যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
শেখ হাসিনার বাবার বোনের পুত্র তিনি। অথবা বঙ্গবন্ধুর বোনের পুত্র বলা যায়। অথবা আব্দুর রব সেরেনিয়াবাদের পুত্রও বলতে পারেন। তবে এই সময়ে তার বড় পরিচয় তিনি শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই। এটা একটা বিশাল যোগ্যতা।
যেমন তার বাবা যোগ্য হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধুর বোনকে বিয়ে করে।
এই আত্মীয়তার বংশ পরাম্পরায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল নেতা। নেতা মানে একটু-আদটু দুর্নীতি করবেই, এসব জনগণের কাছে ডালভাত। তার-উপরে শেখ হাসিনার কাজিন, বড় যোগ্যতা তিনি বড় কানেকশনের লোক। পাবলিকের দরকার বড় নেতা, হাসানাত তেমনই একজন।
তত্তবধায়ক আমলে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। অনুপস্থিতিতে দুর্নীতির বিচার হয়ে সাজা প্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু ভোগ করতে হয়নি। মামাত বোন ক্ষমতায় - কে আর পায় তাকে। আত্মসমর্পন করলেন।
পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে দিলেন ঢাকা নগরী। নানা বয়সের পোস্টার। কোনটাতে তার দশ বছর আগের ছবি, কোনটাতে সাম্প্রতিক। টাই, মুজিবকোট, পাঞ্চাবীর নানা কম্বিনেশনে হাসানাত দেয়ালে দেয়ালে ঝুলছে।
বরিশাল গিয়ে দেখলাম একই অবস্থা।
শুধু পোস্টার না, ব্যানার-ফেস্টুনও রাস্তার মোড়ে, যত্রতত্র। কালারফুল পোস্টার। লাখে লাখ। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ যে হারিয়ে যায় নাই, সেটা জানান দেবার জন্য এলাহী কারবার।
হাসানাতের পোস্টারের খরচ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে আন্দাজ করা যায়।
এই পোস্টারের অর্থ কি আমার জানা নেই। বিচার-ব্যবস্থায় এমন পোস্টার আসলে কোন প্রভাব ফেলে না। যেটা হতে পারে তা হলো তার মুক্তি পাওয়াটাকে বৈধতা দেয়া।
কিন্তু পোস্টারের দর্শকেরা কি কেউ চিন্তা করে দ্যাখে হাসানাতের এই লাখো লাখো পোস্টারের অর্থ আসে কোথ্থেকে? অবশ্য এসব চিন্তা করার দরকার নাই। একজন হাসানাত বরিশালবাসীর সকল চিন্তা আপাতত স্থগিত করে দিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।