আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বান্দরবান জেলার মানচিত্র

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
পাহাড়, ঝরনা, নদী ও অনেক নৃগোষ্ঠীঅধ্যুষিত বান্দরবান জেলাটি বাংলাদেশের খুবই সুন্দর একটি স্থান। তবে আজও এই জেলার সৌন্দর্য পুরোটা আবিস্কার হয়নি বলেই মনে হয়। আজও সবাই বান্দরবান বলতে কেবল বান্দরবান সদর, রুমা, বগা লেক আর ক্রিওক্রাডংই বোঝে।

অথচ বান্দরবান তো কেবল রুমা, বগা লেক আর ক্রিওক্রাডং নিয়েই তো নয়- বরং বান্দরবান আরও বড়- আরও সুন্দর; তীব্র সুন্দর। এদেশের প্রত্যেকেই যেন সে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে সে জন্য সর্বপ্রথমে বান্দরবান জেলার মানচিত্রের পাঠ জরুরি। বান্দরবান জেলার মানচিত্র। লক্ষ করুন-সাঙ্গু নদীটি বয়ে গেছে উত্তর থেকে পুব দিকে। রোয়াংছড়ির অবস্থান বান্দরবান ও রুমার মাঝখানে ।

রুমার দক্ষিণে থানচি; পশ্চিমে লামা। লামার দক্ষিণ-পুবে আলিকদম। সাঙ্গু ছাড়াও আরও একটি নদী রয়েছে বান্দরবানে- মাতামুহুরী। লামা আর আলিকদম হয়ে মাতামুহুরী নদী চলে গেছে দক্ষিণ পুবে। দক্ষিণ-পশ্চিমে নাইক্ষ্যংছড়ি।

কাজেই বান্দরবান আজও দেশিও পর্যটকদের কাছে প্রায় অধরাই রয়ে গেছে। কী ভাবে বান্দরবান ভ্রমনের পরিসর বাড়ানো যায়? উত্তর ঐ একই। সরকারি উদযোগ, নিরাপত্তা ও বেসরকারি বিনিয়োগ। আগে নিরাপত্তার সমস্যা ছিল। আজ সেরকম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি আর নেই।

এ প্রসঙ্গে আমার সাম্প্রতিক একটি লেখা- পাহাড়ে নেমেছে শান্তি কবে যেন রক্ত ঝরেছিল শালগাছের গুঁড়িতে ছিন্ন করেছিল বুলেট নিরীহ শালপাতাদের? কবে যেন সাঙ্গুর রক্তিম জলে ভাসানে গিয়েছিলেন ভয়ার্ত দেবতা বুঙঅ? কবে যেন মৃত্যুর আগে সাপছড়ির গন্ধ পেয়েছিল প্রতিরোধ যোদ্ধাটি ... কবে? এখন চারিদিকে ভালোবাসাময় রোদ্দুর ছড়িয়ে আছে। এখন পূর্বেকার বিরোধসমূহ সব অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়; এখন শালগাছের পাতায় পাতায় প্রতিফলিত ঝলমলে রোদ এখন পূর্ন শান্তি নেমেছে নদী ও পাহাড়ে ... এখন পর্যটকে পূর্ন পাহাড়ে ও নদীতে কাটছে নিরুদ্বিগ্ন দিন ও রাত। এখন পূর্বেকার সব রক্তপাত দুঃস্বপ্নের মতো মনে হয় পাহাড়ে নেমেছে শান্তি। এ শান্তি অক্ষয় হোক। ২ বান্দরবান জেলার মানচিত্র আমাদের জানিয়ে দেয় -আমরা এখনও পাহাড়, ঝরনা, নদী ও অনেক নৃগোষ্ঠীঅধ্যুষিত বান্দরবান জেলাটি সম্পূর্নরুপে এক্সপ্লোর করতে পারিনি।

এই ১০/১৫ বছর আগেও পর্যটকশূন্য চিম্বুক বা রুমা থমথম করত। এখন ওখানে ক্রমেই দেশিও ট্যুরিষ্টদের ভিড় জমে উঠছে। তবে এখনও বান্দরবান জেলার সৌন্দর্য আবিস্কার পুরোটা হয়নি। কী ভাবে বান্দরবানের রুপ পুরোটা দেখা যায়? লামা, থানচি ও নাইক্ষ্যংছড়িতে কি গড়ে উঠতে পারে না সরকারি ও বেসরকারি উদ্যেগে ট্যুরিষ্ট কটেজ? আলীকদমের একটি পাঙ্খো গ্রামে কি একবেলা বনমোরগের মাংশ দিয়ে ভাত খাওয়া যায় না? রোয়াংছড়ির খুমিদের গ্রামের উঠানে বসে আহারান্তে এক রৌদ্রময় দুপুরের আড্ডা কি হতে পারে না? মাতামুহুরী নদীতে কি সাদা রঙের স্টিমার ভাসতে পারে না? শুনেছি নাইক্ষ্যংছড়ি তে রয়েছে বিশাল বিশাল আনারস ক্ষেত। সে মনোরম দৃশ্য কি দেখবে না এদেশের অন্যরা? সবাই চা বাগান দেখতে সিলেটে যায়-দিনবদলের পালা শুরু হোক।

আসলে বাংলাদেশ আমাদের অনেকটাই অদেখা। নতুন পথ খুলছে। এই শান্ত নির্জন গ্রামে আছে অপার শান্তি এই ঝরনার শীতল জলেও আছে শান্তি এই গভীর নির্জনতা আপনাকে ডাকছে ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত । বান্দরবান জেলার মানচিত্র; বাংলাপিডিয়ার সৌজন্যে।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।