আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"বসন্ত পিকনিক" ::: সংক্ষেপে বিস্তারিত

"যুদ্ধপাপীদের শাস্তি চাই"
তারিখ: আজ ১৩ মার্চ মোট যাত্রী: কালপুরুষ ক্যামেরাম্যান অরণ্য আনাম + ১ জন অতিথি বোকা-সোকা চটপটি + ১জন অথিতি বন্ধু কই কৈ মাহমুদুল হাসান রুবেল + ২ জন অতিথি ডাঃ ইকবাল হোসেন + ১ জন অতিথি সৌম্য দন্ডিত পুরুষ + ১ জন অতিথি আবদুর রহমান (রোমাস) এস রহমান আবু সালেহ পথিক!!!!!!! একরামুল হক শামীম সুনীল সম্রদ্র কাকভূষুন্ডি সারিয়া + ৪ জন অতিথি মনুজুর হক + ১ জন ক্ষুদে অতিথি মুক্ত বয়ান জানা + ১ জন অতি ক্ষুদে অতিথি আরিল বাংলাদেশ ফয়সাল রুবন ড্রাইভার: ২জন পিওন: ২জন মোট: ৪০ জন ============================================= পিকপিক-এ সকল ব্যবস্থাপনা ও চাঁদার টাকার বাহিরে যে অর্থ খরচ হয়েছে, তা স্বইচ্ছায় বহন করার জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ> কালপুরুষ-দার কাছে। ব্যাস্থাপনায় "ক্যামেরাম্যান"-দার কথা না বললেই নয়। তাঁকে জানাই কৃজ্ঞতা। পুরস্ষ্কার-এ পৃষ্টপোষকতায়: রাজ্জাক কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ এন্ড ভাই ভাই ফুড প্রডাক্টস দুপুরের খাবারের সাথে ঠান্ডা পানীয় ও বিকালের নাস্তার সাথে টফি কমলার জন্য কৃতজ্ঞ: জানা এবং আরিল দম্পিতর কাছে [সবাইকে একটি করে ক্যালেন্ডার দেয়া হয়েছে] যাত্রা শুরু হয় মহাখালি থেকে সকাল ৭টায় তারপর সাড়ে ৭টায় বাস আসে খামার বাড়ি। সবাই সেখান থেকেই উঠবে।

আর তাই ব্লগারদের জন্য সেখান থেকে যাত্রা হয় সাড়ে ৭টায়। সায়দাবাদ আসতেই আমরা পরি বিশাল যানজটে। শনির আখরা থেকে উঠে ব্লগার পথিক। কাঁচপুর ব্রীজ পার হয়ে আমার নাস্তা করি বাস থামিয়ে সিলেট মহাসড়কে। তারপর বাস সরাসরি চলে যায় কাঞ্চননগর।

পূর্বাচল জায়গাটি আগে কেউ দেখেনি। তবে, নেট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায় যে, সেখানে তেন কোন গাছ নেই। আর তাই এর আগের পোষ্টে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, আমরা পূর্বাচল ঘুরে চলে যাব জমিদারবাড়ি। কিন্তু আজ আমরা যাত্রা পথে দেখলাম রাস্তার অবস্থা ভাল না। তাই, সিদ্ধান্ত হলো আমরা সেখানকার ইকো পার্কে পিকনিক করবো, যা রাজউক অফিস থেকে মাত্র ৩ কি.মি. দূরে।

এরপর আমরা একটি সুবিধামত জায়ায় আমাদের স্থান ঠিক করলাম। সেখানে আরো অনেক পিকনিক দল এসেছে এসেছে। ঘরিতে তখন ১২টা। সাথের পিকআপটি চলে যায় খাবার আনতে। কিন্তু রাস্তায় আজ প্রচুর যানযট থাকায় ধারনা করা হয় খাবার আসতে দেরি হবে।

আর তাই খাবার এলো দুপুর ৩টায়। এর মাঝে আমরা আমাদের পরিচিতি, আলোচনা ও বিনোদোনের জন্য খেলা-ধুলা গুলো করার চেষ্টা করলাম। [চলছে লাইভ বিজ্ঞাপন বিরতি] বিনোদনের জন্য কি কি করা হবে, তা অনেক আগ থেকেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল বিগত দুটি পোষ্টে। বাসে উঠেই আমরা শুরু করি র‌্যাফেল ড্র এর টিকেট বিক্রি করা। প্রতি টিকিট ২০/- অতি মাত্রায় মাত্র ।

বেশ সাবই খুব আগ্রহ নিয়ে টিকিট কেনা শুরু করে। কাঞ্চণনগরের রাস্তা অনেক খানি খুব ভাঙা, যার ফলে সবাই দুভোগ পোহাতে হয়। পার্কে আমাদের স্থান ঠিক করার পর শুরু হয় পরিচয় পর্ব। সাবই সাবর পরিচয়, ব্লগ অভিজ্ঞাতা বর্ণনা করে। আর তাতে, সামু ব্লগের মডারেশন নিয়ে বেশ কিছু খোলামেলা আলোচনা হয়।

তবে এই আলোচনায় আমারে "ব্যান" আর "আরিলরে" "জেনারেল" করা হইছিল । এরপর শুরু হয় বিনোদনের জন্য খেলা। পূর্বে নির্ধারিত খেলার মধ্যে প্রথমে শুরু করা হয়, "মগজ ধোলাই"। এই খেলার সাথে সবাই ছিল অপরিচিত। তাই সাবইকে বুঝিয়ে বলাতে কেউ কেউ "ভয় পেল" না পারার ভয়ে, আবার কেউ কেউ নতুনত্বের আনন্দ উপভোগ করতে উচ্ছাস প্রকাশ করলো।

