আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাইনোসর বিলুপ্তির রহস্য

আমি কিছুই লিখব না।

একসময় বিশ্বের প্রায় সব মহাদেশজুড়েই ছিল ডাইনোসরের রাজত্ব। প্রায় দু'শ' মিলিয়ন বছর পর্যন্ত এরা নাকি রাজত্ব করেছিল। তারপর নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একসময় সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এই দানবাকৃতির প্রাণীটি। মজার ব্যাপার হলো, মানুষ কিন্তু ডাইনোসর দেখতে পারেনি।

কারণ পৃথিবীতে মানুষের আগমনের প্রায় ৬৯ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসর সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়! বিভিন্ন সময়ের অনুসন্ধানে এখনও আবিষ্কৃত হচ্ছে ডাইনোসরের কঙ্কাল বা ধ্বংসাবশেষ। প্রাণিবিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের ফলে ডাইনোসরের আকার, আকৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যাচ্ছে নানা তথ্য। ডাইনোসররা নাকি ছিল বেশ কয়েকটি শ্রেণীতে বিভক্ত। এদের কোনোটি যেমন একশ' ফুট লম্বা হতো, তেমনি কোনোটি হতো মুরগির মতো ছোট। কোনো কোনোটি ঘাস, লতাপাতা, গাছপালা ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকত আবার কোনোটি শুধু মাছ খেয়েই বেঁচে থাকত।

কোনোটি বাস করত ডাঙ্গায়, কোনোটি পানিতে। কোনো কোনো ডাইনোসর পেছনের দু'পায়ে ভর করে সোজা হয়ে হেঁটে বেড়াত, আবার কোনোটি চার পায়ের ওপর ভর করে চলত। কোনোটির পা আবার এত ছোট ছিল যে, চলাফেরা করলে মনে হতো বুকের সাহায্যে মাটি ঘেঁষে চলছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ডাইনোসরই ছিল প্রাণিজগতের মধ্যে নানা বৈচিত্র্যের অধিকারী। অনুমান করা যায়, ডাইনোসর বিলুপ্তি বা ধ্বংসের পেছনে যেসব কারণ আছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব, নতুন পরিবর্তন বা পরিবেশ, হ্রদ বা সরোবরের সংখ্যা হ্রাস ইত্যাদি।

স্পেনের একদল গবেষকের মতে, ডাইনোসরের ডিমের খোসার পুরুত্বও প্রাণীটির বিলুপ্তির কারণ হতে পারে। সালাস ডি লোস ইনফানটেস মিউজিয়ামের পরিচালক বলেন, সম্ভবত ডাইনোসর ডিমের মধ্যে বড় হয়ে ওঠার সময় আটকে যেত এবং খোসা ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারত না। জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞরাও দেখতে পেয়েছেন, ডাইনোসরের ডিমগুলোর খোসা সত্যিই অনেক পুরু। ফিডেল টোরসিডাস বলেন, ৬ কোটি ৫০ লাখ বছর আগের ডাইনোসরের ডিমের তুলনায় ১২ কোটি বছর আগের ডিমের খোসাগুলো অনেক পাতলা ছিল। স্পেনের বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডিমের খোসার অস্বাভাবিক পুরুত্বের জন্যই প্রজনন অঙ্গে ত্রুটি দেখা দিত অথবা ডাইনোসরের দেহের বিপাক প্রক্রিয়ার ক্ষতিকর উপস্থিতি এর জন্য দায়ী হতে পারে।

অন্যদিকে বিশ্বের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের বক্তব্য হলো, প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ বছর আগেই পৃথিবীতে ভয়াবহ উল্কাপাতের কারণে ডাইনোসরের বিলুপ্ত হয়েছে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.