আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিশপ্ত (১০ম পর্ব)



মসজিদের সামনে জটলা পেকে গেছে। মানুষের ভিড়ে মসজিদিই যেনো দেখা যাচ্ছে না। যে নামাযী সেও এসেছে মসজিদে এবং যারা শুধু এই একটি দিনই ইবাদত করতে যায় তারাও আছে। সাথে অনেকেও আছে যারা কখনও মসজিদে ভুল করেও যায় না। আজ সব ধরনের মানুষের সমাগম ঘটেছে মসজিদে।

সবার মাঝেই একটা ক্ষোভ। প্রতিবাদি স্বর। হইচই করছে সকলে। তবে ব্যাপারটা কেউ মেনে নিতে পারছে না। কারণ যেই কাজটা হতে যাচ্ছে সেই কাজটা তাদের অতি পছন্দের একজন মানুষ মোনায়েম মাষ্টার করতে যাচ্ছেন।

মাষ্টার তিন হিজড়াকে পায়জামা-পান্জাবী পরিয়ে মসজিদে নামায পড়াতে নিয়ে এসেছে। মসজিদের ভিতরে তাদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু মাষ্টার জোর প্রতিবাদ করে বলছেন, তাদের ঢুকতে দেয়া উচিত। ইমাম বলছেন, মাষ্টার সাব এইটা আপনে কি কন? মসজিদ একটা পবিত্র জায়গা এই হানে এই অভিশপ্ত জাত রে ...... ছি ছি... নাউযুবিল্লাহ...... আবার নুরুলও বলছে, স্যার এই কাজ আমি বাইচা থাকতে জীবনেও হয়তে দিমু না। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলছেন।

অনেকে এও বলেছে, মাষ্টার কি বুইরা বয়সে পাগল হইয়া গেলো নাকি। তবে খুব চুপচাপ আছে গ্রামের যুবকরা। তারা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে। তাছাড়া তারা মাষ্টারের সামনে কিছু বলতেও সাহস পাচ্ছে না। মাষ্টার এই গ্রামের অত্যন্ত সম্মানী একজন মানুষ এবং তার চাইতে বড় কথা উনি হয়তো আর শিক্ষকতা করেন না কিন্তু গ্রামের প্রতিটি ছেলে-মেয়েদের কাছাকাছি সব সময় ছিলেন।

যে কারো বিপদে উনি সকলের পাশে থেকেছেন। তাই ভেতর থেকে এই মানুষটাকে তারা যথেষ্ট সম্মান করে। আর সেজন্যই মাষ্টারকে তাদের কিছু বলার সহস কুলাচ্ছে না। কথা বলছে যারা তাদের অধিকাংশই ৪০ এর উর্ধে বয়স। তাদের কাছে এ এক বড় অন্যায়।

হিজড়াদের মতো একটি জাতির সাথে তারা একই কাতারে নামায পড়তে পারবে না। মাষ্টারের সাথে দাড়িয়ে আছে রফিক ও মিঠু। আর খুব আতংক নিয়ে মাধুরী, কারিনা আর কারিশমা একজন আরেকজনের হাত ধরে দাড়িয়ে আছে। মাষ্টার অনেকক্ষণ ধরে হাত উচিয়ে অনেক কিছু বলার চেষ্টা করছেন। যেমন, ইমাম যখন তাদের অভিশপ্ত বলে উল্লেখ করলেন তখন মাষ্টার বললেন, ইমাম সাহেব আপনে নিশ্চই ঐ হাদিসটি জানেন যে, পাপকে ঘৃণা করো কিন্তু পাপীকে নয়।

