আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গঙ্গা থেকে বন্দি বিনিময় চুক্তিঃ বাংলাদেশ-ভারত অমিমাংসীত সম্পর্ক

I want to make me as a blog writter. শান্তি, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদেও একই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই আদর্শের বাস্তব রুপায়নের লক্ষ্যে একযোগে সংগ্রাম, রক্তদান এবং আত্বত্যাগের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার অঙ্গিকার নিয়ে মুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের বিজয় অভ্যুদয় ঘটিয়ে, এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পারিক সহযোগিতা, অপরের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থেকে এবং আঞ্চলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান প্রদর্শনের মূলনীতিসমূহের প্রতি দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল থেকে ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ- ভারত মৈত্রী চুক্তি। ’ সেখান থেকেই শুরু বাংলাদেশ-ভারত সুদীর্ঘ সম্পর্কের ইতিহাস। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে চুক্তি সম্পাদিত হলেও চুক্তির আশানুরুপ ফল কখনই পাওয়া যায় নি। তারপরও প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে। ফলে গত ২৮ জানুয়ারী ঢাকায় দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাক্ষর করে ‘বন্দিবিনিময়’ ও ‘ভিসা প্রক্রিয়া’ সহজ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দীর্ঘ সীমান্ত থাকার সুযোগটি দুই দেশের অপরাধিরাই নিয়ে থাকে। নিজ দেশে অপরাধ করে তাদের প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও কম নয় এবং এর কারণে দুই দেশই উদ্বিগ্ন ছিল। এসব অপরাধী দুই দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও দুই দেশের মধ্যে কোন হস্তান্তর বা বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় এত দিন তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু এই চুক্তির ফলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে উভয় দেশই আশা প্রকাশ করে। একই ভাবে ভিসার কড়াকড়ি নিয়ে দুই দেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ছিল।

ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় দুই দেশেই যাতায়াতের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমে যাবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণ ও ব্যবসা বিষয়ক ভিসার প্রক্রিয়া সহজ হবে। এই চুক্তির ফলে মাল্টিপল ভিসা থাকলে একজন বাংলাদেশি এখন যে কোন সময় ভারতে যেতে পারবেন। পূর্বে চিকিৎসার জন্য রোগীর সাথে একজন যেতে পারতেন। এখন যেতে পারবে তিনজন।

শিক্ষার জন্য আগে ভিসার মেয়াদ ধাপে ধাপে বাড়ানো হত কিন্তু এখন একবারেই পাচঁ বছরের ভিসা নেওয়া যাবে। তবে ‘বন্দি বিনিময়’ চুক্তির আওতায় যেসব আসামীর সাজার মেয়াদ এক বছর তাদেরকেই শুধু হস্তান্তর করা যাবে এবং রাজনৈতিক বন্দিরা এই চুক্তির আওতার বাহিরে থাকবে। আমরা জানি বন্দি হস্তান্তর ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ সংক্রান্ত স্বাক্ষরিত চুক্তি দুটি প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতের সাথে বাংলাদেশের অমিমাংশীত ইস্যুও কম নয়। সীমান্ত চুক্তি সমস্যা, ছিটমহল বিনিময় ও অপদখলীয় জমি হস্তান্তর এবং তিস্তার পানি সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে ঝুলিয়ে রেখে এই চুক্তি কতটুকু সহায়ক হবে তা দেখার বিষয়।

কেননা প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে এ পর্যন্ত যতগুলো উল্লেখযোগ্য চুক্তি হয়েছে তার বাস্তবায়ন অনেকাংশেই প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়ে গেছে এবং ভারত শুধু তার নিজের স্বার্থটুকু আদায় করতে কূট-কৌশল ও প্রতিশ্রুতির আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল হয়ে আসছে এবং এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে সেক্ষেত্রে তারা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে একভাবে উল্লেখ করে। অন্যদিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ভারত কে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মনে করে। তবে ভারত যেভাবে বিভিন্ন স্পর্ষকাতর ইস্যু গুলোতে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতির জালে আটকে রেখেছে তাতে সাধারণ মানুষ ভারতের সাথে সম্পর্ককে নেতিবাচকই মনে করে এবং প্রতিবেশী বৃহৎ দেশ ভারতের আচরণে বিশেষ করে সীমান্ত হত্যা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। তাই বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক কেমন তা অলোচনা করতে হলে পূর্বের স্বাক্ষরিত চুক্তি ও ঝুলিয়ে থাকা তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুজিব ও ইন্দিরা গান্ধির মধ্যে ১৯৭৪ সালে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছিটমহল বিনিময়ের উদ্দেশ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের বেড়–বাড়ী ইউনিয়নটি ভারতকে দিয়ে দেয়ার বিনিময়ে করিডোরের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারত আজ অবধি তা করেনি। এমনকি ১৯৭৪ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষর হলেও অদ্যাবধি ভারতীয় পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করেনি। অথচ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তা অপরিহার্য। সীমান্ত হত্যা বন্ধ নিয়ে ভারতের কাছ থেকে বহুবার প্রতিশ্রুতি সত্তেও তা বন্ধ হয়নি।

