আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেদিন আমরা সবাই তামিল

হাঁটা পথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে হে সভ্যতা। আমরা সাত ভাই চম্পা মাতৃকাচিহ্ন কপালে দঁড়িয়েছি এসে _এই বিপাকে, পরিণামে। আমরা কথা বলি আর আমাদের মা আজো লতাপাতা খায়।

আমরা সবাই তামিল: ঢাকায় প্রতিবাদ সভার ভিডিও শাহবাগে মানবন্ধন ও টিসসিতে মিছিল শ্রিলঙ্কায় তামিল গণহত্যাকে কেউ প্রভাকরণের মৃত্যু দিয়ে বুঝতে পারেন, কেউ তামিল জাতির স্বাধিকারের আপাত পরাজয় হিসেবে দেখতে পারেন। এখানে সেটা আলোচ্য নয়, আলোচ্য হচ্ছে মার্কিন-চীন-রাশিয়া-ইসরায়েল-ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ মদদে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী গেরিলা দলকে নিশ্চিহ্ন করার আয়োজন।

গত ২ বছর ধরে আমেরিকা পাকিস্তানকে দিয়ে শ্রিলঙ্কাকে বছরে ৮০ মিলিয়ন ডলার করে সামরিক সাহায্য করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সকল রকম প্রতিরোধ সংগঠন ধ্বংস করার কর্মসূচিও এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলো। দেখা গেল জাতিসংঘের ভুয়ামি। এসবের মধ্যে বাংলাদেশের কিছু তরুণ প্রভাকরণের কথিত মৃত্যুর পরদিন ঢাকা শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। সেটা শেয়ার করাই আপাত উদ্দেশ্য।

ভিডিওটি ধারণ ও সম্পাদনা করেছেন ফারজানা ববি। জানাবেন দয়া করে, তামিলদের ওপর গাজার কায়দায় মাত্রাহীন আক্রমণ প্রতিবাদযোগ্য ঘটনা কী না। গতকাল বিডিআর ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ঘোড়ার ডিম নিয়ে যথাসময়ে আলোচনা হবে। ঘোড়া যখন দেশে এসেছে, ডিমও আসবে এ আর নতুন কী? কিন্তু অনেকেই তখন বোঝেন নাই যে, এই ঘোড়া ট্রয়ের ঘোড়া।

আমাদের হেলেন কি তবু উদ্ধার পাবেন? ** সংযোজন: কেউ দূর্বল, সাম্প্রদায়িক বা গরিব এ কারণে তারা দাসত্বের উপযুক্ত, এরকম মনোভাব অবশ্যই বর্ণবাদী ও আধিপত্যবাদী। ব্রিটিশরা মনে করতো ভারতীয়রা স্বাধীনতার অনুপযুক্ত, পাকিস্তানীরা মনে করতো আমরা যথেষ্ঠ মুসলমান নই, তাই পদানত রাখাই শ্রেয়, কিংবা আদিবাসীরা যথেষ্ঠ উন্নত নয়, তাই তাদের স্বাধিকার থাকবে না, এগুলো অতি পুরাতন বর্ণবাদেরই প্রকাশ। স্বাধীনতা একটা অনিবার্য প্রয়োজন, এজন্য কারো কাছে কাউকে কোয়ালিফাই করার প্রয়োজন নাই। ব্যক্তির বেলায় যেমন জাতির বেলাতেও তেমন। এই বিশুদ্ধ অধিকার মান্য করার পরই তা উভয়পক্ষের সম্মতির মাধ্যমে শর্তযুক্ত হতে পারে, কারণ বিশুদ্ধ স্বাধীনতা বলে কিছু নাই।

আমরা শর্তাধীনেই পরস্পরের স্বাধীনতা স্বীকার করি, যেমন তুমি আমাকে না মারলে আমিও তোমাকে মারবো না। এরকম শর্তে সিংহলি ও তামিলরা যদি আসে, তাহলে তাদের ভবিষ্যত অন্যরকম হতো। কিন্তু এই শর্ত সিংহলিরাই আগে লংঘন করেছে। এখানে এটাও দেখাতে হবে যে, তামিলরা আত্মঘাতী বোমার পথপ্রদর্শক হলেও, কেউ তার জন্য তাদের ধর্ম হিন্দুত্বকে সন্ত্রাসের ধর্ম বলেনি আবার সিংহলি বৌদ্ধধর্ম গুরুরা তামিল নিধনকে জায়েজ করলেও বৌদ্ধধর্মের অহিংসার নীতি কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। এ এক আজব খেলা দুনিয়ার আর দোষারোপের ব্যকরণের।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।