আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাবনায়- পথিক (! )-০৩

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

[এ আমার অনিয়ন্ত্রিত ডায়েরীর মত , দিনলিপি না হলেও তার সূক্ষ্মতম কোন উপাদান যেমন ধরুন ঘন্টা , মিনিট বা আরও সূক্ষ্ম - সেকেন্ড এর লিপি, যেখানে কেবল বাস্তবতা নয় কল্পনাও বিস্তর সত্য ] পুরান ঢাকার সীমারেখায় অফিসের অবস্থান হেতু মতিঝিলের পথ নিয়মিত মারাতে হয়না। মারাতে হয় মাঝেমাঝে। আজ যেমন ও পথে যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল আর হয়েছিল বলেই পূর্বানী হোটেলের সামনে সেচ্ছায় চোখ গুলো মোটামোটা করে কি দেখার মানস খুঁজেছিল এবং চোখ দুটো দেখেছিল -- উঁচু উঁচু বলাকার মুর্তিগুলোর পায়ের মাংসরূপ পেলাস্তারগুলো খুবলে খুবলে খুবলে খেয়েছে কারা যেন , লোহার মত জং ধরেছে পায়ের নকল হারগুলোতে, কখন গ্যাংরিং হয়ে যায়, কেটে ফেলতে হয় ...আফসোস হলো সুদর্শন বক গুলোর জন্য। পরণেই ভাবলাম , আরে দূর ওসবকটা তো ইট সিমেন্টের তৈরী...একটু নতুন করে অপারেশন করে গড়ে নিলে আবার ঠিক হবে , যাক অনেক বছর ধরে সংস্কার দেখিনা, এই বার যদি হয়... কিন্তু প্রিভেন্টিভ চিকিৎসা হয়না বিধায় মাইরা হাত পা ভাইঙ্গা হাসপাতালে ওটি তে পাঠানোর কর্মটা মানান সই নয়, মেনে নেয়ার নয়। না উগ্রবাদীতার প্রতি একটা নিষ্টুর গালি মনে মনে ছুড়ে দিতেই হয়।

ওতো বোঝাবুঝি আর হিসেব নিকেষ আর ঝগড়া আমি বুঝিনা... বলাকার আকৃতির কিছু মুর্তি কি এতই বড় প্রতিদন্দী...প্রশ্নটাই জাগে, নাকি ঝিকে মেরে বৌকে শেখানোর কোন অপপ্রয়াস ? ভাবনায় থাক ওটা , সন্ধ্যাকালীন ঘরবন্দী প্রহরে দৃষ্টিকে কষ্ট দেয়া সিনেমার কথা ভাবতেই হচ্ছে একটু। সিনেমা খানা ছিল হিন্দি , নাম দোস্তানা মাইনে বন্ধুত্ব আর কি। দেখার আগে ভাবছিলাম সিরিয়াস কিছু একটা হবে যেমন বছর ২০/২৫ আগে হৈত-- ইয়ারানা টাইপ হিন্দি ছবিতে। কিন্তু একি ...সস্তা কিছূ জোকস এর উপর কড়া আর দামী মসলা মিশিয়ে পরিবেশন যেনো। নায়কদ্বয় মানে অভিষেক পাজী আর নয়া ১০ প্যাকস মাসলম্যান আব্রাহাম ইউএস এর মায়ামীতে সেক্সি প্রিয়াংকার বাড়ীতে পেইং গেষ্ট হবার জন্য গে এর বেশে ভাড়া নেয়।

সেই মিথ্যে গে হওয়া নিয়ে নানান সুরসুরি। অভিষেকরে মাঝে মাঝে গে এর মতই লাগছিল আর আব্রাহাম শরীর দেখানোর কাজে ১০০% সফলতা দেখিয়েছে এই সিনেমায় ভাবলাম এবং মানলাম , কারন পাঁচ ইঞ্চি আন্ডারওয়ার পরে পায়ের পেশীগুলাও দেখাতে সে ভোলেনি। যাক তারপরও সব ছাড়িয়ে ছবির মধ্যে ভালবাসার কথাগুলো উচ্চকিত হয়েছে দ্বিধাহীন ভাবে। আর ভালবাসার আমার কাছে সবচেয়ে দামী। দামী বলেই সে দামী জিনিস হারায়ে আমি ভাবি আর কাঁদি, গোপনে, বিনা মেঘে এবং প্রত্যাশিত অপ্রত্যাশায় এবং অদ্যঋতুতে বেশী এবার।

৪/১২/০৮ (রাত ১২ঃ১৬)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।