১
টিনা বেড়াতে গেছে এক নির্জন কেল্লায়।
একটা ঘরে ঢুকে সে দেখলো, একটা পুরনো চেরাগের পাশে এক পাগড়ি পরা যুবক দাঁড়িয়ে।
'স্বাগতম, মালিক। ' বললো যুবক। 'আমি এই চেরাগের জ্বিন।
আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরণ করতে চাই। '
টিনা এক নিঃশ্বাসে বললো, 'কোটি কোটি টাকা, দশটা বাড়ি, বিশটা গাড়ি। '
জ্বিন বললো, 'জো হুকুম। আপনি বাড়ি ফিরেই আপনার টাকা, বাড়ির দলিল আর গাড়ির লাইসেন্স তৈরি পাবেন। কিন্তু মালিক, আমি দীর্ঘদিন এই চেরাগে একা বন্দি ছিলাম।
আপনি যদি কিছু মনে না করেন, আমি ইচ্ছাপূরণের আগে আপনার সাথে কয়েকবার আদরসোহাগ করতে চাই। '
টিনা সানন্দে রাজি হলো। পরদিন ভোরে জ্বিন বললো, 'আমার বয়স আটশ বছর, আপনার কত?'
'সাতাশ। ' জবাব দিলো টিনা।
'মাই গড....এই বয়সেও আপনি জ্বিনভূত বিশ্বাস করেন?'
২
আরব মুল্লুকে বেড়াতে গেছে তিন ট্যুরিস্ট।
মরুভূমিতে পথ হারিয়ে দিন তিনেক ঘোরাঘুরি পর একদিন এক মরূদ্যানের সামনে হাজির হলো তারা। সেখানে শুধু মেয়ে আর মেয়ে, সবাই স্বল্পবসনা এবং সুন্দরী। কিন্তু কিছুণের মধ্যেই গোবদাগাবদা চেহারার কয়েকজন মহিলা এসে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো আলিশান এক প্রাসাদের ভেতর। সেখানে জোব্বাপরা এক আরব শেখ বসে গড়গড়ায় তামাক খাচ্ছে, তাকে ঘিরে আছে অপরূপ সুন্দরী কিছু যুবতী।
গড়গড়া নামিয়ে শেখ বললো, ‘আমি শেখ অমুক।
এটা আমার মুল্লুক, এখানে যারা ভুল করে ঢুকে পড়ে, তাদের আমি কঠিন শাস্তি দিই। ’
প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলো সে, ‘বলো, কী করো তুমি?’
প্রথম ট্যুরিস্ট জবাব দিলো, ‘আমি একজন পুলিশ। ’
শেখ হাততালি দিলো। দুই রূপসী সামনে এসে দাঁড়ালো। শেখ হুকুম করলো, ‘যাও, এর যন্ত্রটাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দাও।
’
তারপর দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞেস করলো সে, ‘বলো, তুমি কী করো?’
দ্বিতীয় ট্যুরিস্ট জবাব দিলো, ‘আমি একজন দমকলকর্মী। ’
শেখ হাততালি দিলো। আরো দুই রূপসী সামনে এসে দাঁড়ালো। শেখ হুকুম করলো, ‘যাও, এর যন্ত্রটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দাও। ’
তারপর শেষজনকে জিজ্ঞেস করলো সে, ‘বলো, কী করো তুমি?’
শেষ ট্যুরিস্ট দাঁত বের করে জবাব দিলো, ‘আমি একজন ললিপপ বিক্রেতা।
’
৩
ছোট বাবু ইস্কুল হইতে ফিরিবার পরে দেখিল তাহার অতি প্রিয় মোরগটা মরিয়া পরিয়া আছে। মরিবার পরে নিশ্চয়ই কিয়ৎকাল অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে কারন মোরগটা শক্ত হইয়া গিয়াছে এবং পা-দুখানি আকাশের পানে তুলিয়া পরিয়া রহিয়াছে। বাবা বাড়ি ফিরিবার পরে ছোটবাবু জিজ্ঞাসা করিল, বাবা মোরগটি পা-দুখানি আকাশের দিকে তাক করিয়া মরিল কেন?
বাবা কিয়ৎন চিন্তা করিয়া কহিলেন, ওহে পুত্র! ইশ্বর যাহাতে মেঘ হইতে নামিয়া আসিয়া মোরগের পা-দুখানি ধরিয়া স্বর্গে লইয়া যাইতে পারে।
ইহা অতি বিস্ময়কর ব্যাপার, ছোট বাবু শুধাইল। কিয়ৎকাল বাদে বাবা যখন কাজ হইতে বাড়ি ফিরিল ছোট বাবু চিৎকার করিতে করিতে বাবার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া কহিল, বাবা আমরা আজ মাকে প্রায় হারাইতে বসিয়া ছিলাম।
পুত্রধন? তুমি কি বলিতে চাহিতেছো? বাবা শুধাইলেন।
আমি ইস্কুল থেকে ফিরিয়া শয়নন কে উঁকি দিয়া দেখি, মা তার পা দুখানি উপরে তুলিয়া চিৎকার করিতেছে, ঈশ্বর আমি আসিতেছি, আমি আসিতেছি। পাশের বাড়ির শমসের আলম চাচা মাকে চাপিয়া ধরিয়া না রাখিলে আমরা আজিকে নিশ্চিতভাবেই মাকে হারাইতাম।
৪
সুন্দরী ফরাসি তরুণী হারিয়ে গেছে।
ঘোড়ায় চড়ে এক রেড ইন্ডিয়ান এসে তাকে প্রস্তাব দিলো কাছের শহরে পৌঁছে দেয়ার।
রাজি হয়ে তরুণী তার ঘোড়ার পেছনে চড়ে বসলো। ঘোড়া ছুটতে লাগলো।
কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে একটু পরপর রেড ইন্ডিয়ান লোকটি “আআআআআহহ” করে বিকট চিৎকার দিতে লাগলো।
শহরে পৌঁছে বাস স্টেশনের সামনে লোকটি নামিয়ে দিলো তরুণীকে, তারপর আরেকটা বিকট ইয়াহু চিৎকার দিয়ে উল্টোপথে ছুটে গেলো।
বাস স্টেশনের অ্যাটেন্ড্যান্ট বললো, ‘কী ব্যাপার ম্যাডাম, কী করেছেন আপনি, লোকটা অমন ক্ষেপে গেলো কেন?’
ঘাবড়ে গিয়ে তরুণী বললো, ‘কিছুই না।
আমি তো ওর পেছনে ঘোড়ায় চড়ে বসেছিলাম, আর ওর হাত বাড়িয়ে ওর স্যাডলের সামনের দিকে হ্যান্ডেলটা শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছিলাম শুধু। ’
অ্যাটেন্ড্যান্ট শুকনো মুখে বললো, ‘মিস, আপনি ভুল জায়গায় হাত দিয়েছেন, রেড ইন্ডিয়ানদের ঘোড়ায় স্যাডল থাকে না। ’
[বি:দ্র:
১.মারিং-কাটিং প্রেডাকশন।
২. ছবিগুলো ভালো না লাগলে আওয়াজ দিয়েন। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।