আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিথ্যাচার করে ‘মিস্টার সিইসি’ই রমযানের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন



ফতেহ আলী টিপুঃ ওয়ান ইলেভেনের সুবাদে পরিবর্তিত পরিস্থিতির পটভূমিতে পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান সাবেক আমলা ড. এটিএম শামসুল হুদা রাজনৈতিক দল ও নেতা-নেত্রীদের দুঃসময়ের সুযোগে নানাভাবে চড়াও হয়ে ক্ষমতার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ও সিইসি’র আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ড দেখে তাদেরকে কোন অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবেও সময় সময় মনে হয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশন হচ্ছে সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্বের নিয়ন্ত্রণমুক্ত একটি স্বাধীন ও স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সিইসি ও তার অপর দুই সহযোগী কমিশন সদস্য পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করলেও সংবিধানের সীমা, পবিত্রতা ও সংবিধান আরোপিত দায়িত্বের সীমালঙ্ঘন করার সুযোগ ছাড়েননি। নির্বাচন কমিশনের হঠকারী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বাভাবিক গতি রুদ্ধকারী নানা কর্মকাণ্ড চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একাধিক রীট মামলা দায়ের করা হয়েছে- যা এখনও নি&ৗ৬৩৭৪৩;ত্তির অপেক্ষায়।

রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে ইসি’র আস্থা বৃদ্ধি ও দূরত্ব হ্রাস পাবার বদলে অনাকাঙ্ক্ষিত সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বর্তমান ইসি’র পদত্যাগসহ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি পর্যন্ত জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাথে একতরফা গোপন আঁতাতের বৃত্ত থেকে সরে এসে সরকার সকল দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ভারসাম্যমূলক নীতি অনুসরণ করলে রাজনীতিতে একটি নির্বাচনমুখী পরিবেশ তৈরি হতে থাকে। কিন্তু সিইসি’র কিছু মন্তব্য পরিস্থিতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। াজামায়াতে ইসলামীসহ তাবৎ ইসলামী শক্তি নিয়ে যে মহলটির মাঝে আজন্ম বৈরীতা ও গাত্রদাহ রয়েছে, হঠাৎ করে ইসি ড. শামসুল হুদা তাদের ভাষায় জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটকে অশালীন ভাষায় ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের সুরে আক্রমণ করেছেন।

বিএনপি’র সাথে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী শক্তির ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনী জোট গঠনের ব্যাপারে শংকিত চিহ্নিত রাজনৈতিক মহলকে খুশী করা এবং বিএনপি এবং জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটকে বিভক্ত করার সূক্ষ্ম চাতুর্যও ইসির বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে। জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ঐক্যবদ্ধ বিএনপির মূলধারাকে বাদ দিয়ে যেদিন সিইসি ‘ডকট্রিন অব নেসোসিটির’ দোহাই দিয়ে কতিপয় দলছুট পরগাছা এবং সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় রাজনীতিতে নয়াপানির খলিসা মাছের মতো লম্ফঝম্ফকারীদের চিঠি দিয়ে বিএনপি’র প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকার করেছিল, সেদিনই ইসি একটি মেরুদণ্ডহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনসমক্ষে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরেছিল। পরে অবশ্য তিনি এ অঘঠনের জন্য অনুতাপ করে মাফও চেয়েছেন। কিন্তু কোন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পক্ষে ভুল করে রাজনীতিকদের মতো মাফ চেয়ে পার পাওয়ার বিধান নেই। এ ধরনের ভুল বা সাংবিধানিক বিচ্যুতির প্রতিকার হতে পারে কেবল পদত্যাগে।

এ পর্যন্ত ইসি তার কোন সিদ্ধান্তের পক্ষেই রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য সমর্থন পায়নি। এ পর্যন্ত ইসি যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অবস্থান বদল করে পিছু হটেছে। উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠানের দাবিতে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, ইসি তাকে উপেক্ষা করেছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার সর্বশেষ ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের পরে করার সিদ্ধান্ত এসেছে। যদিও সংসদ নির্বাচনের পর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে উপজেলা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে সরকার ও সিইসি- উভয়ই অনভিজ্ঞতা ও হঠকারিতার প্রমাণ দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে করা সম্ভবপর ছিল, তাহলে ইসি এই ইস্যুতে এতদিন কেন পানি ঘোলা করে রাজনীতিকদের সাথে অনাস্থা এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করলো? অবশ্য ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সরকারের ইচ্ছায়ই তারা উপজেলা নির্বাচনের আগে সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছেন। একই প্রক্রিয়ায় রাজনীতিকে বিদেশীদের ফর্মূলায় নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিবন্ধী করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের নামে রাজনৈতিক দলগুলোকে বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের সূত্রে শৃক্মখলিত করার ষড়যন্ত্রে অংশীদার হয়েছিল। বর্তমান কেয়ারটেকার সরকারের জাতীয় মৌলিক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার এখতিয়ার নেই। সরকার পদে পদে যেমন সাংবিধানিক এখতিয়ার লঙ্ঘন করছে, তেমনি ইসিও সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে মনগড়া ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ ইসি’র কাজ নয়।

