আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিহাসের মিথ্যাচার

আমি কেবলই আমার মতো বাংলাদেশে একশ্রেনীর খবর উৎপাদক মানুষ আছে। তারা কিছু লেখার সময় উল্লেখ করবে শ্রুত মুখে শোনা যায় অমুক এই করেছিল, তমুক এই করেছিল ইত্যাদি। আর এসব কথাগুলোকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বেমালুম বলে যায় আরেক শ্রেনীর লোকেরা। অথচ এসব কথার ন্যুনতম ভিত্তি নেই। ইতিহাস তন্ন তন্ন করেও এসবের কোন নাম-নিশানা পেলাম না।

সর্বোচ্চ রেফারেন্স 'জনশ্রুতি রয়েছে' ব্যাস এই পর্যন্ত। এটাকেই অনেকে সত্য জ্ঞান করে পুনরায় লিখছে এভাবে মুটামুটি সত্যে পরিণত করা হয়েছে অনেক ঘটনা। এরমধ্যে রয়েছে কলকাতায় আওয়ামী লীগ নেতারা হোটেলে বসে মদ্যপান, জুয়া খেলেছে, নারী নিয়ে ফুর্তি করেছে, সিনেমা ও নাটক দেখেছে ইত্যাদি। এরপরে রয়েছে বঙ্গবন্ধু তনয় শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ও বঙ্গবন্ধুর এক খুনীর স্ত্রীকে অপহরনের ঘটনা এবং বঙ্গবন্ধু ও শেখ মনির অঢেল ধনসম্পত্তির কথা। এগুলোর তথ্যপ্রমানসহ ন্যুনতম বিশ্বাসযোগ্য লেখা আমি কট্টর আওয়ামী লীগ বিরোধী কারো লেখাতেই পাইনি।

অলি আহাদ, ভাষা মতিন, বদরুদ্দিন উমর, ফরহাদ মজহার, আহমদ ছফা, আহমদ শরীফ, আব্দুর রহিম, মওদুদ আহমদ, শাহ্‌ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখের লেখায়ও পাইনি। বঙ্গবন্ধুর সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় আওয়ামী লীগের অনেক ত্রুটির বিষয়ে অনেক সমালোচনা করলেও আমার উল্লিখিত বিষয়গুলোর সম্পর্কে কোথাও কিছু পাওয়া যায়না। শুধু 'জনশ্রুতি আছে' এই পর্যন্ত... ব্যাস!! তবে এটা নিশ্চিত হয়েছি যে, এগুলোর উৎপাদন কারখানা চীনাপন্থী বামদের পক্ষে হলিডে এবং ক্ষমতার দ্বন্ধে অন্ধ হয়ে জন্ম নেওয়া জাসদের গণকন্ঠ পত্রিকাদ্বয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত এসব ঘটনা ও বিষয়কে 'জনশ্রুতি আছে' এরকমভাবে লিখে ভিত্তি রচনা করা হয়েছে এবং জাসদ ক্ষীনস্বরে বলেছে। পঁচাত্তরের পরে মাঠে ময়দানে বক্তৃতায় চলে এসেছে অবাধে।

তখন যে চীনাপন্থী ও পাকিস্তানপন্থীদের জয়জয়কার!!! যারা মন্তব্য করতে চান তারা দয়াকরে Click This Link এই পোষ্টে তারপরে করবেন। মনগড়া তথ্যে ভরা ব্লগের লিঙ্কে আমি বিশ্বাস করিনা। অনলাইনের কোন রেফারেন্স গ্রহন করিনা আমি। আমি দেইনা কোথাও। কেউ সুস্পষ্ট গ্রন্থের লেখকের লেখার রেফারেন্স উল্লেখ করতেই পারেন।

দেখতে হবে সেই গ্রন্থ কোন সময়ে লেখা, তথ্য ও উপাত্ত কোত্থেকে সংগৃহীত হয়েছে, লেখকের রাজনৈতিক অবস্থান ও সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা এবং মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকা ইত্যাদি ধর্তব্যে নিতে হবে। মোদ্দাকথা ইতিহাস লেখলেই ইতিহাস হয়না এটা মাথায় রেখে মন্তব্য করতে হবে। এই লিঙ্কের শর্ত মোতাবেক আমার সিদ্ধান্ত নেবো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।