আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন আবিষ্কারক

সুস্থবিজ্ঞানের চর্চা করতে চাই

বিরাট এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন চলছে। মহান একজন আবিষ্কারক আজ এখানে আসছেন। এই মাএ আবিষ্কারক তার আসন গ্রহন করেছেন। সাংবাদিকরা তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। তাই তাদের মনে অনেক কৌতুহল।

আমাদের মত দেশে এত বড় আবিষ্কারক আছেন তা তো তারা আগে শুনেননি। প্রথমেই তাই পরিচয় পর্ব হয়ে যাক সাংবাদিকরা বলল। তিনি বললেন আচ্ছা ঠিক আছে। সাং:আচ্ছা মহান বিজ্ঞানী আপনার নাম কি তা জানতে পারি? আবি: প্রথমেই ভুল করেছেন আমি কোনো বিজ্ঞানী নই। আমি একজন আবিষ্কারক।

সাং: দুঃখিত, নাম টা প্লিজ। আবি: দয়া করে বাংলা মধ্যে ইংরেজী বলবেন না শুনতে খারাপ লাগে। আর মনে করবেন না আমি ইংরেজী জানিনা। সাং: আচ্ছা ঠিক আছে । আবি: কি ঠিক আছে আমি তো আমার নাম এখনও বলিনি তাহলে ঠিক থাকল কিভাবে? সাং:ওহ, আপনার নাম বলা লাগবেনা আপনি কি আবিষ্কার করেছেন তাই বলুন।

আবি: (এবার হাসিমুখে) কি আবিষ্কার করেছি?? তা বলতেই তো এখানে আসা। না হলে কে এখানে আসে বলুন। কি অবস্থা এদেশে মানুষ থাকে? চারিদিকে এত ধুলাবালি,আবজর্না; আমাদের এমিরিকাতে কিন্তু এরকম হয়না। আর এদেশে এত মানুষ!! কিভাবে খায় কিভাবে পড়ে....... সাং: ধন্যবাদ আপনি কি আবিষ্কার করেছেন তাই বলেন? আবি: (এবার বিরক্ত মুখে) আরে ভাইয়ের এত ধৈর্য্য হারা হচ্ছেন কেন। বাংলাদেশীদের এই একটা দোষ অল্পতেই ধৈর্য্য হারা হয়ে যায়।

এ সমস্যার কারনেই তো ক্রিকেটে এই অবস্থা। আরে বেটা টেস্ট খেলতে হয় ৫দিন নিয়ে; আর তারা ৩দিনই খেলা শেষ করে ফেলে। এই সমস্যা এখন দেখছি সবারই। আসলে ধৈর্য্য এমন একটা বিষয়........ সাং:আপনার কি ভাবে এটি আবিষ্কার করলেন তাই বলেন? আবি: (আবার হাসিমুখে) এইতো আসছেন আসল কথায়। কি ভাবে আবিষ্কার করলাম এটি আসলে অনেক টেকনিক্যাল কথাবার্তা।

আমি দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ টেকটেকনিক্যাল কথাবার্তাকে অনেক ভয় পায়। তারা টেকনিক্যাল কথাবার্তা সব সময়ই এড়িয়ে যেতে চায়। আপনি ভাল একটি টেকনিক্যাল প্রশ্ন করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সাং: ধন্যবাদ। উওরটা বলেন।

আবি: ও কি যেন বলছিলেন? ও আচ্ছা এই আবিষ্কারের পিছনে আসলে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার বড়ভাইয়ের। উনার উৎসাহেই আমি এই আবিষ্কারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরেছি। তবে উনার কাছ থেকেই আমি মূল কাজটা নিয়েছি। সাং: আপনার বড় ভাইয়ের নাম টা বলুনতো। আবি: ঐদেশে উনাকে ম্যাডম্যান(Mad Man)বলা হয়।

উনি দুইবছর মানসিক হাসপাতালে ছিলেন। ঐ খানেই তিনি এই থিওরী টা আমাকে দিয়েছিলেন। আমি থাকতাম উনার পাশের কেবিনে। তার পরই আমি আবিষ্কারের নেশায় ঐখান থেকে পালিয়ে এলাম এইদেশে। সাং:!!!!!! কি বলছেন এসব।

আবি: ও আর আমি আবিষ্কার করছি কিভাবে সামান্য হাত দিয়ে মশা মারতে হয়। মশা হাতের নাগালে এলেই তাকে একটা চড় আথবা সামান্য হাততালি দিবেন। দেখবেন তা সাথে সাথে মারা গেছে। (এখন মুখে বিজয়ীর একটা হাসি) আসলে এদেশের মানুষ মশা থেকে বাচতে মশার কয়েল আর মশারী ব্যবহার করে। তারা হাতে মশা মারতে প্রায় ভুলেই গিয়েছিল।

আমি সেটাই আবি---ষ্কার করলাম। সাং:?????????????? ওরে পালা !!!!!!!!! (সমস্ত ঘটনা কল্পনা প্রসুত। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.