আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিব্রত! অযোগ্য!! দয়া করে ইস্তফা দিন

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

ডিসক্লেইমার : খালেদা জিয়ার উচ্ছেদ নয়, বিচারপতিদের বিব্রত হওয়ার রোগের প্রতিবাদ এটি মাননীয় বিচারপতিগণ, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনের শাসন কায়েম করার দায়িত্ব আপনাদের। পেছনে একটা চোখবাঁধা দেবীমূর্তিকে পাল্লাসহ দাঁড়া করিয়ে আপনারা আন্ধা কানুনের বয়ান দেন। অর্থাত অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, মেধা ও মননের প্রয়োগ দিয়ে কোনো মামলার ফায়সালা গুরু দায়িত্ব আপনাদের কাঁধেই। কিন্তু পাল্লাটাই ফেলে দেয়ার নতুন একটা নিয়ম আপনারা সদলে চালু করেছেন। আমি এই নিয়মের তীব্র ধিক্বার জানাই।

মহাত্মনগণ, আপনারা রাজনৈতিক দলের পক্ষপাত করার অধিকারী নন। যদিও গুজব যুবরাজ তারেক জিয়া নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য জ্যোষ্ঠতার কাঁথা পুড়িয়ে মনমতো বিচারপতিদের নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেটা করা হয়েছিলো একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পরেরজন যেনো কাজে আসে। তিনি ব্যর্থ হলে পরের জন। এই তালিকায় জাল সার্টিফিকেট দিয়ে আইন পাশ করা একজন প্রতারকও ছিলো।

সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলেও হাতের পাঁচ এবার কাজে এসেছে। কারণ আপনারা উপর্যূপরি বিব্রত। ভাবখানা সিনেমার মতো আপনাদের পরিবারের সদস্যদের পিস্তলের মুখে আটকে রেখে বলা হয়েছে বিচার না করতে। কেনো! মামলা ডিসমিস করে দেন প্রয়োজনে। কিন্তু আপনারা বিব্রত! এই আপনারাই গোলাম আযমের মতো যুদ্ধাপরাধী ও গণহত্যার সহযোগীকে নাগরিকত্ব দিতে বিব্রত বোধ করেন না।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামসহ ২৪জন দেশপ্রেমিককে দেশদ্রোহী ঘোষণা করতে বিব্রত হন না। ডাকাতি মামলায় কোলের শিশু যখন আসামী হয়ে আসে, তাকে গারদে পাঠাতে বিব্রত হন না। বরং বিব্রতবোধের সঙ্গে অযোগ্য হিসেবেও বড় গলায় দাবি করেন নিজেকে। কি লজ্জা! কি লজ্জা!! মহাত্মনেরা, এসব কিসের আলামত আমরা বুঝি। সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন উঠবে, তখন আপনারা এই বিব্রতবোধের ভাইরাসে আবারও ভুগবেন।

কিংবা পার্টিজান লেবাস পড়ে সোজা জানিয়ে দেবেন এরা কোনোভাবেই যুদ্ধাপরাধী না। অতএব খাল্লাস। আর সেই রায় নিয়ে নেত্য করবে এইসব হায়েনা ও তাদের শাবকেরা। দুঃখিত জনাবেরা। আমার ঘামে ভেজা আয়করে আপনাদের যে আসনটিতে বসানো হয়েছে, তার যোগ্য আসলেই আপনারা নন।

লাজলজ্জা থাকলে দয়া করে ইস্তফা দিন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.