তো, যদি ধর্মে বিশ্বাসীই করেন, তবে ওরা যদি কোনো পাপ করে থাকে তবে তো তাদের পাপটাকে ঘৃণা করা উচিত। আপনারা কেনো তাদের ঘৃণা করছেন? আর অভিশপ্ত মানে কি? কারো পাপের ভুক্ত ভোগী ওরা কেনো হবে? ওদের কোনো দোষ নেই। এক বৃদ্ধ বলে, আপনে এইসব কইয়া কি মসজিদে ওগোরে ঢুকাইতে চান? যতকিছুই কন ওরা হইলো নাপাক। - ওরা নাপাক তা আপনারে কে বলল? মাষ্টার তখন ইমামের দিকে তাকিয়ে বলল, কি ইমাম সাহেব, বলেন, কোন হাদিসে লেখা আছে হিজড়ারা নাপাক? ইমাম মিনমিন করে বলে, এতো কিছু বুঝি না.. সবাই জানে যে ওরা নাপাক। - সবাই যদি ভুল কিছু জানে তার মানে তো এই না যে সেটাই ইতিহাস বা সেটাই সত্য।

ইমাম তখন খুব জোর দিয়ে বলল, আল্লাহ বলছেন, মসজিদে শুধু পুরুষরা নামায পড়তে পারবে। মাষ্টার তখন হেসে দিলেন। তাই নাকি? তাইলে সৌদীতে যে মহিলারা হজ্জ করতে যায়। সেটার কি হবে। - হজ্জ আলাদা ব্যাপার মাষ্টার সাব।

- কেনো? হজ্জ আলাদা ব্যাপার কেনো হবে? নামায হইলো আসল ফরয। আর তাছাড়া হজ্জও আল্লাহর ইবাদত এবং নামায পড়াও আল্লাহর ইবাদত করা। তাহলে? ইমাম তখন একটু চড়াও হয়ে যায়। তার চোখ মুখ লাল করে সে বলে, আপনে আমারে ধর্ম শিখাইতে আইছেন? আমি দশ বছর ধইরা ইমামতি করি। ধর্ম শিক্ষাও দেই আর আপনে আইছেন ধর্ম নিয়ে আমারে শিক্ষা দিতে।

মাষ্টার তখন নমনীয় ভাবে বলে, আমি অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। আমি বলতে চাই, আল্লাহ ধর্ম পালন করার অধিকার প্রতিটি মানুষকে দিয়েছেন। নারী পুরুষ সকলকে। কিন্তু হ্যা, আমি হিজড়া স¤প্রদায় সম্পর্কে কিছু জানি না। যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে আজকে আমাকেও জানান।

যদি আমাকে দেখাতে পারেন যে ওদের নামায পড়া কিংবা আল্লাহর ইবাদত করা কিংবা ধর্ম পালন করা নিষেধ তবে আমি তা মেনে নিবো। ইমাম সাহেব এবার চিমসে গেলেন। কারণ তিনি নিজেও জানেন না এসব বিষয়ে। মাষ্টার এবার কথা বলেই যাচ্ছেন। আল্লাহ বলেছেন, আমার সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ।

আল্লাহ তো এখানে নারী বা পুরুষ বা হিজড়াদের কথা বলেন নাই। তাহলে তো হিজড়ারাও মানুষ। আমরা কি বোবা-অন্ধ-লেংড়াদের মানুষ বলি না? যে অন্ধ সেটা তো তার দোষ না। যে লেংড়া তার পা না থাকাটা তো তার দোষ না। ঠিক হিজড়াদেরও একই রকম।

ওদের লিঙ্গ সমস্যা আছে। যৌন চাহিদা মেটানোর অঙ্গটিতেই ওদের সমস্যা। আর তো কোনো সমস্যা নেই। তাহলে.....তাহলে কেনো এই ধরনের কথা আপনারা বলছেন? আর তাছাড়া আল্লাহ প্রতিটি মানুষকে ধর্ম পালন করার জন্য বলেছেন। সুতরাং ওরাও তো মানুষ।

সবাই মুগ্ধ হয়ে মাষ্টারের কথা শুনছিল। এসব কথা তারা কখনও ভেবে দেখেনি। কিন্তু তারপরও যুগ যুগ ধরে মানুষ যে সমাজে বেড়ে উঠেছে সে সমাজ তো হিজড়াদের বাঁকা চোখেই দেখার শিক্ষা দিয়েছে। আজ তাই সকলের মানতে কষ্ট হচ্ছে। ইমাম তারপরও বলছেন, আপনের কথা আমি মানতে পারতাছি না মাষ্টার সাব।

