আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ কি আরেকটি আফগানিস্তান হবে?.................................

আমি জানি ভাল কিছু করার মাঝে প্রকৃত আনন্দ । আমি সব ভালদের সঙ্গী হতে চাই।

রাজধানীর মিরপর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)র বোমা তৈরির কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ২টি পিস্তল, ১২টি বোমা, বোমা তৈরির ৩২টি খোসা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ভরা বেশ কয়েকটি প্লাস্টিক বৈয়াম উদ্ধার করে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার উত্তর পীরেরবাগে জেএমবির আস্তানায় পৌনে চার ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে রাত সোয়া ২টার দিকে জেএমবি সদস্য জাহেদুর রহমান ওরফে বোমা মিজানের স্ত্রী শারমীন হক লতাকে আটক করে ।

অভিযানের সময় বোমার বিস্ফোরণে লতার ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। এ সময় রক্তমাখা অবস্থায় তার ২ শিশু সন্তান এবং ২টি গ্রেনেড, একটি অবিস্ফোরিত বোমা ও ২টি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে । এখান থেকে ১১টি তাজা বোমা পেয়েছি। এছাড়া বোমা তৈরির যাবতীয় সরঞ্জামও পেয়েছি যা দিয়ে হাজারেরও বেশি বোমা তৈরি করা যেত। তিনি আরো বলেন, এখান থেকে এমন কিছু সরঞ্জাম পেয়েছি যা দিয়ে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন ভূমি মাইন ও এন্টি পার্সোনাল মাইন তৈরি করা সম্ভব।

এর আগে জঙ্গিদের কাছ থেকে মাইন তৈরির কোন সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি। এই সহকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমানের সময় থেকেই মিজান বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যে হামলা চালানোর জন্য বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। মিজান অন্য বাড়িতে থাকলেও এখানে এসে বোমা তৈরি করত। মিজানের বাড়ি জামালপুরের চরসী খলিফা এলাকায়।

শায়খ আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়িও সেখানে। মিজান তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেছে। তিন কক্ষের এই বাড়িতে অপর একটি কক্ষ থেকে রসায়নের বেশ কিছু বই এবং দুটি বিদেশী পিস্তল (নাইন এমএম ও সেভেন পয়েন্ট ৬৫) উদ্ধার করা হয়েছে। চারতলার উত্তর দিকের এ ফ্ল্যাটটিতে ৩টি কক্ষ রয়েছে। এর একটি কক্ষ বোমা তৈরির সরঞ্জাম দিয়ে সম্পূর্ণ ভর্তি ছিল।

সেখানে বিস্ফোরক রাখার একটি কাবার্ড ও একটি ডিপ ফ্রিজ রয়েছে। অপর একটি কক্ষে রসায়ন ও বোমা তৈরির কয়েকটি বই পাওয়া যায়। একটি অবিস্ফোরিত বোমা ও ২টি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে । এছাড়া কিছু বই-পুস্তকও পাওয়া যায় সেখানে। মিজান জেএমবির একজন শীর্ষ পর্যায়ের বোমা বিশেষজ্ঞ।

সে জেএমবির তাত্ত্বিক নেতা শায়খ আব্দুর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলো এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ২০০৩ সালে যশোরের ঝিকরগাছা সীমান্তে মোটর সাইকেলে করে বিস্ফোরক বহনের সময় সে একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে ছাড়া পেয়েই আত্মগোপন করে মিজান। বোমা গবেষণাগার এবং বোমা তৈরির কারখানা হতে ১টি পিস্তল, ১১টি তৈরি বোমা, প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, আনুমানিক ৫০০ হতে ৬০০ ডেটোনেটরসহ মাইন তৈরির সরঞ্জামাদি, বোমা তৈরি সংক্রান্ত পুস্তিকা উদ্ধার করা হয় এ বিষয়ে মিরপুর থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাহিদ হোসেন সুমন ২০০০ সালে জেএমবিতে যোগদান করেন।

তিনি জেএমবির প্রথম সারির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অন্যতম সামরিক কমান্ডার। সে জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে বোমারু মিজান নামে পরিচিত। তার নামে ১৭ আগস্টের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাসহ একাধিক বোমা বিস্ফোরণ সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। সে জেএমবির প্রধান বোমা প্রস্তুতকারক হিসেবে নিয়োজিত ছিল। এবাবে যদি আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আমাদের দেশ জংগিদের আস্রয় স্থল হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি এবং শত্রু চক্রান্তের ফলপ্রসু ঠিকানায় পরিনত হবে।

উন্নতি না হয়ে এবাবে আমাদের দেশ বিদেশী গোলামে দিকে দাবিত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.