এটি প্রয়োজন হলে নির্বাচিত সরকারই বিবেচনা করবে। অথচ ইসি এখানেও হাত দিয়েছে। বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এসব কারণে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করা এবং সকল দলের জন্য লেভেল প্লেইং গ্রাউন্ড তৈরি করাই ইসি’র কাজ।

এই মৌলিক দায়িত্ব বাদ দিয়ে ইসি সরকারের নির্বাহী দায়িত্বের যেমন প্রোকসী দিতে শুরু করেছে, তেমনি নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার ফাঁদ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। এদিকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের বিতর্কিত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সম্পর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে স্বয়ং ইসি ড. শামসুল হকের কিছুু লাগামহীন ও পদমর্যাদার সাথে অসামঞ্জস্যশীল মন্তব্য নির্বাচনী পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলার ইঙ্গিতবাহী মনে করা হচ্ছে। ইসির মতো শীর্ষ সাংবিধানিক পদমর্যাদার ব্যক্তি পায়ে পাড়া দিয়ে কোন বিশেষ রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর সাথে বিবাদে জড়াতে পারে না। ইসি’র সাম্প্রতিক এই আচরণের পেছনে কোন গভীর ষড়যন্ত্রের ছায়া ক্রিয়াশীল কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধন করতে গিয়ে ইসি সকল রাজনৈতিক দলের ব্যাপক সমালোচনা ও প্রবল বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে শুরু থেকেই।

শুধু জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটই নয়। আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘরানার সবকটি দল ও বিএনপি মোটাদাগে এর বিরোধিতা করেছে। জামায়াত ইসির সাথে আলোচনায় অতীতে এমন কোন কথা বলেনি, যা পরবর্তী বৈঠকে উল্টে ফেলেছে। অথচ ইসি জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট সম্পর্কে এমন কিছু স্থূল ও চটকদার বাজারী মন্তব্য করেছেন যাতে জনমত বিভ্রান্ত হবার অবকাশ রয়েছে। ইসি সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ‘রমযানে হুজুরদের মুখে ইহা কী শুনিতে পাইলাম!’ জামায়াত নাকি আগে সবকিছু মেনে নিয়ে এখন নাকি তা অস্বীকার, অন্য কথা বলছে।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালার শর্ত মানার প্রশ্নে জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের বিরুদ্ধে ইসি যে স্ববিরোধী অবস্থান নেয়ার মনগড়া অভিযোগ তুলে বিষোদগার করেছেন, তা তাকে আরও বিতর্কিত এবং নিচু করেছে। সিইসি দাবি করেছেন যে, ইতোপূর্বে তাদের সাথে আলোচনায় জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে সম্মত হলেও শেষবার সংলাপে এসে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে, একই আপত্তি জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটও। এই পটভূমিতেই সিইসি ‘হুজুরদের’ চরিত্র হননের কৌশল নিয়েছেন। এমনকি পবিত্র রমযানের ভাবমর্যাদার প্রতি ‘হুজুরদের’ অশ্রদ্ধার বিষয়ের প্রতিও তিনি ইঙ্গিত করে মহাধার্মিক সেজেছেন। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এক বিবৃতিতে সিইসি’র বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন।

তিনি বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতো একটি সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থেকে এ ধরনের ব্যঙ্গ বিদ্রূপাত্মক হালকা মন্তব্য শুধু বেমানানই নয়, অশোভনও বটে। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সব সময়ই সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে আসছি। প্রথম দু’দফা সংলাপে আমরা বলেছিলাম যে, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধীকরণের বিষয়টি যেহেতু নতুন, তাই খুব সহজ শর্তে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিবন্ধনের অজুহাতে যাতে কোন দলই নির্বাচনের বাইরে থেকে না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ’ ‘তৃতীয় দফা সংলাপে আমরা বলেছি, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের জন্য যেসব কঠিন শর্ত ও স্বল্প সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে, তা ঐ সময়ের মধ্যে কোন দলেরই পূরণ করা সম্ভব নয়।

এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধীকরণ বাধ্যতামূলক করার বিধান প্রয়োজন নেই। জামায়াতে ইসলামী নীতিগতভাবে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিরোধী নয়। কিন্তু সিইসি বয়সের ভারে অথবা রমযানের ক্লান্তিতে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে ‘হুজুরদেরকে’ ইউটার্নকারী হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেই বিতর্কিত হলেন। সিইসি তাঁর মন্তব্যে বলেছেনঃ ‘হায় আল্লাহ! রমযানে ইহা কী শুনিলাম, তারা এবাউট টার্ন নিয়ে চলে গেলেন। ’ গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশটি ইসি যেভাবে জারি করে, রাজনৈতিক প্রতিবাদে ইসি তাতেও সংশোধন এনেছে।

