আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একদিন মটরসাইকেল চালিয়ে পথচারী হিসাবে স্বাধীন বিচরণ সংকটে

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

একমাত্র পথচারী হিসাবেই আমি আমার দুর্দান্ত স্বাধীনতা উপভোগ করতাম। কিন্তু সেদিন এ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে মিরপুর থেকে মটর সাইকেল চালিয়ে উত্তরা যাবার পর থেকে আমি স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি। ঘনিষ্ঠজনেরা কেউ আমার সাথে উঠতে চায় না - তাদের বক্তব্য আত্মহত্যার জন্য আমি মটরসাইকেল চালাই, কেন তারাও আত্মহত্যা করতে যাবে! তবে নিন্দুকের মুখে ছাই..আইডিবির সামনে থেকে ফখরুদ্দিন সড়কে হাইস্পিডের আনন্দের সাথে একমাত্র রকেটের তুলনা চলে। কিন্তু সমস্যা হলো এরপর থেকেই। প্রধামন্ত্রীর অফিসের সামনে বের হয়েই পড়ে গেলাম মাইনকা চিপায়।

পথচারী হিসাবে আমি সিগনাল ছাড়াই রাস্তা পার হই, হতাম। গাড়ীর বেগ দেখে ধুমধাম নেমে পড়তাম সড়কে, চলন্ত গাড়ীগুলো আমাকে দেখে ব্রেক করবে প্রয়োজনে। কিন্তু সাইকেল চালাতে গিয়ে দেখলাম ডিভাইডারের উপরে এমন অপেক্ষমান পথচারীর দিকে আসলে কোন দৃষ্টিই দেয়া সম্ভব না। জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত এমন কয়েকজনকে মারতে মারতে বেচে গেলাম। কষিয়ে দিলাম গালি এবং তখনই মনে হলো, এই গালি তো নিজেকেই দিলাম।

জীবনে একবারও মনে হয় না সড়ক পেড়িয়েছি এত ভাবনাচিন্তা করে, উল্টো ড্রাইভাররা কেন খেয়াল করবে না - সেটাই ছিল মুখ্য চিন্তা। ফ্লাইওভারে এসে আবার কিছুটা ঝড়ের বেগের স্বাদ পেলেও বনানী থেকে উত্তরা সমস্ত রাস্তা জুরেই ডিভাইডারের উপরে হুটহাট পথচারী চলে আসতে দেখেছি। এমনকি কাকলী থেকে আর্মিস্টেডিয়াম, সিএমএইচ, গ্যারিসন, বিশ্বরোড পর্যন্ত যেখানে ডিভাইডারের উচ্চতা বেশি সেখানেও স্বাধীন পথচারীদের মুক্ত রাস্তাপারাপার। মাঝেমাঝে মনে হয়েছিল কয়েকটা মেরে দেই। একদিন মটরসাইকেল চালিয়ে পথচারী হিসাবে আমার স্বাধীন অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে।

পা মেপে রাস্তা পাড় হই! কেন যে মটরসাইকেল চালাবার ভুত চেপেছিল?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.