আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট্ট সোনামনি আছে যাদের ঘরে, আমার এ পোস্ট তাদের তরে



ছোটবেলা থেকেই পুতুল আমার ভীষন পছন্দের একটা খেলনা। আমার অবশ্য এমনিতেই পছন্দের জিনিসের শেষ নেই। এই পৃথিবীর খুব কম জিনিসই আছে যা আমার ভালো লাগার তালিকায় নেই। আর অতি অল্পেই আমি মুগ্ধ হতাম আর আজো হই। যে আমাকে প্রথম বানিয়ে দিয়েছিলো কাপড় পেঁচিয়ে দুটো বরবউ কাপড়ের পুতুল উনি ছিলেন আমাদের বাসার অনেক পুরোনো বুয়া।

তার কথা আমি আজো মনে রেখেছি। এত করে মনে রাখবার কারন তার সামান্য পুরোনো কাপড় পাকিয়ে তাতে কালো সুতোর চুল লাগিয়ে চোখ মুখ সেলাই করে বানানো সেই মনোমুগ্ধকর বর বউ পুতুলের সৌন্দর্য্য, কি এত সহজে ভোলা যায়? ছোট্ট বেলায় বুয়ার বানানো কাপড়ের পুতুল বানানোর সে প্রক্রিয়া দেখার পরে তা বানানোর নিরলস চেষ্টার আমার কোনো কমতি ছিলোনা। আর তা আজো অব্যাহত। সেদিন দুপুরে ছুটির দিনে বসে বসে ছেলেবেলার প্রাকটিস টা ঝালাই করতে লেগে গেলাম । আর বানিয়ে ফেল্লাম একটা ফিংগার পাপেট পুতুল।

ছোট্ট বাবুরা স্পেশালী মেয়ে বাবুগুলো খুব মজা পাবে এই পুতুলটা যদি তাদের আব্বু আম্মুরা তাদেরকে বানিয়ে দেয়। আর ছেলেবাবুদের জন্য বানানো যেতে পারে হামটি ডামটি বা পিনোকিও। এই পুতুল বানানোটা একদম সোজা। একটা চার্টপেপার/ কার্টিজ পেপার/ মাউন্ট বোর্ড/ কিছুই বাসায় না থাকলে যেকোনো বিস্কিট বা কর্ণ ফ্লেক্‌সের প্যাকেটের উল্টোদিক ওভাল সেপ করে কেটে নিতে হবে। আর তাতে উপরের দিকে চোখ মুখ একে কোমরের কাছটাতে এক টুকরো কাপড় / লেস/ রিবন দিয়ে ফ্রিল করে আইকা বা স্ট্যাপলার দিয়ে জুড়ে দিতে হবে।

আর চুল করতে লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে কালো উল বা সুতো/ কালো উল বা সুতো না থাকলে শুধুই কালো পেন দিয়ে চুল একে দেওয়া যেতে পারে। আর নিচের দিকে বাচ্চার/ মা/ বাবার আঙুলের মাপ করে দুটো ফুটো করে দিতে হবে এন্টি কাটার দিয়ে। তারপর দু আঙুল ঢুকিয়ে দুপা হয়ে গেলো পাপেট পুতুলের। এখন বাবুদের সামনে সে হাঁটতে পারবে নাচতে পারবে এমনকি লাফ ঝাঁপ ও করতে পারবে। আবার বাবুরা নিজেরাই এটাকে হাঁটাতে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.