আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার একটি স্মরণীয় দিন।



আমি ভারতে প্রায় ৭ বছর পড়ালেখা করেছি। ওখান থেকে HSC পাশ করে দেশে ফিরেছি কয়েক মাস হল। বাকি পড়ালেখাটা এখানে করব ঠিক করেছি। আমার স্কুলটা ছিল রেসিডেনসিএল স্কুল। তাই সবই এক সাথে থাকতাম।

যাই হোক খারাপ ভাল দুমিলে ছিল আমার জীবন। বেশী ভাগ সময় ভালই কেটেছে। সবচে বেশী খারাপ লাগত যখন ভারতিও খবরের কাগজে বাংলাদেশের কোনো খারাপ খবর শুনতে পেতাম। যেমন, বাংলাদেশ আবার দূনীতিতে প্রথম হয়েছে বা সন্রাসীরা ৫০০ টা বোমা ফাটিয়েছে সারা বাংলাদেশে। এরকম খবর দেখলে মাথা নিচু হয়ে আসতো এবং অনেক টিটকারিও শুনতে হয়েছে এর জন্য।

আবার মাথা উচুও হয়েছে অনেক বার, যেমন ডক্টার উইনুসের নোবেল পুরস্কার পাওয়া। আর সবচে স্মরণীয় দিন ছিল যখন বাংলাদেশ ভারতকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হারিয়েছিল। স্মরণীয় হয়ার মূল কারন ছিল ভারতে বসে ভারতিওদের সংগে পুরো খেলাটা দেখা। প্রথমে ভারত ব্যাট করতে নামে, তাতেই ওরা খুশিতে লুটুপুটি খেতে থাকে, বলে যে ভারত ৩৫০ করে ছারবে। সবচে মজা হল যখন সেবাগ ২ রান করে, মাশরাফি বলে বোল্ড হল।

ওরা সব চুপ, আমারা বাংলাদেশীরা খুশিতে তালি বাজাচ্ছি। ভারতের অবত্থা প্রতি বলে খারাপ হতে লাগল আর ভারতিওরা আসতে আসতে টিভি রুম থেকে যেতে লাগল। ধোনী, হরভজন আর আগারকার যখন ০ রানে ফিরে গেল, তখন আমরা কি করবো কিছু বুঝছিলাম না, কেও নাচতে ছিল, কেও চিৎকার করছিল। আমি গান গাচ্ছিলাম " আহৃ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে "। ভারত ১৯১ রানে অল আওট।

বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো, ২৪ রানে একটি উইকেট পরলো। এবার ওদের আনন্দ করার পালা। একজন বলল ১০০ রানে বাংলাদেশ অল আওট হয়ে যাবে। কিন্তু শকুনের দোয়াই গরু মরে না। তানিম ইকবাল চার ছক্কা মারতে লাগল আর ওদের মুখ কাল হতে লাগল।

শেষের দিকে ওরা নিজেদের দেশের খেলোয়াড়দের গালাগালি দিতে শুরু করল। যখন বাংলাদেশ জিতে গলো, তখন অনেক রাত হয়ে গিয়ে ছিল। তবুও আমরা লাফালাফি করলাম। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ জিতেছিল এবং এটি ছিল আমার সবচেয়ে স্মরণীয় দিন। আমি ভারতে প্রায় ৭ বছর পড়ালেখা করেছি।

ওখান থেকে HSC পাশ করে দেশে ফিরেছি কয়েক মাস হল। বাকি পড়ালেখাটা এখানে করব ঠিক করেছি। আমার স্কুলটা ছিল রেসিডেনসিএল স্কুল। তাই সবই এক সাথে থাকতাম। যাই হোক খারাপ ভাল দুমিলে ছিল আমার জীবন।

বেশী ভাগ সময় ভালই কেটেছে। সবচে বেশী খারাপ লাগত যখন ভারতিও খবরের কাগজে বাংলাদেশের কোনো খারাপ খবর শুনতে পেতাম। যেমন, বাংলাদেশ আবার দূনীতিতে প্রথম হয়েছে বা সন্রাসীরা ৫০০ টা বোমা ফাটিয়েছে সারা বাংলাদেশে। এরকম খবর দেখলে মাথা নিচু হয়ে আসতো এবং অনেক টিটকারিও শুনতে হয়েছে এর জন্য। আবার মাথা উচুও হয়েছে অনেক বার, যেমন ডক্টার উইনুসের নোবেল পুরস্কার পাওয়া।

আর সবচে স্মরণীয় দিন ছিল যখন বাংলাদেশ ভারতকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হারিয়েছিল। স্মরণীয় হয়ার মূল কারন ছিল ভারতে বসে ভারতিওদের সংগে পুরো খেলাটা দেখা। প্রথমে ভারত ব্যাট করতে নামে, তাতেই ওরা খুশিতে লুটুপুটি খেতে থাকে, বলে যে ভারত ৩৫০ করে ছারবে। সবচে মজা হল যখন সেবাগ ২ রান করে, মাশরাফি বলে বোল্ড হল। ওরা সব চুপ, আমারা বাংলাদেশীরা খুশিতে তালি বাজাচ্ছি।

ভারতের অবত্থা প্রতি বলে খারাপ হতে লাগল আর ভারতিওরা আসতে আসতে টিভি রুম থেকে যেতে লাগল। ধোনী, হরভজন আর আগারকার যখন ০ রানে ফিরে গেল, তখন আমরা কি করবো কিছু বুঝছিলাম না, কেও নাচতে ছিল, কেও চিৎকার করছিল। আমি গান গাচ্ছিলাম " আহৃ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে "। ভারত ১৯১ রানে অল আওট। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো, ২৪ রানে একটি উইকেট পরলো।

এবার ওদের আনন্দ করার পালা। একজন বলল ১০০ রানে বাংলাদেশ অল আওট হয়ে যাবে। কিন্তু শকুনের দোয়াই গরু মরে না। তানিম ইকবাল চার ছক্কা মারতে লাগল আর ওদের মুখ কাল হতে লাগল। শেষের দিকে ওরা নিজেদের দেশের খেলোয়াড়দের গালাগালি দিতে শুরু করল।

যখন বাংলাদেশ জিতে গলো, তখন অনেক রাত হয়ে গিয়ে ছিল। তবুও আমরা লাফালাফি করলাম। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ জিতেছিল এবং এটি ছিল আমার সবচেয়ে স্মরণীয় দিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.