আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোয়াত যুদ্ধে মানবিক বিপর্যয়>ওবামা-জারদারীর দুঃশ্চিন্তা>আমরা কতটুকু নিরাপদ ?

যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি

দুপাশের দেওয়াল সোজা উঠে গেছে আকাশে!একেবারেই খাড়া। পাথুরে পাহাড় ভীষণ একাকী দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও কোথাও মারাত্মক ভাবে বেঁকে গেছে পাহাড়গুলো। তারই বুক চিরে কালসেটে রঙের পিচঢালা পথ। শুন শান! কোথাও কেউ নেই! টানা গাড়ি চালিয়ে যাওয়া সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছে এই জনপদের আসল চেহারা।

কিছুদূর পর পরই কয়েকটি করে পোড়া গাড়ি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। কোথাও কোথাও মৃত কংকালের মত ব্যাটল ট্যাংক হুমড়ি খেয়ে শুয়ে আছে! কোথাও কোন জনমানুষের চিহ্ন নেই! আকাশে চক্কর দিচ্ছে শকুন আর বাজপাখি। খাবার খুঁজতে থাকা কাক আর চিলেরাও একটু নিচু দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। মাইলের পর মাইল এমন সায়েন্স ফিকশন মুভির বাস্তব দৃশ্যাবলির মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ করে দুএকজন মানুষ উঁকি দিচ্ছে। গাড়ির শব্দ পেয়ে আবার সরে পড়ছে।

গোটা এলাকাটা স্থানুর মত বুকে গন্ধক আর বারুদের গন্ধ মেখে বিভিষিকা হয়ে শুয়ে আছে যেন..... এটাই সোয়াত! এখনকার সোয়াত! খুব ছোট বেলায় একটা মুভি দেখেছিলাম, “রোড টু সোয়াত” নামে। কমেডিয়ান ল্যাহেরী ছিল বলে, আর রঙিন ছিল বলে আমরা হুড়োহুড়ি করে দেখতে গেছিলাম। কমেডিধাঁচের সারা ছবিতে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছড়াছড়ি। মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখেছিলাম আমরা। ফটিক জলের ঝর্ণা, সবুজ পাহাড় আর নানা রঙের ফুলের সমাহার।

সোয়াতকে বলা হতো “জামিন পার বেহেস্ত”। সেই সোয়াত এখর বিরান ভাঙ্গাচোরা মৃতপুরী। জনমানবহীন কোন এক ভিন গ্রহের ছবি যেন। কারা করল এই হাল? পাকিস্তান সেনাবাহিনী? নাকি তালিবানরা? গত কিছুদিন ধরেই সোয়াতের আশেপাশে তালিবানরা একটু একটু করে নিজেদের ক্ষমতা সংহত করছিল। শরীয়া আইন চালু করেছিল।

কেন্দ্রীয় সরকারকে বাধ্য করেছিল তাদের শরীয়া আইনকে স্বীকৃতি দিতে। ওখানকার জনপদে র্দোদন্ড প্রতাপে খুঁটি গেঁড়েছিল তালিবানরা। এখবর আমরা সংবাদপত্রেই জেনেছিলাম। রোজই একটু একটু করে তালিবানদের অগ্রাভিযান চলছিল। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো সকলেই ছুটে এসেছিল সোয়াতে।

এক্সক্লুসিভ রিপোর্টও হচ্ছিল ঘন্টায় ঘন্টায়। পাকিস্তান সরকার প্রথম প্রথম ভেবেছিল, অনেকদিন ধরে সীমান্ত প্রদেশে যেমন চলছে, এটাও তার বাইরে কিছু নয়। কিছুদিন পরে এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। না, এমনিতেই কোন কিছু ঠিক হয়নি। পাকিস্তানের পশ্চিমা বন্ধু আমেরিকা, ব্রিটেন জোর তাগাদা দিচ্ছিল তালিবানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

কিন্তু কে নেবে? জারদারীর সরকারের নিজেরই পায়ের তলে শক্ত মাটি নেই। তারা কিভাবে দেশে গৃহযুদ্ধের দানবকে ডেকে আনবে? শেষ পর্যন্ত তাই ডেকে আনতে হলো। সরকার ঘোষণা দিয়ে সোয়াত এবং এর আশেপাশের বিস্তির্ণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে শুরু করল। লাখ লাখ মানুষ অবর্নণীয় কষ্ট স্বীকার করে রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে সরে এলো। জাতিসঙ্ঘের যেন এমন কিছুরই অপেক্ষা থাকে! তারা রাতারাতি তাবু-টাবু নিয়ে হাজির।

