আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রীষ্মের তাপদাহ; প্রয়োজন সচেতনতা



গত কয়েকদিন থেকে আবারওশুরু হয়েছে ভীষণ গরম। এই গরমে পরাণ ওষ্ঠাগত হবার যোগার। জন জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে গরম। এই তাপদাহে দেহ নামক যন্ত্রটি কিন্তু বিগড়ে যেতে পারে যখন তখন। হিটস্ট্রোক (তাপ অবসন্নতা) কথাটার সাথে আমরা এখন কমবেশি অনেকেই পরিচিত; অন্তঃত একবার শুনেছি।

আমি চেষ্টা করব আপনাদের একটু ধারণা দিতে যাতে বিগড়ে যাওয়া দেহ যন্ত্রটিকে প্রাথমিক কিছু শ্রুষুষা দেয়া যায়। তাপ অবসন্নতা কি? অতিরিক্ত গরমের ফলে ঘামের সাথে শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি ও প্রয়োজনীয় লবণ বের হয়ে যায় তার বিপরীতে শরীরের এক প্রকার বিপরীতমুখী সাড়াই হল তাপ অবসন্নতা। বিপদ সংকেত ও উপসর্গঃ ১. অতিরক্ত ঘাম হওয়া, ২.অবসন্নতা বা অবসাদগ্রস্ততা, ৩. পেশীর খিঁচুনী, ৪. অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব ও দুর্বলতা, ৫. ঝিমঝিম ভাব অথবা জ্ঞান হারানো, ৬. মাথা ঘোরানো ও বমি করা ইত্যাদি। কি করা প্রয়োজনঃ ১. অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা স্হানে বিশ্রাম নিন। খুব গরম পরিবেশ থেকে হঠা? খুব ঠান্ডা পরিবেশে যাবেন না।

যেমন- বাহির থেকে এসেই এসি রুমে যাবেন না। কিছুক্ষণ সাধারণ তাপমাত্রায় অপেক্ষা করে তারপর এসিতে যেতে পারেন। অর্থা? ধীরে ধীরে পরিবর্তিত তাপমাত্রা শরীরে সয়ে নিন। ২. গরমে ঢিলে ঢালা পোষাক পরুন ৩. গোসল করতে পারেন। তাতে দেহের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

৪. প্রচুর তরল পান করুন এবং কেফেইন জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। ডাবের পানি, লেবুর শরবত্ উত্তম পানীয় হতে পারে। ৫. যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী স্বাহ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন এবং প্রয়োজনীয় চিকি?সা নিন। কি ভাবে তাপদাহজনিত অসুস্হতা প্রতিরোধ করা যেতে পারেঃ ১. যারা কাজের প্রয়োজনে বাইরে যান তারা ঘন ঘন ছায়া ঘেরা জায়গায় বিশ্রাম নেবেন। তাতে আপনার শরীর ধীরে ধীরে তাপ সয়ে নেবার ক্ষমতা অর্জন করবে।

২. যারা বাইরে কাজ করতে অনভ্যস্ত তারা কাজ শুরু করে ধীরে ধীরে কাজের গতি বাড়াতে পারেন অথবা দিনের বেলা সকালের দিকে কিংবা বিকেলের দিকে বাইরের কাজগুলো সেরে নিতে পারেন। ৩. রোদে পোড়া আপনার দেহের ঠান্ডা হবার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং এর অতি বেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। তাই সানস্ক্রিন লোশান ব্যবহার করতে পারেন। ৪. হালকা রংয়ের ঢিলে ঢালা পাতলা কাপড় পরুন, তাতে গরমে আরাম পাবেন। ৫.যারা এসি ব্যবহার করেন তারা এসির তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে নামাবেন না, তাতে বাইরের তাপমাত্রার সাথে ভেতরের তাপমাত্রার একটা সামঞ্জস্য থাকবে।

৬. প্রচুর তরল পান করুন। ৭. যে সমস্ত পানীয়তে ক্যাফেইন, এলকোহল এবং অধিক পরিমানে চিনি রয়েছে সে সব পানীয় পরিহার করুন কেন না এসব পানীয় আপনাকে আরোবেশি করে ঘামিয়ে তুলবে। এছাড়া অধিক ঠান্ডা পানীয় পরিহার করুন, কেন না এতে পেটের পেশীতে খিঁচুনী হতে পারে। ৮. মশলাযুক্ত খাবার হতে বিরত থাকুন। ভরপেট আহার করবেন না।

আশাকরি এই পরামর্শগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। সুস্থ থাকুন, কর্মক্ষম থাকুন এবং সবসময় সজীব থাকুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।