আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিরপুর যেন সোয়াত

লেখক নাম : সাইইদ উজ্জ্বল ঢাকার মধ্যে পুরো মিরপুরটা যেন সোয়াত অঞ্চল। আপনাকে নাস্তিক হওয়ার দরকার নাই। একটু মুক্তচিন্তার চর্চা করলেই যেকোন সময় ভয়ংকর ধরনের আঘাত আসতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে হত্যা করা হয়েছে শহীদুল্লাহ কায়সারকে। ভাইকে খুঁজতে এসে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে গুম হলেন জহির রায়হান।

যুদ্ধকালীন সময়েই মহিলা কবি মেহেরূনন্নেসাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুরো মিরপুরটাই বুদ্ধিজীবিদের বধ্যভূমি! আমার ওপর সন্ত্রাসীরা ফেব্রুয়ারীর ১১ তারিখ সন্ধ্যায় প্রকাশ্যেই আঘাত করে। ( আমার ফেসবুক ওয়ালে ১০ তারিখে আমার স্টেটাসটি দেখুন আর ১১ তারিখে আমার অবস্থা দেখুন) উদ্দেশ্যমূলকভাবেই আঘাত করা হয়েছিলো আমার চোখে । আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার চোখটি বেঁচে গেছে। কিন্তু এর ক্ষতিকর প্রভাব আমাকে সারাজীবন হয়তো বইতে হবে।

যারা আমার ওপর আক্রমণ করেছিলো তারা মিরপুর এলাকার প্রভাবশালী স্বাধীনতা বিরোধী লোক। আমি এই এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এখানে। আমাকে শালিসে বসানো হলো। যে আমার ওপর আক্রমণ করেছিলো সেই বাট্টু খলিল আমার সাথে জোর করে হাত মিলাল।

আমাকে চিকিৎসা বাবদ টাকা দিতে চাইলো। আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম। শালিসের মধ্যে দেখলাম কিভাবে আওয়ামী লীগ, বি.এন.পি, জামাত এক হয়ে যায়। আমি ন্যায় বিচার পেলাম না। মিরপুরের দলীয় রাজনীতিটাও যেন অদ্ভুদ।

বেশিরভাগ নেতাই গামের্ন্টের 'জুট' ব্যবসার সাথে জড়িত। সকল দলের নেতারাই এর ভাগ-বাটোয়ারা পায়। ক্ষমতাসিনরা ভাগে বেশি পায় কিন্তু বিরোধীরাযে একেবারে বঞ্চিত হয় তা নয় । পরবর্তীতে ক্ষমতায় গেলে তাদেরকে যন একবারে ফেলে না দেয় সে হিসেব করে এরা এক অপরকে সমীহ করে চলে। এখানে টাকাই আদর্শ।

সুতরাং মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী যে কেউ আক্রমনের শিকার এমন কি মরে গেলেও এগুলো বিচারতো দূরের ব্যাপার হদিসও পাওয়া যায় না। আমি মামলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয়েছে মামলা করে ওদের কিছুই করা যাবে না। আমার ওপর আক্রমণকারী বাট্টু খলিলের নামে থানায় হরতালে গাড়ী পুড়ানো মামলা রয়েছে। তাহলে সে কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়।

সে নাকি সচিবালয়ে নিজের গাড়ি দিয়ে খেপ মারে। প্রকাশ্যেই সে বলেছে এসব কিছু না। তার কেউ কিছুই করতে পারবেনা। আমাকে দেখে এরা মুচকি মুচকি হাসে। কিন্তু আমি জানি এই হাসির পেছনে রয়েছে আমাকে আঘাত করার প্রশান্তি।

তাই আপাতত শাহবাগে গিয়ে নিজের নাম লিখে একটা বেলুন আকাশে ছেড়ে দিয়ে আসি। জয় বাংলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.