হাজার হাজার তাবু আর লাখ লাখ মানুষ তবুও খোলা আকাশের নীচে অবস্থান নিল। একাত্তরে ঠিক যে অবস্থার শিকার হয়েছিল এই বাংলাদেশের মানুষ। খাবার নেই, পানি নেই, মাথার ওপর আচ্ছাদন নেই। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে তীর্থের কাকের মত খাবার যোগাড় করা। একজনের খাবার দিয়ে চার-পাঁচ জনের সংসার চালানো, সবই হচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যমে যাকে স্ট্রং ল্যাঙ্গুয়েজে বলা হচ্ছে- হিউম্যান ডিজাষ্টার! এমাসের ৩ তারিখ থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী সোয়াতে সর্বাত্মক আক্রমন শুরু করেছে। সরাসরি কনভেনশনাল ওয়ার! কাগজগুলোতে খবর হয়েছে দেড়শ মতো তালিবান আর ৫/৬ জন সেনা সদস্য নিহত। আসল খবর হচ্ছে নিহতের সংখ্যা এর চার-পাঁচ গুণ। হেলিকপ্টল্টার গানশিপ থেকে জঙ্গিদের অবস্থানে গোলাবর্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ স্থল হামলা শুরু হয়েছে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে জঙ্গিরাও।

চলছে তুমুল লড়াই। সামরিক বাহিনীর দাবি, গত ক’দিনের অভিযানে ৬৪ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এছাড়া নিহত হয়েছে ৫ সেনা ও ৩৫ জন সাধারণ মানুষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বৈঠকের প্রাক্কালে সোয়াতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এ অপারেশন শুরু হলো। গতকালই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওবামা-জারদারি বৈঠক।

এ সময় জারদারির সঙ্গে ছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। এদিকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কারণে সোয়াত উপত্যকা থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ, হুহু করে এই সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের সময় সোয়াতের মিঙ্গোরা শহরে একটি এতিমখানায় আটকা পড়েছে ৮০ শিশু ও ২০ জন কর্মী। শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, জানা যায়নি। মিঙ্গোরা শহরে মূল লড়াই চললেও ধীরে ধীরে তা পুরো সোয়াত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।

রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৬০ মাইল দূরবর্তী সীমান্ত প্রদেশের বুনের জেলায়ও সংঘর্ষ চলছে। সেখানে আধাসামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে ২৭ জঙ্গি নিহত ও আটটি যান ধ্বংস হয়েছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের জন্য উদ্বেগজনক একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায়। এতে বলা হয়েছে, জঙ্গি দমন প্রশ্নে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে পাকিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের উত্থান এবং দেশটির পরমাণু অস্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বলেছেন, তাদের পরমাণু অস্ত্র ‘নিঃসন্দেহে নিরাপদ’ হাতে আছে।

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, সরকারের জন্য তালেবান কোনো হুমকি নয়। এই ঘটনার সবচেয়ে অভিনব দিক হচ্ছে, আমেরিকার সকল দুঃশ্চিন্তা এসে কেন্দ্রীভূত হয়েছে পারমানবিক বোমা গুলোর উপর! তারা ভীষণ ভাবে চিন্তিত যে, ওই বোমা বোধ হয় যে কোন সময় তালিবানদের হাতে চলে যাবে! পাক সরকারের পূর্ণ আশ্বাসের পরও পেন্টাগন বিশ্বাস রাখতে পারছে না। তালিবানরা যে ধীরে ধীরে পাকিস্তানকে গ্রাস করে নেবে এটা এই বিষয়ে যারা সামান্যতম খোঁখবরও রাখেন তারা বলে দিতে পারবেন। মেশিনরুমের ফ্র্যাংকেনস্টাইন একসময় তার স্রষ্টাকেই যে হত্যা করে সেটা আগে লেখায়, কল্পনায় আর সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। আফগান যুদ্ধের পর তার বাস্তব ডেমোনেস্ট্রেশনও আমরা দেখেছি।

আফগানের পর পরই যে পাকিস্তানের পালা সেটাও গত আফগান যুদ্ধের পর থেকেই বেশ জোরেসোরে বিভিন্ন মহলে উচ্চারিত হচ্ছিল। পাকিস্তান যে উগ্র ইসলামী জঙ্গিবাদের উর্বর জন্ম এবং লালন-পালন ক্ষেত্র সেটা পাকিস্তানের পূর্ববর্তি প্রেসিডেন্ট মোশাররফও স্বীকার করে গেছেন। সমাজতন্ত্রী নজিবুল্লা কে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য আমেরিকাকে একেবারে উদোম হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে শুধু নয়, নিজেদের ভূখন্ডে তালিবানদের ট্রেনিং আর সংগবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে পাকিস্তান পেয়েছিল কোটি কোটি ডলার আর নিঃশর্ত আমেরিকান সমর্থন। তারই জোরে ফৌজি শাসক মোশাররফ দীর্ঘ মেয়াদে শাসন চালাতে পেরেছিলেন। সারা পাকিস্তান জুড়ে মসজিদে মাদ্রাসায় পাখির মত গুলি খেয়ে মানুষ মরছে।