এই কাজ যদি করেন তাহলে আল্লাহর গজব নাযিল হইবো এই বদরপুর গেরামে। আমরা কোনো মতে আমাগো এই জন্মভূমিরে নাপাক হইতে দিমু না। আর তাছাড়া আপনে একবারও ভাবছেন, চেয়ারম্যান শুনলে কি অবস্থাটা হবে। এবার মাষ্টারের সমস্থ শরীরে যেনো প্রতিবাদের ঝড় নেমে পড়লো। তিনি চিৎকার দিয়ে বললেন, জন্মভূমি? কার জন্মভূমি? আপনার জন্মভূমি? এটা কি আমার জন্মভূমি নয়? জন্মভূমির জন্য আপনার এতো টান? তাহলে শুনেন যেই জন্মভূমির জন্য আপনার এত টান সেই জন্মভূমিকে ধর্ষণ করেছে আপনাদের সম্মানিত চেয়ারম্যান।

এই গ্রামের সকলে ভুলতে পারে সেই দিনগুলোর কথা কিন্তু আমি ভুলি নাই। এই গ্রামে গজব নামবে? কই এতো ধর্ষণ হলো, এতো মানুষকে মারা হলো কই আল্লাহর গজব তো পড়লো না। ইমাম এবার বললেন, তখন ইসলাম রক্ষার চেষ্টা চলছিল। - ও তাই নাকি? ইসলাম রক্ষা? ভিড়ের এক কোণে মিঠুর বাবা মসলে উদ্দিন দাড়িয়ে ছিলেন। মাষ্টার তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, কি মসু ভাই? আপনে কি হিন্দু আছিলেন? আপনার একমাত্র বোন কি হিন্দু আছিল? তাইলে তারে কেন মারছে? বলেন বলেন.. ইমাম বলে উঠলো, আমি যতটুকু শুনছি ওনার বোনের সাথে এক দালালের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।

তাই কাশেম মিয়া তারে দুনিয়ার শাস্তি দিছে। - দুনিয়াতে শাস্তি? হা হা হা হা.. ভালোই বলেছেন ইমাম সাহেব। এই মিথ্যাচারীতার জন্য আজ শুধু এই গ্রাম কেনো এই পুরো দেশ অন্ধকারে রয়ে গেছে। কারণ আমরা ইতিহাসকে বিকৃত করি। ইতিহাসকে মিথ্যা বানাই।

ইতিহাসকে স্বীকৃতি দেই না। যে জাতি সত্যকে মেনে নেয় না সে জাতির মতো অভিশপ্ত জাতি তো আমি চোখে দেখি না। যদি অভিশাপ থেকেই মাধুরীর মতো সন্তানের জন্ম হয় তাহলে ইমাম সাহেব মনে রাখবেন, কর্ম আমাদের। আমাদের মিথ্যাচারিতার শাস্তি ওরা ওদের শরীরে বহন করছে। মাষ্টারের মধ্যে যেনো এক নেতার আত্মা ভর করেছে।

চিৎকার করে তিনি যেনো একটি বিপ্লবের ডাক দিচ্ছেন। তিনি হাত উচিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে শুধু বলেই যাচ্ছেন। এই বাংলাদেশের জন্যতো আমার ছেলের মতো হাজার হাজার ছেলে প্রাণ দেয় নি। আজ আমরা যেই পতাকা উড়াই সেটা এসেছে ৩০ লক্ষ মানুষের বিনিময়ে। বুঝলেন? ৩০ লক্ষ মানে বুঝেন? সেই ৩০ লক্ষ প্রাণকে আমরা অস্বিকার করি।

