আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধিক্ এই সভ্যতাকে

সময় হয়েছে আজ আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠার; দৃপ্ত শপথ করে সম্মুখে পা ফেলে ছুটে চলার চিরন্তন সত্য ও সুন্দরের পথে......

সভ্যতার শুরু সেই প্রাচীন কাল থেকেই। সেই প্রাচীন বা আদিম সভ্যতার সবচেয়ে বড় আবিষ্কার যে গুলো ছিল তার মধ্যে আগুন ছিল সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। এই আগুন দ্বারা আদিম মানুষেরা তাদের অনেক খাদ্যই পুড়িয়ে খেত। ফলে তৎকালীন সময়ে আগুন এই মানুষদের জীবনপট ব্যাপকভাবেই পরিবর্তন করেছিল। সেই সভ্যতার ধারা তাদের প্রজন্ম হিসেবে আমরাই অব্যাহত রেখছি।

সময়ের বিবর্তনে আমরা পেয়েছি অনেক কিছু। এই সভ্যতার অত্যাধুনিক কালে আমরা অবস্থান করছি। প্রতিনিয়তই সৃষ্টি করছি কোনো না কোনো কিছু। কিন্তু তাই বলে যে সৃষ্টি করেই যাচ্ছি তা কিন্তু নয়! সৃষ্টির বিপরীতে যার অবস্থান তারও কিন্তু আমরা কম দাবিদার নই! মূলত সভ্যতার বিবর্তন ঘটেছে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে। যার লক্ষ্যেই সভ্যতার এই ক্রমবিকাশ।

আসলেই যদি সভ্যতা মানুষের জীবনমানকে কেন্দ্র করেই যদি আবর্তিত হয় বা হত তাহলে কি পুঁজিবাদ, উপনিবেশবাদের উদ্ভব হত? বর্তমানে এই তাই তুমুল গতিতে চলছে। যার ফলে দরিদ্র দেশগুলো অসহায় হয়ে ধনী রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আবার গরীব রাষ্ট্রগুলোতে চলছে বিভিন্ন এন.জি.ও -র সাহায্যের নামে-শোষণ। চালানো হচ্ছে শক্তিহীন ও দারিদ্র রাষ্ট্রগুলোর ওপর অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবেও নির্যাতন। বহু বছর যাবত ইসরায়েল-ফিলিস্থিনিদের ওপর চালাচ্ছে অমানবিক নির্যাতন ও হত্যাকান্ড।

জাতিসংঘ এসব বন্ধে কতটুকু কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে? আবার কিছুদিন আগে আমেরিকা ইসরায়েল-ফিলিস্থিন যুদ্ধ বন্দের পক্ষে ভোট প্রদান থেকে বিরত থেকেছে। এতে কি প্রতিয়মান হয়না যে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ? আবার এই যুগে কারা বেশী সভ্যতার দাবিদার? তবে কি পশ্চিমা? প্রাচ্য? এশিয়া? তা না হলে কারা? তাদের কে কি সভ্য বলা যায় না? বাসতব পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি দিলে রবীন্দ্রনাথের " দুই বিঘা জমি " কবিতার একটি লাইনের কিছু অংশ বড় বেশী মনে পড়ে যায়- " ধিক্ ধিক্ ওরে শতধিক্ তোরে "

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.