আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাহেলা হত্যা মামলার রায় নভেম্বর মাসের মধ্যে

.

রাহেলা হত্যা মামলাটি নিয়ে কৌতুহলীদের জন্য নতুন কথা হচ্ছে ,মামলাটির স্বাক্ষ্য গ্রহণ এখন শেষ পর্যায়ে। ২৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনেরই স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেছে আদালত। বারবার সমন পাঠানো সত্বেও মামলার অন্যতম ৩ স্বাক্ষী হাজির না হওয়ায় মামলাটির স্বাক্ষ্যগ্রহনের ৩টি তারিখ পিছিয়ে গিয়েছিল। এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকা তৈরী হয়। আজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্বাক্ষ্য দেন রাহেলার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি গ্রহনকারী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মফিজুর রহমান।

বর্তমানে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মফিজুর রহমান মূলত তার ধারণকরা জবানবন্দির বিষয়টি আদালতে উল্লেখ করেন। এবং রাহেলার সে সময়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানান। এখন অবশিষ্ট ৫ স্বাক্ষীর মধ্যে আছেন,রাহেলা হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলাম ও সুরুতহাল প্রস্তুতকারী চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম এবং রাহেলা যে গার্মেন্টসএ কাজ করতো সেখানকার ৩ জন। রাহেলা হত্যামামলার নথিপত্র মামলাটির রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি আব্দুল কাইয়ুম জানিয়েছেন, আজকের গুরুত্বপূর্ন সাক্ষীর মাধ্যমে মামলাটি প্রমাণের পথ সুগম হয়েছে।

তিনি জানান,মামলার অবশিষ্ট স্বাক্ষীদের একাধিকবার সমন পাঠানো সত্বেও তারা কেন আসেননি তা তিনি জানেন না। মামলাটির পরবর্তী তারিখে তিনি অন্য স্বাক্ষীদের আদালতে হাজির করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন ,দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি অর্ন্তভুক্তি করার পর এর বিচারের জন্য বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময় শেষ হবে এমাসেই। এর পর বিশেষ প্রয়োজন হলে পরের মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে নিয়ম অনুযায়ি। এই সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে মামলাটির বিচার কাজ সম্পন্ন করতে আন্তরিক ভাবে সচেষ্ট তারা।

উল্লেখ্য,গত এপ্রিল মাসে সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগ মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘চাঞ্চল্যকর মামলা মনিটরিং সেলে’ অন্তর্ভুক্ত এবং দ্রুত বিচার আইনে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। তবে আজ মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি সমন পাওয়ার পরই আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে এসেছেন। পিপি জানিয়েছেন,মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে উল্লাপাড়া থানার ওসি। চিকিৎসকও ঢাকাতেই আছেন। তাদেরসহ জবানবন্দি গ্রহনকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে একাধিক বার সমন পাঠানোর কথা গত ৩/৪ মাস ধরেই বলে আসছিলেন পিপি।

মফিজুর রহমান অবশ্য জানিয়েছেন তিনি প্রথমবার সমন পেয়েই আদালতে এসেছেন। বাকিরা কবার পেয়েছেন বা আদৌ সমন তাদের পৌঁছানো হয়েছে কিনা কে কাকে নিশ্চিত করে!!! ঊল্লেখ্য গত বছর অক্টোবরে সামহোয়ার ইন ব্লগে মানবীর,সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ লেখাটির পর সচেতন মানুষের ভূমিকায় রাহেলার ধুলো জমা ফাইল খুঁজে বের করা হয় ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.