আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাহেলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি --



রাহেলাকে নিয়ে ব্লগের যারা যারা একনিষ্ঠ ভাবে নিরন্তর অক্লান্ত খেটেছেন.. তাদের প্রতি উৎসির্গত: রাহেলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- গার্মেন্টস কর্মী মোছাম্মত রাহেলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। ঢাকা-১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক এ কে এম মোস্তফা দেওয়ান সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এই রায় ঘোষণা করেন । দণ্ডপাপ্ত আসামি মো. লিটন পলাতক রয়েছে। তার বাড়ি সাভার থানার ভাটপাড়া গুদারা ঘাটের রেডিও কলোনিতে।

অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন দেলোয়ার, কবির ও ফজর আলী। সোমবার তারাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফরিদা খানম ইতি এবং ফারহানা রহমান লুনা। রায় ঘোষণার পর আব্দুল কাইয়ুম তার প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তদন্ত কর্মকর্তা ভালো করে তদন্ত করলে বাকি তিন আসামি খালাস পেতো না।

" তদন্ত কাজে ত্র"টি ছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, "লিটনের সঙ্গে যারা ছিল তাদের দায়ী করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা কোন উদ্যোগই নেননি। " ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাভার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মদন মোহন বণিক বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১১ নভেম্বর চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সাভার থানার উপ-পরিদর্শক রাশেদ আহমেদ চৌধুরী। মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, ২০০৪ সালের ২৯ আগস্ট রাহেলা তার বান্ধবী মরিয়মকে নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যান।

এক সময় মরিয়ম বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু রাহেলার সঙ্গে তার সহকর্মী লিটনের দেখা হয়। লিটন তাকে রিক্সায় করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে লিটন তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের পেছনের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর গলার বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এর তিনদিন পর লিটন তার ৪/৫ সহযোগীকে নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে দেখতে পায় রাহেলা বেঁচে আছেন। তিনি পানি চাইলে আসামিরা তরল দাহ্য পদার্থ রাহেলার গায়ে ছিটিয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। এর পরপর মালীরা জঙ্গলে কাজ করতে গিয়ে রাাহেলাকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। সাভার থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এর ২৬ দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে রাহেলা মারা যান। তবে তার আগে তিনি ঢাকার প্রথম শ্রেণীর হাকিম মফিদুর রহমানের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন। কিন্তু লিটন ছাড়া অন্য কারো নাম তিনি বলতে পারেননি। (সূত্র বিডি নিউজ থেকে কপি) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এফএফ/এজে/টিআর/১৫৩৭ঘ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.