যদি ইসলাম রক্ষাই হয়ে থাকে তাহলে এখন আপনাদের চেয়ারম্যান কেনো মুক্তিযুদ্ধের উপর রচনা প্রতিযোগিতায় পুরুষ্কার দিতে যান? কেনো তিনি স্বাধীনতা দিবসে বড় বড় নেতাদের সাথে বসে অনুষ্ঠান করেন? সে সব প্রশ্ন কি কখনও করেছেন আপনারা? তাকে গিয়ে প্রশ্ন করেন.. শুনেন, আমার ছেলে এই বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করে নাই। মসু ভাইয়ের বোন রোকেয়া এই বাংলাদেশের জন্য ধর্ষীত হয় নাই। এমন বাংলাদেশের স্বপ্নতো তারা দেখে নাই। যেই সুন্দর দেশটার স্বপ্ন তারা দেখছিল সেই সুন্দর দেশটা এই কাশেমের মতো মানুষের জন্য নষ্ট হইয়া গেছে। সমস্ত কিছু চুপ হয়ে গিয়েছিল তখন।

বাতাসও যেনো ধীরে বইছিল। এই বাতাসও যে অনেকদিন সত্য শুনে না!! মাষ্টারের চিৎকারে সবাই স্তম্ভিত। সকলের শরীরে যেনো এক নবজাগনের অনুভূতি। বিশেষ করে তরুণরা। মাষ্টারের শেষ কথা শুনে তাদের চোখ জলজল করে উঠলো।

তিনি আরও বলে উঠলেন, আমি জানি এখানে আমার অনেক ছাত্র আছে। অনেকে হয়তো আমার কথার বিপক্ষে। কিন্তু বিপক্ষে থাকলেও কোনো কথা বলছে না একমাত্র আমাকে সম্মান করে দেখে। আমি বলতে চাই, যে প্রজন্ম তোদের এই লাল সবুজ পতাকা দিয়ে গেছে। যে প্রজন্ম তোদের কুসংস্কার থেকে বের করার জন্য প্রাণ দিয়ে গেছে, যে প্রজন্ম ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য প্রাণ দিয়েছে।

যে প্রজন্ম তোদের জন্য.....শুধু তোদের জন্য......তোদের একটা পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য.....সবচাইতে বড় কথা তোদের বাংলাদেশ নামক একটি দেশ দিয়ে গেছে সেই প্রজন্মটাকে তোরা যদি অস্বীকার করিস......সেই প্রজন্মটির প্রাণকে যদি মূল্য না দিস তাহলে তোরা সবচাইতে দূর্ভাগা প্রজন্ম। আর তাছাড়া এটাও মনে রাখিস তোরা তোদের পরবর্তী প্রজন্মকে কি দিয়ে গেলি! মাষ্টার এবার হাপিয়ে ওঠেন। বয়সের ভার আর তাকে এগুতে দেয় না। তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন, আর কিছু বলতে চাই না। আমি মসজিদে ঢুকলাম।

জুম্মার সময় হয়ে গেছে। আমার সাথে আমি কিছু মানুষকে নিয়ে যাবো নামায পড়তে। তারা কোন লিঙ্গ তা আমার জানার দরকার নাই। আমি শুধু জানি ওরা মানুষ। আর কোন মানুষের জন্য ধর্ম নিষিদ্ধ হতে পারে না।

কোন মানুষ আল্লাহর ঘরে প্রবেশ করলে আল্লাহ খুশি হন। তাই নাপাক হওয়ার প্রশ্ন তো আসেই না। বলেই তিনি রফিক, মিঠু ও মাধুরীদের দিয়ে প্রবেশ করলেন মসজিদে। সবাই চুপ করে শুধু দেখছে। ইমাম নাউযুবিল্লাহ... তওবা... তওবা বলে চিৎকার করছে।