খেলার নিয়মটা হচ্ছে, কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের নাম একজন বলবে, যেমন কোন লেখকের নাম, বা ফলের নাম বা ফুলে নাম। খেলায় সবার সম্মতি ক্রমে ফলের নাম নির্বাচিত হলো। অর্থাৎ, প্রথম জন একটি ফলের নাম বলবে, পরের জন আগের জনের ফলের নাম বলে নিজে আরো একটি ফরের নাম বলবে। তারপরের জন প্রথম ও দ্বিতীয় জনের ফলের নাম বলার পর তার নিজের পছন্দের অন্য একটি ফলের নাম বলবে। এভাবে চলতে থাকবে।

যে ভুল করবে, সে বাদ। সাবই বেশ চমৎকার উপভোগ করলো খেলাটি। শেষ পর্যন্দ খেলাটিতে টিকে থাকলো শরিফ রহমান পাপ্পু ও যূথি নামে দুজন অতিথি। বিজয়ী হলো জুথি এবং দ্বিতীয় শরিফ রহমান পাপ্পু। বেশ্ ভাল লড়াইও করেছেন ব্লগার পথিক-দা।

এরপর শুরু হলো মহিলাদের "বালিশ খেলা"। আটজন মহিলা ও মেয়ে অংশ গ্রহণ করে এই খেলাতে। শেষে টিকে থাকে ব্লগার মনজুরুল হক ভাইয়ের ছোট্ট মেয়ে শ্রুতি ও ব্লগার সারিয়া আপা। তবে আপা আর খেলেননি। শ্রুতিকে তিনি বিজয়ী ঘোষণা করে দিয়েছেন হারার ভয়ে ।

তাই এই খেলায় বিজয়ী হলো ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া শ্রুতি। [বালিশ খেলা] এরপর শুরু হয় "পাঞ্জা লড়াই"। হঠাৎ মেয়েদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ!! তারাও খেলেতে চায় । আমি বললাম, লিস্ট অনুযায়ি মেয়েদেরও "পাঞ্জা লড়াই" আছে । কিন্তু নারাজ, তারা ছেলেদের সাথেই লড়াই করবে।

। কি আর করা, তাই হলো। দুজন করে দর করা হলো লটারি করে। মেয়ে বনাম ছেলে হলো দুটি এবং মেয়ে বনাম মেয়ে হলো একটি দল। শুরু হলো "পাঞ্জার লড়াই" ।

শুরুতেই বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের একমাত্র "উকেট কিপার" আইরিন বনাম ব্লগার পথিক। জিতলো পথিক ভাই একটু ঘাম ঝরিয়ে । এরপর সুমনা বনাম আবু সালেহ। এখানেও জয়ী মেয়ে সুমনা। জানাপু।

এবার শুরু হয় হারুপাট্টি বানাম হারুপাট্টি । মার্শাল বনাম আইরিন। জিতেছে মার্শাল। কারপর জানাপু ও মাহমুদুল হাসান রুবেল। শিরোধার্য পরাজয় মাহমুদুল হাসানের ।

এরপর পথিক ভাই ও মার্শাল। এই দু্ইজেন খেলা হইছে জম্পেস!!। কেউ কাউরে হারাইতে পারছিল না। । অনেক্ষণ তাদের মধ্যে চলে লড়াই।

অবশেষে মার্শাল ছেড়ে দেয়। কারণ, তার পেশীতে টান লাগছিল । এরপর জানাপু বনাম রোমাস। জিতেছে জানাপু। ফাইনাল পর্যায় বিজয়ী-পথিকদা, রানার্সআপ- জানাপু এবং তৃতীয়- আইরিন এরপর শুরু হয় খাবারের পালা।

সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যেভাবে হাউ-কাউ করছিল, মনে হচ্ছিল "দূর্ভিক্ষ জনিত" মানুষ এরা । তবে, খাবারের মান নিয়ে সবাই বেশ্ খুশি। চমৎকার খাবার। আর এই খাবার-এর জন্য আবারো ধন্যবাদ "কালপুরুষ-দাকে"। খাবারের সাথে "কোমল পানীয়" দেয়া হয় "জানা-আরিল" দম্পিতর সৌজন্যে।

খাবার খাওয়া শেষে সবাই বিশ্রাম নেযার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে। আর এরই ফাঁকে চলতে থাকে ঢাকার খবরা-খবর নেয়া। বসুন্ধরা সিটিতে আগুন ধরার বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। আবার শুরু হয় খেলা। এবার "চেয়ার খেলা"।

অংশ গ্রহণ করে ১১জন। বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এই খেলায়। শেষ-মেশ বিজয়ী হয় পথিকদা এবং পরাজিত আইরিন তার পর পরই শুরু হয়ে যায় সবার কাঙ্খিত "লটারি" পর্ব। সবার মধ্যে টান টান উত্তেজনা। লটারি পর্ব পরিচালনা করি আমি।

আর আমাকে সাহায্য করে মনজুরুল ভাইয়ের মেয়ে শ্রুতি এবং জানা-আরিলের মেয়ে কিন্নরী। প্রথম পুরষ্কারটি হাতে পায় "আইরিন"। দ্বিতীয়> পথিকদা এবং তৃতীয় (কে জানি পাইলো মনে নাই ) । শান্তনা পুরষ্কার দেয়া হয় মোট ৯জনকে। এরপর আমরা যাত্রা শুরু করি ঢাকার পথে।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে, আমরা খুব ভাল ভাবে পিকনিক শেষ করতে পেরেছি। এরজন্য যারা পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমার অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো। [আপডেট-এ ছবি থাকবে] ছবির জন্য ধন্যবাদ: মাহমুদুল হাসান রুবেল মার্শাল রিচার্ড সৌম্য
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।