আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তির উল্লাসে



প্রায় সাড়ে ১০ মাস বন্দী জীবন কাটানোর পর আমি আবার মুক্ত হতে চলেছি। ভাবতেই ভাল লাগছে আমি আবার আগের মতন ঘুরে বেড়াতে পারবো। এই একটা কাজেই আমি যে পরিমান আনন্দ পেয়েছি, তা আর অন্য কিছুর মধ্যে পাইনি। য়খন আমি ব্যাংকে ছিলাম, তখনই আমি প্রথম উপলব্ধি করি শৃঙ্খলার কষ্ট। এটা ২০০৬ সালের ঘটনা।

অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে ওই বছরের জুলাই / আগস্ট মাসে চাকরী ছাড়লাম। অবশ্য ছাড়লাম না বলে ছাড়িয়ে দিয়েছিল - বলাটাই বেশী সঠিক। এর পর টানা ২০০৮ সালের ফেব্রূয়ারীর ২৮ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছি। ঘুরেছি বাসে, নৌকায়, লঞ্চে, চাঁদের গাড়িতে, ট্রেনে, ভ্যানে , আবার কখনো হেটে। এমনিতেই গায়ের রং কালো, রোদে পুড়ে সে রং হল আরও কালো।

মায়ের মন খারাপ আরো বেড়ে গেল- বিয়ের জন্য ফরসা মেয়ে পাওয়া বুঝি আর গেলনা। এর পর ২০০৮ এর ফেব্রুয়ারীর ২৯ তারিখ (শুক্রবার) আমাকে একটা Interview Face করতে হয়। আসলে আমাকে জোর করেই পাঠানো হয়েছিল এবং আমি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে আমার চাকরী হবেনা। কিন্তু ওই দিনই আমার চাকরী হয়ে গেল এবং ওই দিনই জয়েন করতে হল। প্রথম দিনের কাজ ছিল ওন্যদের আমার ভ্রমনের গল্প বলা।

এটা একটা Software Co. ছিল এবং একটা বিশেস দায়িত্বের কারনে ডিসেম্বর পর্যন্ত থেকে যেতে হয়। সেই দায়িত্ব আমার ফুরিয়েছে, আমি আবার স্বাধীনতার পথে। এইতো গত সপ্তাহে মুক্তির পতাকা কিওকারাডং এর চুড়ায় উড়িয়ে দিয়ে আসলাম। পাহাড়ে ওঠার মত body মোটেও fit ছিলনা। বসে থেকে খেকে স্বাস্থ্য হয়েছিল ব্রয়লার মুরগীর মতন।

কিন্তু মুক্তির আনন্দে সেদিন আমি কিওকারাডং এর চূড়াকে আমার পায়ের নিচে নিয়ে এসেছিলাম- সে গল্প না হয় আরেকদিন হবে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।