আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জানি তুমি আজ কাঁদবে (০৩)....(উড়ো চিঠি)

www.shopnopuri.net

Click This Link অনেকদিন হল তোমাকে কোন চিঠি দেইনি। তুমি অভিমান করেছো হ্য়তো,,,, আমি ভালই আছি। এই জানো,নীতু আর বেঁচে নেই। আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। দেখতে না গেলেই হয়তো ভালো হত।

শশুর বাড়ির লোকেরা নির্যাতন করে,কি যে অবস্হা করেছিল তার! এক বছর হল নীতুর বিয়ে হয়েছে। মোটা অংকের যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটার। অনের বড় ঘরে রাজ-রাণীর মত মেয়ে থাকবে এই আশায় নীতুর বাবা নিজের শেষ সম্বল ঐ ধানী জমিটুকুও বিক্রি করে নগদ টাকা তুলে দেন বেয়াই এর হাতে। বিয়ের তিন মাস পর নীতুর শশুর বাড়ির লোকেরা আবার টাকার জন্য চাপ দেয়। পরের বার নীতুর বাবা আর টাকা দিতে পারেননি।

শুরু হয় নীতুর উপর নির্যাতন। মেয়ের এই অবস্হা শুনে নীতুর বাবা তার বাড়ি বন্ধক রেখে টাকা দেবেন বলে মেয়ের শশুর বাড়ীতে খবর পাঠান। নীতু এই কথা শুনে প্রতিবাদ করে তবুও তার স্বামী টাকা নিয়ে আসার জন্য তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিছু দিন পরেই তার বাবা মারা যান। নীতু শশুর বাড়ীতে আর ফিরে যায়নি।

দিনের পর দিন সে যেখানে কেবল নির্যাতনের শিকার হয়েছে,সেখানে সে কেন যাবে!বাড়ির উঠানে শাক-সবজি চাষ করে নীতুর দিন ভালোই কাটছিল। একদিন সেখানেও তার স্বামী উপস্হিত হয় বাড়ীর লোভে। নীতু ফিরে যেতে চায়নি আর বাড়িটাও বেঁচতে চায়নি। এই দিন রাতে নীতুর বাড়িতে আগুন লাগে। নীতু আগুনে পুরে মারা যায়।

আগুনে ঝলসে যাওয়া নীতুকে কোলে নিয়ে আমি সাড়া গাঁয়ে চক্কর দিয়েছি,চিৎকার করে বলেছি,"শত শত নীতু মারা যাচ্ছে,তুমরা আর চুপ হয়ে থেকোনা,কেউ কিছু করো"। আমার কথা শুনে সেদিন সাবাই আমাকে পাগল ভেবেছিল। মজার কথা কি জানো,পুলিশের রিপোর্টে লেখা হয়,নীতু আত্নহত্যা করে। কত যে মজার মজার খেলা শুরু হয়েছে এই দুনি্যায় ! এই নীতুর সাথে নানান খেলা খেলে কেটেছে আমাদের শৈশব ও কৈশোরের দিন গুলি, তোমার মনে আছে নিশ্চই। ,,,,,,,,,,,,,,,আমার এখন আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছেনা।

তুমি ভালো থেকো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.