আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাগ্নের কথা বলা হল শুরু



আমার বড়বোনের ছেলেটা যখন আধো আধো বুলিতে কথা বলা শুরু করেছিল, তখন একবারে একটার বেশী শব্দ বলতে পারতো না। এক শব্দে এক বাক্য তৈরী করত। খুব বেশী হলে দুইটা শব্দ বলত। যেমন, নানী ঘুম, মাম যাবো। একবার মেজআপা বড়আপাকে বলল, তোমার ছেলে এখনও বাক্য বলতে পারে না, কবে বলবে।

বড়আপা বলল, কী যে বল, এই দেখ এখনই বলবে, আব্বু বলতো ভাত কোথায়? সে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠল, ঐযে ঐটা ভাত। এটা ছিল ওর বলা প্রথম তিন শব্দের বাক্য। এর পর খুব দ্রুত সে কথা বলা শেখা শুরু করল। আর রাতদিন ওর মুখে একটা বাক্যই শোনা যেত, ইটা কী ইটা? (এটা কী, এটা) সব জিনিসের নাম তার শেখা চাই। কয়েক মাস পর নতুন প্রশ্ন যোগ হল, কেন? এই 'কেন'র কোন সীমা ছিলনা।

আর এর প্রধান শিকার ছিল তার প্রিয় নানা, যিনি প্রায়ই বিরক্তির চরম সীমায় গিয়ে বলতেন, আমারে তো সরকারী নানা পাইছস্, যা খুশী তাই করস। একটা ছোট উদাহরণ দিই, একবার নানার সাথে দোকানে গিয়েছিল, আসার সময় রাস্তায় একটা ছোট বাচ্চাকে কাঁদতে দেখে তার প্রশ্নবান শুরু হল, --নানা, ঐ ছেলেটা কান্দে কেন? --ওকে মারছে তাই। --কেন মারছে? --দুষ্টামি করছিল। --কোন হাত দিয়া মারছে? --ডান হাত দিয়া। --বাম হাত দিয়া মারেনাই কেন? --তুই থামবি, না তরেও দিমু।

--আমাকে মারবেন কেন? এখন কেন বলা অনেক কমেছে, তবে মাঝে মাঝে শুরু হয়ে যায়। এখন সব কথা স্পষ্ট বলতে পারলেও কিছু কিছু শব্দ কেন যেন আগের মতই বলে, যেমন, টুথপেস্টকে বলে টুসপিট, বাথরুমকে বলে বাট্টুম, আগে কে বলে পরে, পরে কে বলে আগে। আর কথার মারপ্যাঁচ তো আছেই। একবার টারজানের কাছে নিজের ছোট বিড়ালের খুব প্রশংসা করছিল, এই বিড়ালটা খুব ভালো, অনেক শিকারী, অনেক খেলে আমার সাথে। টারজান বলল, ও তাহলে বিড়ালটা আমি নিয়ে যাই, আমার একটা ভালো বিড়াল লাগবে।

এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে সে বলল, না আসলে অত ভালোও না এটা, খালি ম্যাঁও ম্যাঁও করে কান ঝালাপালা করে দেয়, যেখানে সেখানে ঘুমায়। ভাগ্নেটাকে খুব মিস করছি কদিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।