আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি পুরো ভয়ংকর গল্পঃ বুদ্ধিমত্তা। (শেষ দৃশ্য)

যখন আমি হবো শুধুই স্মৃতি, আমার এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা গুলো সবার সামনে আমাকে আরো স্মৃতিময় করে তুলবে।

৩য় দৃশ্য কিছুক্ষণ বিমূঢ়ের মত সেদিকে তাকিয়ে রইলেন মিসেস রেহানা। কিন্তু কিছু সময় পরই তাকে অবাক করে দিয়ে হো হো করে হেসে উঠল লিজা। তার দিকে তাকালেন মিসেস রেহানা। “আম্মু তুমি গিয়ে দেখ তো লাশটা আসল না নকল?” মিসেস রেহানা সম্মোহিতের মত এগিয়ে গেলেন সেদিকে।

তারপরই বুঝতে পারলেন সব। এটা কোন লাশ না। একটা বড় পুতুলকে একদম লিজার মত চেহারায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। চেপে রাখা নি:শ্বাস টা ছেড়ে দিলেন মিসেস রেহানা। লিজার দিকে ফিরলেন, এটা কি হল? “বাহ্, তুমি তোমার নিজের মেয়ের উপর গবেষণা চাপিয়ে দেবে আর আমি তোমার সাথে এটুকু করতে পারব না?” পুতুল টাকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি, “এটা কার সৃষ্টি?” “তোমার সহকর্মীর গুণ তুমি নিজেই জানো না?” মিসেস রেহানা বুঝতে পারলেন এটা রকিবের কাজ।

ছেলেদের দিকে ফিরলেন তিনি। “এমনটা হবার তো কথা ছিল না। “ “ম্যাডাম, আপনার দেয়া কাজটা সফল ভাবে আমারা সম্পন্ন করতে পেরেছি। ঘরে ঢোকার আগমুহূর্ত থেকে পরবর্তী সময়ের তার সমস্ত অনুভূতির রেকর্ড ভিডিও টাতে রয়েছে। “ “আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এবার গবেষণাটা আমরা শেষ করতে পারব।

“ “আসলে হয়েছে কি, রকিব নামের ছেলেটি বলতে শুরু করল, লিজা খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিল। একারণে তাকে আমাদের সব খুলে বলতে হয়েছে। এদিকে আপনারো আসতে এতোটা দেরী হল.....” “আমি হঠাৎ করে ভুলেই গিয়েছিলাম আসলে। “ “কিন্তু আমার শুধু একটাই প্রশ্ন করার ছিল। চিৎকার টা কে করল?” পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল ওরা।

কারণ তাদের প্ল্যানে চিৎকারের কথা ছিল না। উত্তর দিতে পারলনা কেউ। অবাক দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে রইলেন মিসেস রেহানা। আর একটি মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে গিয়ে পরবর্তিতে অন্য এক নতুন রহস্যের মধ্যে জড়িয়ে পড়লেন তিনি। এবং যেটা ছিল আরো অনেক বেশী ভয়ানক।

সমাপ্ত........

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.