বিদেশী অতিথিরাও একাধিকবার হোটেলের সামনে বা হোটেলের ভেতরেই মরেছে। ক্রমশঃ পাকিস্তান হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদের লীলাভূমি। সেই লীলাভূমিতে সন্ত্রাসীরা যে লীলা খেলা করবে তাতে তো অবাক হওয়ার কিছু ছিলনা! বিশ্বের কেউ অবাক হয়ওনি। কিন্তু সেই ফ্রাংকেনস্টাইনকে দমনের জন্য যে লাখ লাখ মানুষকে ভয়াবহ অব¯থায় ফেলতে হবে সেটি বোধকরি পাকিস্তান সরকারও ভাবেনি। এখন আর একটি বিপদ নিয়ে পাকিস্তান সরকারের ঘুম হারাম! তাদের সেনাবাহিনী কি তালিবান জঙ্গি নির্মূলে একাট্টা? এ প্রসঙ্গে খবর হচ্ছে, বেসামরিক সরকারের কর্তৃত্বে এ লড়াই কত দীর্ঘ হবে এবং তা কতটা সফল হবে তা কেউ বলতে পারছে না।

এ অবস্থায় নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের নির্মূল প্রশ্নে পাকিস্তানি বাহিনী একাট্টা নয়, দ্বিধাবিভক্ত। অনেক সামরিক কর্মকর্তা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে দ্বিধান্বিত । রিপোর্টে বলা হয়, জঙ্গি নির্মূল অভিযান জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও পাকিস্তানের জনগণ বিষয়টিকে সহজভাবে নিচ্ছে না। এমনকি সোয়াতের জনগণ মনে করে সরকারের সঙ্গে তালেবানদের স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সামরিক অভিযানের কারণে সোয়াতে শরিয়া আইন চালু করার ওই চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে।

পাকিস্তানে জঙ্গিদের উত্থান নিয়ে এ মুহুর্তে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় দেশটির পরমাণু অস্ত্র। মার্কিন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে বলেছেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র যাতে জঙ্গিদের হাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। এতে প্রচন্ডচাপে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এসব নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গতকাল হোয়াইট হাউসে জারদারি ও হামিদ কারজাইর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেন। এ বৈঠককে সামনে রেখে মঙ্গলবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জারদারি দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, তাদের পরমাণু অস্ত্র সঠিক হেফাজতে আছে এবং জঙ্গিরা সরকারের জন্য এ মুহূর্তে হুমকি নয়।

তিনি বলেন, পাকিস্তানে ৭ লাখ সদস্যের সেনাবাহিনী রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তালেবান জঙ্গিরা কিছুই করতে পারবে না। জারদারি আরো বলেন, পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনা সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই! এতো বড় আজব কথা! আমেরিকার হাতে পরমানু অস্ত্রের সঠিক তথ্য নেই! তবে কার কাছে আছে? তাহলে কি পাকিস্তানে আমেরিকার হস্তক্ষেপ আসন্ন? যদিও এখন পর্যন্ত আমেরিকা সরাসরি তাদের সেনা পাঠায়নি, কিন্তু পাক বাহিনী কোন কারণে দ্বিধা বিভক্ত হলে বা ব্যর্থ হতে শুরু করলেই যে আমেরিকান সৈন্য নেমে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। যদিও মাঝেমধ্যেই আফগানি¯তানের ঘাঁটি থেকে উড়ে গিয়ে পাকিস্তানের অনেক ভেতরে তালিবান অবস্থানের উপর মার্কিন বিমান বোমা ফেলে আসছে। একবার যদি সরাসরি মার্কিন সেনারা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে কি ঘটতে পারে? পাক বাহিনী অবধারিতভাবেই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।

সে ক্ষেত্রে এই আঞ্চলিক যুদ্ধটাই দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে মোড় নিতে পারে। এতো গেল পাকিস্তানের কথা। এর পর কি বাংলাদেশ? নিশ্চিতভাবেই তাই। আমাদের মহাজোট সরকার যতই সুখস্বপ্নে বিভোর থেকে বলুন না কেন যে, আমাদের দেশে জঙ্গিরা কোন ভীতিকর ফ্যাক্টর না। আমরা জানি ঠিক এই ধরণের কথাই মোশাররফ বলতেন।

আফগানিস্তানের সাফল্যের পর যেমন পাকিস্তানে তালিবানের পুর্নজন্ম হয়েছে, ঠিক সেভাবেই পাকিস্তানের ‘সাফল্যের’ পরে এই বাংলাদেশেও তালিবান এবং তাদের বিভিন্ন ফ্যাক্শনের জন্ম এবং পুর্নজন্ম হতে পারে। পারেই। কেননা, যুদ্ধক্ষেত্রে ছোট ছোট সাফল্য আগামীর বড় বড় সাফল্যকে হাত ধরে ডেকে আনে। পাকিস্তানের মত বাংলাদেশেও ঘরে ঘরে তালিবান পয়দা হওয়ার মত যথেষ্ট উর্বর জন্মক্ষেত্র আছে। যথেষ্ট উপাদান সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

আমাদের ভেতরকার ধর্মভীরুতাই আমাদেকে একসময় ‘ধর্মবাঁচানোর আন্দোলনে’ সামিল করে দিতে পারে। মধুমাস কেটে যাবার পরেও সরকার যদি এই আপাত ক্ষুদ্র কিন্তু আদপে বৃহৎ সমস্যার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নেয় তাহলে আমাদেরকেও এখনকার পাকিস্তানের মত মাশুল গুণতে হবে। হবেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।