আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিশপ্ত মমি



মমি, আজও মানুষের কাছে এক বিস্ময়কর অধ্যায়। মমিকে নিয়ে আজো অনেকের মনেই রয়েছে হাজারো রকমের জল্পনা-কল্পনা। এ মমিকে নিয়ে বেশ কিছু অবিশ্বাস্য সত্যি ঘটনাও রয়েছে। এর মাঝে একটি ঘটনা তুলে ধরা যাকঃ খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতকে মিসরে 'আমেনরা' নামে এক রাজকুমারী মারা যান। তাকে যথানিয়মে সমাধিস্থ করা হয়।

অনেক বছর পর উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে তার মমিটি কেনার জন্য চারজন ইংরেজ মিশরে আসেন এবং তারা মমিটি ক্রয় করেন। কিন্তু এর জন্য তাদের নিদারূন দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয়। মমিটি কিনে নিয়ে যাবার সময় মরুভূমির ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের একজন মারা যান। ইংল্যান্ড ফেরার পর আরেক জন দেখেন কেউ একজন তার সকল সম্পত্তি আত্মস্যাৎ করেছে এবং আরেকজন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাকিজনের চাকরি চলে যায়।

মমিটির পরবর্তীতে স্থান হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। কিন্তু যে একবার মমিটি স্পর্শ করেছে তাকেই কোন না কোন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এমনকি এক দর্শনার্থী যে কিনা কাপড় দিয়ে মমিটির মুখ পরিষ্কার করেছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে তার ছেলে মারা গিয়েছিল। আর একবার এক ফটো সাংবাদিক এই মমিটির ছবি তুলেছিলেন। ডেভেলপের পর তিনি ছবিতে দেখেন রাজকুমারীর চেহারার বদলে এক বিভৎস্য ও বিকৃত চেহারা।

সে রাতেই তিনি আত্মহত্যা করেন। এরপর থেকেই মিউজি্যাম কর্তৃপক্ষ মমিটির প্রদর্শন বন্ধ ও মমিটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরের দিনই দেখা যায়,ওই মিউজিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মরদেহ টেবিলের উপরে। কিন্তু মানুষের শখ চিরন্তন। এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরও এক আমেরিকান পর্যটক মমিটি কিনে দেশে যাওয়ার জন্য একটি জাহাজে করে রওয়ানা করেন।

এটিই ছিল জাহাজটির প্রথম ও শেষ যাত্রা। যাত্রাপথেই জাহাজটি ডুবে যায় এবং এটিই ছিল বিশ্ববিখ্যাত জাহাজ 'টাইটানিক'। সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন--২২ মার্চ ২০১০ইং।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।