আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথাকথিত শুণ্য দশক, কোথায় যাচ্ছে বাংলা সাহিত্য (একটি রক্ষনশীল পোষ্ট)

সর্বদা শুভ কামনায়...

আমাদের সংস্কৃতি পৃথিবীর অনেক ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির থেকে সমৃদ্ধ। বাংলা সাহিত্যও প্রায় কয়েক শতকের পূরনো। যুগে যুগে অনেক গুণী শিল্পীর নিপূণ ছোঁয়ায় তা আরও পূর্ণতা পেয়েছে। তবে সম্ভবত উনিশ শতক এবং বিশ শতকের প্রথম সাত আট দশকে এটি চরম উৎকর্ষ লাভ করে। মূলত এর পর থেকেই পত্তনের আরম্ভ।

সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু'টি শাখা হল কাব্য ও সংগীত। আমাদের গদ্য সাহিত্য মোটামুটি আশানুরুপ বিকশিত হলেও প্রথমোক্ত দু'টি বর্তমানে পৌঁছেছে ধ্বংসের প্রায় শেষ সীমানায়। প্রথমে আসি কাব্য নিয়ে: আব্দুল হাকিম, শাহ সগীরদের সনাতন প্রথা ভেঙ্গে এতে প্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া লাগান মাইকেল মধুসূধন দত্ত। পাশ্চাত্যের কাব্য ব্যাকরণ সফলভাবে বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম প্রয়োগ করেন। এই ধারা থেকে কিছুটা ভীন্ন আঙ্গিকে বাংলা কাব্যকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়েযান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

সমসাময়িক সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-তো ছন্দের যাদুকর বলেই খ্যাত। তবে রবীন্দ্র কাব্যের মায়াজাল ছিন্ন করে ঘুমন্ত জনতাকে জাগিয়ে তুলেন জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম ও সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর পরেই শুরু হল বর্তমানধারার আধুনিক কবিতা। ত্রিশের দশকে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন আত্মকেন্দ্রিক কবি জীবনান্দ দাশ। তিনিই এই ধারার শেষ কবি, যিনি কবিতার ব্যাকরণ, রীতি-নীতি মেনে চলেছেন।

সম্ভবত তার পরেই শুরু হল কবিতার বিদ্রোহী যুগ, যেখানে কবিগণ মার-প্যাঁচ মুক্ত হয়ে বন্ধনহীন মুক্ত স্বাধীন কলম চালালেন। তবে, এই ধারার কাব্য চর্চায় যে সুবিধা হল হাত খুলে লেখার স্বাধীনতা, কিন্তু পক্ষান্তরে ব্যাকরণ বিহীন কাব্য, এই ঘাটতিটা পুষিয়ে দেবার জন্য প্রয়োজন হয় ক্ষুরধার বানী, ও সহজবোধ্যতা। অনেকটা কোন কিছু পেতে হলে কিছু ছাড় দইতে হয়। শামসুর রহমান ও আল মাহমুদ বেশ সাফল্যের সাথেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন। আশির দশকের ক্ষনজন্মা রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ-ও এতে অবদান রেখেছেন।

হেলাল হাফিজ-রাও ব্যার্থ হন নি। কিন্তু বিপত্তি বাঁধল তাদের অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে। কবিতা---এটি আসলে এইশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা, যার হয়না...তার কাছে এটা চিরকালই অধরা থাকে, এই বিশ্বাসকে সরাসরি আক্রমন করতে গিয়ে জন্ম নিল ব্যার্থ কবি সম্প্রদায়ের। এবং সাহিযত্যিকআধুনিকতম সংস্করণ এই দলটি দিনে দিনে ভারি হতেই আছে। শুনে অবাক হবেন, অনেক বিখ্যাত জনও এই দলের সদস্য।

যাক গা,কয়েকটা নাম বলেই ফেলি, ১) নির্মলেন্দ গুণ একজন খাঁটি ব্যার্থ কবি। আমি জীবনেও তার একটা গাঁটের পয়সা খরচ করে কিনে পড়ি নি, বিভিন্ন পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে তার কবিতা জোর-জবরদস্তি পড়ার চেষ্টা করেছি, দু-তলাইন যেতে না যেতেই চরম রকম বিরক্ত হয়ে পত্রিকাটাই ছুঁড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা করে। কেবল গেট আপ-সেট আপএ রবীন্দ্রনাথকে নকল করলেই কি কবি হওয়া যায়?? ২)সমুদ্র গুপ্ত: উনার মৃত্যুতে আমি শোকাহত, কিন্তু তার সৃষ্টি সাহিতে কতটুকি অবদান রেখেছে? ৩)ত্রিবিদ দস্তিদার: উনিও ছিলেন এই দলের সদস্য। ৪)আসলাম সানি:একটা ভূয়া ২০০% ব্যার্থ কবি। ৫))টোকন ঠাকুর: ৫০০% ব্যার্থ।

সবার নাম বলতে গেলে শেষ করা যাবে না... তবে, এই সম্প্রদায়ের আধুনিক তম সংস্করনটি হচ্ছে হালের ব্লগীয় দাঁড়কাক সম্প্রদায়। যাক গা, সংগীত নিয়ে আরেকদিনএরকম এক্টা জ্ঞাংর্ভ আলোচনা করব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.