আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুহুর্ত ভাবনা-৩

মুশতাহির কল্পবাবু

অনামিকা, কেমন আছো? তোমাকে শেষবার লিখেছিলাম এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে। মনে আছে? আর লেখা হয়নি। তোমার কথা কখনো মনে হয়নি তা কিন্তু নয়। অনেকবার মনে পড়েছে। অনেকবার লিখবো বলে ভেবেছি।

শুয়ে শুয়ে বুনন চলেছে অনেকখানি, শেষমেশ শুধু চোখের সামনে মেলে ধরা হয়নি এ-ই যা। তাহলে আজ, এই ভোর রাতে কেন? কি করব ঘুম আসছেনা একদম। মনটা ভয়াব হ অশান্ত। উপুড় হয়ে শুয়ে শুনি আমার হৃদপিন্ড পুরোদমে ঢাকঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে। হাহা।

আচ্ছা অনামিকা, কিসে শান্তি আসে বলত। অনেকদিন হল, আমি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিনা। সবকিছু একই সাথে অর্থব হ ও নিরর্থক মনে হচ্ছে। বিধাতার প্রশ্ন থেকেই ধরি অনেক মানুষ আছে যারা পুরোপুরি নাস্তিক। তারা খোদা বিশ্বাস করেন না।

তারা মনে করেন human body is just a combination of biological functions, সেইসব নাস্তিকদের আমরা ছি ছি করি। কিন্তু কথা হলো , তারা কি জীবন ঠকে যান। নাহ! দুঃখ যেমন থাকে,সুখও তাদের থাকে। আর যারা আস্তিক, তারা কি সর্বদা জেতেন? তাও না। আস্তিক বা নাস্তিক সবার ক্ষেত্রে দুঃখ এবং সুখ মিলে সমীকরন মোটামুটি সমান হয়।

তাহলে ঈশ্বরে বিশ্বাস করার সুফল কোথায়? পরকালে। যা আমরা দেখিনি। যা শুধুই বিশ্বাস। যা এক ধরনের সান্ত্বনা। একটা গরিবের যে হয়ত এটা ভেবেই ধনীর জুতা পরিস্কার করবে এই ভেবে যে-নাহ ! পরকাল তো আছে।

এভাবে গরিবেরও রুটি জুটবে, ধনীরও জুতো পরিস্কার হবে। এভাবেই দুনিয়া চলবে। অনামিকা, তুমি আমাকে ভুল বুঝো না। আমিও আস্তিক, কারণ একটা প্রশ্ন আমাকে প্রবল ভাবে আলোড়িত করে, সবকিছুর স্রষ্টা থাকে, এই বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডেরও স্রষ্টা আছেন। নিশ্চয়ই আছেন।

না থেকে পারেনই না। কিন্তু কোথায় যেন শুনেছি, ঠিক নিশ্চিত না, পদার্থকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। আচ্ছা শক্তি থেকে কি পদার্থ হতে পারে? হতে পারেনা কোন ভাবে শক্তি থেকে প্রথম ধূলিকণাটি সৃষ্টি হয়েছিল? হলেও কথা থেকে যায়, শক্তি আসলো কোথা থেকে! আর আমি যা বলছি, বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি আছে কিনা তাও তো জানি না। এসব কথা বাইরে বলা যায় না। আমি উত্তর চাইনা।

কিন্তু বাংলাদেশে এসব বলতে গেলে কোনদিক থেকে যে কে কোপাতে আসে ! বাংলাদেশের মানুষ খুব একটা flexible না বুঝলে? যাক তোমাকে কি আর বোঝাবো। তুমি একটা মেয়ে হয়ে জন্মেছ। তুমি আমার চেয়ে ভালো বুঝবে। ভোরের আলো আমার জানলা দিয়ে এসে বিছানার উপর পড়ছে। ভোরে আলো এত সুন্দর কেন।

সবকিছু চুপচাপ, তাই? ভোরের আলোর মধ্যে একটা আশা থাকে। সুন্দর একটা দিনের প্রত্যাশা। আমরা মুখে বলিনা। কিন্তু আগের দিনের কষ্টগুলো আমাদের অবচেতন মন যে নতুন দিনে অনেকখানি কমিয়ে দেয় খেয়াল করেছ?অবচেতন মন আশা দেখে যে আমাদেন নতুন দিনটি অনেক সুন্দর যাবে, সফল যাবে। আমার হঠাৎ একটা অদ্ভূত ব্যাপার মাথায় আসছে... Life=Joy-Sorrow=0 what we gain from the equation? we gain knowledge. knowledge of what? Knowledge that someday we might be able to prove the equation wrong. Knowledge that we might be able to prove what we feel-our life is not worthless. Its not zero. It has a meaning. Meaning that extends far beyond our lives, our conscious. What we gain from the equation? we gain -hope. অনামিকা, আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি??? অনেক বিরক্ত করেছি তোমাকে।

আর করবোনা। ভোর হয়ে গেছে। ঘুম আসেনি এখনও। কিন্তু মাথা ধরেছে খুব। ঘাড়টাও ব্যথা করছে।

আর লিখবোনা। ভালো থেকো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।