অর্থাৎ তারা কোন ব্যাপারেই অনড় থাকতে পারেনি। জামায়াত বা ইসলামী ঐক্যজোটই নয়, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অবস্থারও এই ইস্যুতে প্রায় অভিন্ন। বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট তথা চারদলীয় ঐক্যজোট রাজনৈতিক দল নিবন্ধীকরণের ব্যাপারে অভিন্ন অবস্থান নিয়ে ইসিকে একই কথা জানিয়েছে। সেখানে বিএনপির প্রতি খোশ মেজাজ এবং জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতি নাখোশ হয়ে সিইসির কুটিলতা পরিহার করাই ছিল উত্তম। ইসলামী শক্তিকে অসাধু ও মত পরিবর্তনকারী প্রমাণ করতে গিয়ে সিইসি নিজেই ডিগবাজী খেলেন।

এতে তাঁর প্রতিষ্ঠান ও পদমর্যাদা হানি হচ্ছে। এটা তিনি বুঝতে পারছেন কিনা, আমরা তা জানি না। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেছেন, দলের কাউন্সিলে ১০ হাজার লোকের সমাগমের বদলে ১ লাখও হতে পারে। এ কারণেই তারাও নিবন্ধনের শর্ত সহজ করার দাবি জানিয়েছেন। আর এটিকে বাধ্যতামূলক না করার দাবি জানিয়েছে প্রায় সকল দল।

তাহলে জামায়াত ও ইসলামী ঐক্যজোট কী অপরাধ করলো? এই ইস্যুতে জামায়াত, বিএনপি ও ইসলামী ঐক্যজোট অভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছে এবং এতে কোন স্ববিরোধিতা বা অস্পষ্টতা নেই। জামায়াতের পক্ষ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের তিনটি ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না মর্মে হাইকোর্টে রীট দাখিল করা হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর রুল জারী করা হয়েছে। আর এটি হয়েছে আগস্টের শেষে। তাহলে জামায়াত তার আগের অবস্থান থেকে ‘এবাউট টার্ন’ করলো কোথায়? জামায়াতের দায়ের করা রীটে বলা হয়েছে যে, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ প্রণয়নের এখতিয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেই।

সংবিধানের ৫৮(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দৈনন্দিন রুটিন কাজ করা। নীতিনির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত এ সরকার নিতে পারে না। কিন্তু নীতি নির্ধারণী কাজের আওতায় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ২০০৮-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ জারি করলেও অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোন কার্যকারণ বিদ্যমান নেই। সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের কোন সম্পর্ক নেই।

অধ্যাদেশটি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ৩৮ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। অসাংবিধানিকভাবে সরকার এই অধ্যাদেশের ৯০বি(১)(বি) (। । ) ধারায় রাজনৈতিক দলের প্রতিটি কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারী প্রতিনিধি রাখার শর্ত দিয়েছে। যা ২০২০ সালের মধ্যে অর্জন করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।

এমনকি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনকে এ অধ্যাদেশে অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। যা সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। জামায়াতের পক্ষ থেকে এই রিটও প্রমাণ করে জামায়াত কখনই ইসি’র সাথে সব ব্যাপারে একমত ছিল না। তাহলে কেমনে সিইসি বললেন যে, জামায়াত আগে একমত হয়ে, এখন দ্বিমত করছে? অতএব বলা যায় জামায়াত নয়, মিথ্যাচার করে সিইসি’ই রমযানের অমর্যাদা করেছেন। ইসি তার এখতিয়ার বহিভূêত ও বিতর্কিত অধ্যাদেশ রাজনৈতিক দলের ওপর চাপিয়ে দেয়ার বাড়াবাড়ি করে গণতন্ত্রে উত্তরণকেই ব্যাহত করতে চাইছে।

সিইসি তাদের ওপর অদৃশ্যশক্তির আরোপিত এখতিয়ার বহিভূêত কাজে জেদ দেখাতে গিয়ে ইসলামী শক্তির চরিত্র হনন করে আরও জঘন্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। নিজের দুর্বলতা ও অবিমৃষ্যকারিতা ঢাকতে গিয়ে সিইসি যেভাবে প্রলাপ বকছেন, তাতে আমাদের বলতে হচ্ছে, ছিঃ! সিইসি! আপনি পদমর্যাদা ও শোভনতার সীমা ছাড়িয়েছেন। জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, ব্যর্থতার ভারে দিশেহারা সিইসির জামায়াতকে টার্গেট করার রহস্য কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।