেবে এই বয়সেই সুজনের সুখ্যাতি প্রচুর।

সখী ছাড়া কারো পেছনে এক পয়সা খরচ করতে নারাজ সে। ভিখারীকে ভিক্ষা দেওয়া মানে কমপক্ষে নগদ একটাকা গচ্চা। একটা টাকার মায়ায় কোনদিন বাজারে এক কাপ চা খায় না সে। তাই ভাবল, একটু জ্ঞাণ দিই। এটা নিখরচায় অকাতরে বিতরণ করতে কোন সমস্যা নাই।

বললো‌: ভিক্ষে করছো কেন? জানো ভিক্ষে করা কত খারাপ কাজ? ভিখারী বললো: আপনি কখনও ভিক্ষে করেছেন? সুজন: সখীর জ্বালায় মাঝে মাঝে ভাবি, তবে করিনি কখনও। ভিখারী:তাহলে কি করে জানলেন, ভিক্ষা করা খারাপ কাজ? (৫) গুরুজী‌: বলো তো সুজন, পরিবেশ কথাটার মানে কি? সুজন: পরীরা যে বেশ পরে থাকে তাই পরিবেশ। (৬) গুরুজী: উত্তর মেরুর তিনটে জন্তুর নাম বলো? সুজন: একটা বাবা ভালুক,একটা মা ভালুক, আর একটা বাচ্চা ভালুক। সবমিলিয়ে তিনটে জন্তুর নাম হয়ে গেল গুরুজী।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।