আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হয়তো তাদের গ্লানি তাদের পোড়ায়, হয়তো!



নূরানী বলেছে এই দেশে সেনা প্রধাণের নির্দেশ ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত হয়না । ড. ফখরুদ্দীন এর কি অনুভূতি জানতে ইচ্ছা করে। নিজেকে কি খুব পুতুল পুতুল ভেবে কষ্ট লাগে তার? নিজেকেই নিজে জেনারেল বানিয়ে দেয়া মঈন ইউ সাহেব নিজেকে নিজেই কত “জেনারেল” করে ফেললেন! নুরানীর জানিয়েছে যে তার পাঠানো চরের কাছে তিনি নাকি এই মত ব্যক্ত করেছেন যে তিনিও ভাষ্কর্য্য চাননা! “পীর সাহেব মুন্সিগঞ্জ” এর কাছে কত অসহায় “বাংলাদেশের জেনারেল”! আমিনি বলেছে সেনা নিবাসের ভেতরে গিয়ে শিখা অনির্বাণ ভেঙ্গে ফেলবে। আর্মির অনুভূতি কি? তাদের বাসার ভেতরে গিয়ে ধংসের হুমকি দিলো কেউ আর তাদের কিছু বলার নেই? বেচারারা কি ভয় পেয়েছে? দাঁতাল শুয়োর চিৎকারে তাদের কি ভয় পাওয়ার কথা? এয়ারপোর্ট বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে না? তাই তো জানতাম! ফরেন লিল্লা খেয়ে বেঁচে থাকা প্রানীগুলো যখন দড়ি ধরে টানাটানি করছিলো তখন কি তাদের মনে হয়েছিলো যে এয়ারপোর্ট এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারাটা তাদের দায়িত্বে অবহেলার ফল? কে ঐ সিভিল এভিয়েশনের সাস্পেন্ডেড ড্রাইভার? দুদক কি তার বিরুদ্ধে কিছু করার কথা ভাবছে? কোন দুর্নীতির কারণে তার চাকরি গেল? কি করে সে মসজিদ মাদ্রাসার চেয়ারম্যান হলো? দুর্নীতির দায়ে চাকরিচুত্য ড্রাইভার, ধর্মের রজ্জু ধরে কত দূরে উঠতে চায়? সে কি এবার হজ্জ্বে যাবে, সব পাপ ধুয়ে ফেলতে? নুরানীর কাছে অনুরোধ নিয়ে যেতে যেতে জুতার তলা ক্ষয়ে গিয়েছে যেসব গোয়েন্দা কর্মকর্তার, জোড়া জোড়া জুতা খুঁইয়েও তারা খুঁজে বের করতে পারলেননা যে এই শ্বাপদগুলোকে লোকালয়ে ছেড়ে দিয়েছে কে? নুরানী বলেছে যে আছেন একজন যিনি টাকার যোগান দিচ্ছেন পেছন থেকে। হাসান মশহুদ সাহেব কি চিন্তিত হননা একথা ভেবে যে কে সেই টাকাওয়ালা যে এরকম কাজে টাকা ঢালছে? কিভাবে সে এই টাকা পেল? ড. ফখরুদ্দীন, জেনারেল মইন ইউ, হাসান মশহুদ, দাপুটে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা, বিমান বাহিনী আর আর্মির প্রতাপশালী অফিসাররা কি এখনও পূর্ণ দৃষ্টিতে বউয়ের দিকে তকিয়ে হেসে বিদায় নিতে পারেন সকালে বের হবার সময়? বোধকরি পারেননা। কতগুলো হিংস্র উন্মাদের আস্ফালনের কাছে নতি স্বীকার করা ক্ষমতাবানদের দৃষ্টি নিশ্চয় নত হয়ে আসে, হাসি নিশ্চয় ম্লান হয়ে আসে অক্ষমতার গ্লানিতে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।