সমস্ত আদি ধর্মীয় ও মানুষের মনের সিস্টেম যেনো ভেঙে পড়ছে। এক নতুন ঘটনার সূত্রপাত দেখছে এ গ্রাম। ভেতরে ঢুকে মাষ্টার বললেন, কেউ আসবে না সুতরাং আমরা নামায শুরু করি। মিঠু বলল, কিন্তু স্যার, জুম্মার নামাযের আগে তো বয়ান দিতে হয় আর খুতবা দিতে হয়। হঠাৎ পিছন থেকে শোনা গেলো মসলেহ উদ্দিনের গলার আওয়াজ।

তার ছেলে মিঠু প্রতিবাদ করছে সমস্ত কিছুর প্রতি আর তিনি পিতা হয়ে ছেলেকে সমর্থন দিবেন না তাতো হতে পারে না। মসলেহ বললেন, বাবা, আজকের বয়ানের মত বয়ান বদরপুর গেরামে কোনো জুম্মায় দেয়া হয় নাই। নামাযে দাড়িয়ে গেলেন তারা। মুয়াজ্জেম হলেন মসলেহ উদ্দিন, আল্লাহু আকবার... আল্লাহু আকবার..... কি মধুর শুনাচ্ছে। যাদের জন্য এতো ঘটনা; সেই মাধুরী, কারিশমা আর কারিনা.. নামাযে দাড়িয়ে শুধু চোখের পানিতে ভাসাচ্ছে।

সম্মানে মাথা নত করছে তাদের সৃষ্টিকর্তার প্রতি। ইমাম হয়ে সামনে দাড়িয়েছেন মাষ্টার। নামায শুরু করলেন। দুইরাকাত নামায শেষে সালাম ফেরালেন তারা। সকলেই স্তব্ধ হয়ে তারা পেছনে তাকায়।

মসজিদ ভর্তি নতুন প্রজন্ম। এই কুসংস্কার থেকে বের হওয়ার প্রতিবাদে তারা সামিল। তাদের চোখে তখন স্বপ্ন। তাদের চোখে একটি নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতে পেলেন মাষ্টার। আর বাইরে দাড়িয়ে রয়েছে, কুসংস্কারে আছন্ন আরেকটি প্রজন্ম।

যাদের কোনো স্বপ্ন নেই। পরিবর্তনের স্বপ্ন নেই। আছে শুধু গোড়ামী। যেমন, গ্রামের কোরআনের একমাত্র হাফেজ নুরুলও শামিল হয়েছিল জামাতে। মসজিদে ঢুকার সময় তার বাবা বলে উঠলো, হারামজাদা..এইডা তুই কি করতাছস? হাফেজ নুরুল গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো, পৃথিবীতে শুধু জন্ম নিয়ে বেচে থাকার জন্যই আল্লাহ আমারে দুনিয়াতে পাডায় নাই আব্বা।

কিছু করার জন্য পাডাইছে। আমি কিছু করতে চাই। - তুই কি ভাবোস এগুলা কইরা তুই কিছু করতে পারবি? তোর কথা কেউ শুনবো না। নুরুল তখন পিতার দিকে তাকিয়ে বলে, আব্বা, কিছুই না করতে পারি...অন্তত নিজেরে তো কইতে পারুম যে, কিছু করার একটা চেষ্টা আমি করছিলাম। ছেলের ব্যবহারে এবং অন্যরকম আচরণে তিনিও স্তব্ধ।

হঠাৎ তীব্র বেগে বাতাস বইছে। তারা বলছে, আল্লাহর গজব আসতাছে। আর যুবকদের কাছে এ এক পরিবর্তনের হাওয়া। সমস্ত শৃঙ্খল ভেঙে তারা আজ যে কাজটি করেছে তা হয়তো পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হবে না। কিন্তু প্রকৃতিকে সাক্ষী করে তারা তা করলো।

প্রকৃতি যেনো সেই বাতাসে বহন করবে আজকের ঘটনাটি। চলবে........... ১ম - ৫ম পর্ব: Click This Link ৬ষ্ঠ পর্ব: Click This Link ৭ম পর্ব: Click This Link ৮ম পর্ব: Click This Link ৯ম পর্ব: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।