আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবীতে এসেছি- রুয়েটিয়ান ও রাজশাহীবাসী

দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী! রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীর যে জোয়ার ফেসবুক ব্লগ থেকে মহাসমুদ্র সৃষ্টি করেছে শাহবাগে, সেই শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বর থেকে জোয়ার এসে পড়েছে রাজশাহী শহরে। সেই তারুন্যের জোয়ার লেগেছে রুয়েটিয়ানদের মাঝেও। মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই রুয়েটিয়ায়নদের কন্ঠে এই স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে তালাইমারী থেকে সাহেববাজার। ফাঁসির দাবীতে এগিয়ে চলা রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে আলুপট্টি মোড়ে অবস্থানরতদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা ও রুয়েট শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান এই উদ্দেশ্য শুরু হয় মিছিল। ব্যানার নিয়ে এগিয়ে চলা।

অল্পক্ষণের মধ্যে কয়েকশত রুয়েটিয়ান এসে যোগ দেয় মিছিলে। “ হই হই রই কাদের তুই গেলি কই” “কাদের মোল্লার দু গালে জুতা মারো তালে তালে” “একাত্তরের বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই” "৭১ এর হাতিয়ার, গর্জে ওঠবে আরেকবার" “ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি” এই স্লোগান গুলোতে এগিয়ে চলি আমরা। ব্লগার মুশাসি বলে উঠেন , “বাংলা মা তোর ভয় নাই” আমরা বলি, “রাজপথ ছাড়ি নাই”। চার পাশের মানুষের যোগায় অনুপ্রেরনা বিকেল ৪ টার কিছু পড়ে। এগিয়ে চলছি আমরা।

চার পাশ থেকে এগিয়ে আসে সাধারন জনগন। দুই হাতে তালি মেরে চেচিয়ে তারাও জানান দেয় রাজাকারদের ফাঁসি ছাড়া কোন উপায় নেই। পাশ সিয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল, রিক্সার আরোহীরা বলে উঠে "এ বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই"। ৪/৫ বছরের বাচ্চারা যেমন চেচিয়ে উঠে ফাঁসির দাবীতে তেমনি ৬০-৭০ বছরের বৃদ্ধ তারাও যোগ দেয় মিছিলে। একজন নিজেই দিতে শুরু করেন, “তোমার আমার ঠিকানা” আমরা বলে উঠি , “পদ্মা মেঘনা যমুনা”।

মাঝে মাঝে স্লোগান না দিয়ে কখন চার পাশে বা কখন নিজের বড়-ছোট ভাইদের দিকে তাকিয়ে থাকি। অবাক নয়নে দেখি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে কত সোচ্চার তারা। একেকটা স্লোগান তারা দিচ্ছে মনের ভিতর থেকে। আলুপট্টি মোড়ে এসে রুয়েটিয়ানদের দাবী এবং সারাদেশের নবজাগরনের সাথে থাকার ঘোষনা দেয় ফেসবুক অ্যাকটিভিস্ট এ এন ফয়সাল আহমেদ । রুয়েটের ভেতরে সারা দেশের সেই একই দাবীতে রুয়েটের ভিতর নেওয়া হয় অবস্থান, শহীদ মিনারের সামনে গান গেয়ে স্লোগান দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় অন্য কোন দাবী নাই রাজাকারের ফাঁসি চাই।

সেই সাথে রুয়েটের ভিতরে রাস্তায় আঁকা হয় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে নানান চিত্র। এবং রাজশাহীর “প্রজন্ম চত্বর” আলুপট্টি মোড় বিকেল থেকে প্রাণের দাবীতে ভিড় করে সবাই। শুরু হয় গান, কবিতা পাঠ ও স্লোগান। গুণীজনের দেন তাদের বক্তব্য। জানান ৬৯, ৭১ এ তাঁরা যে জোয়ার দেখেছেন তারুণ্যের তা যেন ফিরে এসেছে ২০১৩ তে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসে যোগ দেয়। গানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলে তাঁরা গোটা চত্বর কে। জানিয়ে দেয় “এ বাংলায় রাজাকারের ঠাই নাই””রাজাকারের ফাঁসি ছাড়া কোন কথা নাই”। সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালানো , রাজাকারের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। পতাকা নিয়ে ফাঁসির দাবীতে মুখরিত তরুণেরা।

এক পাশে দাঁড়িয়ে কণ্ঠ মেলান প্রবীণেরা। পদ্মার বাতাসের সাথে মাইকের ভেসে আসে , “তীর হারা ঐ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিব রে” চলতে থাকবে এ আন্দোলন যতদিন না আমাদের প্রাণের দাবী বাস্তবায়িত হয়। এবং আলোচিত একটা ছবি ছবি কৃতজ্ঞতা বন্ধু আবুযর গিফারী ও বন্ধু হোসেন আল ওয়াসি । এই লিঙ্ক থেকে তাদের তোলা রাজশাহীর ও রুয়েটের ছবিগুলো দেখতে পাবেন #ওয়াসি # গিফারী ১ম দিন গিফারী ২য় দিন ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.