আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগুনের লেলিহান শিখার মাঝে একটি হেলিকপ্টার ও কিসসা

ইমরোজ

আমাদের দেশে একটা হাইরাইজে আগুন লেগেছে। পুড়ে গেছে অনেক খানি। হাইরাইজ কী দেশে একটাই ছিল? বসুন্ধরার কত আগে নির্মাণ করা হলো জনতা ব্যাংক আর বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন? তাহলে সেসব বিল্ডিং এ আগুন লাগতেই পারে। বসুন্ধরায় লেগেছে আর সেসবে লাগবে না কেন? অথচ আমাদের ফায়ার ব্রীগেড ১০ তলার উপরে উঠতে পারে না। আজব এক ব্যাপার।

উপরে ওঠার জন্য কোন ব্যবস্থাই নাই। ভয় হলো, এইসব হাইরাইজে আগুন লাগলে আমরা কী করব? দর্শক হিসেবে তা দেখতে যাব। ভীড় করব। আর অনধিকার চর্চা করতে আসবে আর্মি, র‌্যাব, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী। আচ্ছা এদের কাজ কী আগুন নিভান? সবাই মিলে সম্মিলিত ভাবে কী ভাবে আগুন নিভাবে? একটা কাজ করা যেত, পুরো সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, র‌্যাব পুলিশ, ফায়ার ব্রীগেড এরা যদি একসাথে ফুঁ দিত।

তাইলে হইত, এছাড়া তো গতি দেখি না। ফায়ার ব্রীগেড আজকে পানি মারছে একদিকে, সেইটা আবার ঘুরে আরেকদিকে গিয়ে লাগছে। সেখানে দেখি একটু পর আগুন জ্বলে উঠল। বলি, পানি ঢাল না কেরোসিন ঢাল? এখন থেকে হাইরাইজ ভবনগুলার উপরের তলা গুলার একপাশে বিশাল বিশাল বালতিতে পানি রাখা দরকার। আগুন লাগলে যেন, বালতি দিয়ে পানি মেরে আগুন নেভানো যায়।

এছাড়া এইদেশে আর উপায় কী? আর হ্যা, সেনাবাহিনীর একটা হেলিকপ্টার আছে, মাশাল্লাহ! সেইটা আগুনে ঘি ঢালতে ওস্তাদ। কী কামটাই করল আজকে, দেইখ্যা সত্যি ভাল লাগছে। আইচ্ছা যাউক, হেলিকপ্টার তুমাগো আছে, বুঝছি, সেইটা দেখানোর অনেক উপায় আছে। দরকার হলে মাইনসের বাসায় বাসায় ল্যান্ড করে মাইনসেরে দেখাও। কলির দেশ, এরপরে মিগ দিয়ে কবে আগুন নিভাতে আহে আল্লাহই জানেন!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।