বরং সময়ের সাথে সাথে সীমান্ত হত্যা বেড়েই চলছে। ফেলানির বিভৎস লাশ আমাদের মনে দাগ কেটে দিয়েছে । মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের মতে, ২০১১ সালে বিএসএফ এর হাতে ৩১ জন, ২০০৯ সালে ৯৮ জন এবং ২০১০ সালে ৭৮ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে এবং অধিকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সহিংস সীমান্ত বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু দুটি বন্ধু দেশের সীমান্তে তো এধরনের হত্যাকান্ড চলতে পারে না। অথচ তা এখন চলছে এবং বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যার বেদনাদায়ক অধ্যায়টির শেষ কোথায় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

গঙ্গা নদী থেকে কমপক্ষে ৪০ হাজার কিউসেক পানি ভাগিরথী-হুগলি নদীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত নির্মাণ করে মরণ ফাঁদ ফারাক্কা। ১৯৭৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পর বাংলাদেশকে তার ন্যায্য হিস্যা না দিয়ে ভারত গঙ্গা নদীর পানি একতরফা ভাবে প্রত্যাহার করে নিতে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মূখীন হয় এবং ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ও ভারত ৩০ সালা পানিবন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি অনুযায়ী চরম শুষ্ক সময়ে (১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত) উভয় দেশ ১০ দিন পর পর কমপক্ষে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাওয়ার কথা। কিন্তু ভারত এই চুক্তিও পুরোপুরি অনুসরণ করে না।

ফলে বাংলাদেশ ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এর প্রভাবে পদ্মাসহ অন্যান্য শাখা-প্রশাখা নদী শুকিয়ে গেছে, ফসল উৎপাদনে মারাতœক ক্ষতি হচ্ছে। গত ২৮ জানুয়ারীর বৈঠকে অমীমাংসিত সীমানা নির্ধারণ, অপদলীয় জমি উদ্ধার এবং ছিটমহল নিয়ে সমস্যা গুরত্ব পায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্বাধীনতার পর থেকে ভারত শুধু এসব বিষয়ে গুরত্ব ও প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছে। অথচ সীমান্ত নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের সেপ্টেমবরে মনমোহন সিং ও শেখ হাসিনার মধ্যে বাংলাদেশের ভিতরে অবস্থিত ভারতীয় ১১১ টি ছিটমহল ও ভারতের ভিতরে অবস্থিত বাংলাদেশের ৫১ টি ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

এদিকে বাংলাদেশী ছিটমহল ভারতকে বুঝিয়ে দিলেও ভারতীয়রা বাংলাদেশকে তার ন্যায্য ছিটমহল বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা করছে। অথচ ছিটমহল গুলোর সঠিক সমাধানের অভাবে দিন দিন অপরাধ বেড়েই চলছে। এর ফলে উত্তপ্ত থাকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত, আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটায় এখানকার ছিটমহলগুলোর ৫১ হাজার মানুষ। তারা বাস করে রাষ্ট্রহীন অবস্থায়। ২০১১ সালের জানুয়ারীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করলে তিস্তার পানি নিয়ে নতুস করে আলোচনা শুরু হয় এবং মনমোহন সিং বাংলাদেশের সফরে এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে এই চুক্তির বিরোধিতা করলো মমতা। ফলে চুক্তি ভেস্তে চলে গেল। কারণ এতে সঠিক তথ্য ছিল না। তারপরও প্রত্যেক বৈঠকে এ বিষয়ে গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে এ চুক্তি হয়ে যাবে।

তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন যদি এই চুক্তি হয়েও যায় তবে অতীতের অন্যান্য চুক্তির মতই তা কেবল কাগজে-কলমে সীমাবন্ধ রাখার মাধ্যমে ভারত তার ঐতিহাসিক বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় সমুন্নত রাখতে পারে। টিপাইমুখ বাধঁ নির্মাণ নিয়েও ভারতীয় প্রশাসনের বক্তব্য এবং কার্যক্রম ঠিক বিপরীতমূখী। যা ভারতীয় আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এক্ষেত্রেও ভারতীয় প্রশাসনের বক্তব্যের বিশ্বাসের যোগ্যতা এবং সদিচ্ছার ব্যাপারে দেখা দিয়েছে বিরাট প্রশ্ন। গভীর সমুদ্র সীমানা সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ আন্তজাতিক আদালতে দাবি উত্থাপন করলে ভারত এর পরিপেক্ষিতে দাবি করেছে।

বলাই বাহুল্য যে, ভারত ও মিয়ানমার গভীর সমুদ্র সীমানার সবটুকু নিজের বলে দাবি করে। তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা, হাড়িয়াভাঙ্গা নদীপ্রবাহ সমস্যার ক্ষেত্রেও ভারতের সদিচ্ছার অভাবে বিষয়টি অমিমাংসীত রয়েছে। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এধরনের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। পারস্পারিক সম্পর্কের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের কাছে ভারত ট্রানজিট চাইছে তাদের পূর্ব অঞ্চলের প্রদেশগুলির সাথে যোগাযোগের জন্য। কেননা অনেকদিন থেকেই এসব প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং তারা ভারত থেকে আলাদা হতে চাইছে।

এক্ষেত্রে যদি ট্রানজিট না পায় তবে ভারতের জন্য এ অঞ্চল হুমকি হয়ে দাড়াবে। বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভারতের কাছ থেকে ঠিক ভাবে অর্থ পাওয়া যায় না। অথচ হিসাব দেখানো হয় বছরে এত কোটি টাকা আসবে। এছাড়াও দু দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে বিস্তর ফারাগ। যদিও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ‘বাজার চুক্তি’ করেছে।

তথাপিও প্রতিবেশী বৃহৎ দেশ ভারতের কাছে থেকে প্রয়োজনী সুবিধাটুকুও পাচ্ছে না। যে পরিমাণ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়া তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের এক পরিসংখানে দেখা যায় ২০১১ সালে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ ছিল মাত্র ২ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। অথচ পাকিস্তান করেছিল ৭ কোটি ডলার প্রায়। এছাড়া আরো অন্যান্য দ্বি-পক্ষীয় বিষয়গুলোতে ভারত তার সুবিধা আদায় করছে।

এদিকে আমরা অপরাধী বিনিময় চুক্তি ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের চুক্তিতে যথেষ্ট উদ্বেলিত হয়ে তৃপ্তির ঢেকুর উঠালাম এবং দাবি করলাম, ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধ করণ’ ও ছিটমহল বিনিময় ও অপদখলীয় ভুমি হস্তন্তর’ বিষয়ক দু’টি সমস্যা সমাধানে যেন উভয় পক্ষ আন্তরীকতা নিয়ে এগিয়ে আসে। তাহলে কি অভিন্ন নদ নদীর পানি বন্টন বিষয়ক একটি চুক্তি হওয়া উচিত নয়? উভয় দেশের বাণিজ্যের ভারসাম্য সৃষ্টির চুক্তি কি আমাদের প্রয়োজন নেই? মিডিয়া ও সাংস্কৃতি আদান-প্রদান সংক্রান্ত চুক্তি কি দরকারী নয়? ভারত আমাদের দেশে সবকিছু দেদারসে রপ্তানি করবে আর আমাদের গুলো বাড়িতেই থেকে যাবে অনন্তকালের জন্য? এগুলো কি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার-প্রাপ্ত সমস্যার মধ্যে পড়ে না? তবে কি তিস্তা চুক্তির চেয়ে ভারতের কাছে অনুপ চেটিয়া ও বাংলাদেশের কাছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার আসামীদের আগে ফিরিয়ে আনাই প্রাধান্য পেল। অথচ বাংলাদেশের আগে তিস্তা চুক্তি সম্পূর্ণ করা উচিত ছিল । আর এই হল বন্ধু প্রতিম দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের হাল চিত্র। যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে পানি বন্টন জাতীয় যাবতীয় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রেই কূট-কৌশল ও ভুয়া প্রতিশ্রুতির আশ্রয় নিয়ে তার স্বার্থ টুকু হাসিল করে যাচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.