আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোংরা দৃষ্টি

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা আমরা তোমাদের ভুলবা না

স্টেশনে জীর্ন র্শীন বসনে দুই বালিকা দাড়িয়ে আছে তার মা ও তার দাদীর কাছাকাছি। মায়ের কোলে একটি শিশু। হাতে পুরনো কাপড়ের গাট্টি। পুরোনো ব্যাগে পুরনো কাপড়। বড় বালিকাটির বড় ১৪/ ১৫ পনের হবে।

পুরনো জড়জেট ফ্রক দুই বালিকা পড়েছে। একটি ওড়না গামছার মত গলায় ঝুলিয়ে রেখেছে। চা-য়ের দোকানে ডুকতেই বড় বালিকাটির গায়ে হাত দেয় বৃদ্ধ একটি লোক। বলে যাও বয় গিয়া। বালিকাটি বিরক্ত হয়ে হাত সরিয়ে নেয়।

এবার বাসে উঠে। হাঠাত গাট্টি খুলে কাপড় গুলো বাসের ভিতর পড়ে যায়। বড় বালিকা কাপড় তুলে ঝুকে গিয়ে। শরীররে পুরো অংশটা আগলা হয়ে যায়। দেখা যায় নাভী পর্যন্ত।

ছোট বুক। ফর্সা। হা তাকিয়ে থাকে বাসের যাত্রীরা। দেখতে থাকে উঠন্ত বয়সে বেড়ে উঠা এক বালিকার আহার ভরা বুক। যাত্রেদের চেখে পলক পড়ে না।

ওদের নোংরা দৃষ্টি যেন কিশোরীর বালিকাকে খুবলে খুবলে খেয়ে রক্তাক্ত করে দিবে। কাপড়[ বাধা শেষ করে বালিকা আবার সোজা হয়ে দাড়ায়। বসে দিদার পাশ ঘেষে। বাস কন্ট্রক্টর দমকায়। এই খানে বসন যাইব না।

সরে আসো। বালিকা ইঞ্জিন কভারে বসে। একটু সামনের দিকে ঝুকে বসে। জর্জেট কাপড় ভেদ করে আলোক রশ্মি গলার নিচের আংশ স্টষ্ট করে তোলে। বালিশের কোনার মত বড়ন্ত বুক, ছোট সরু তার বাটন।

পুরোটাই স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। চোখ যেন পলক ফেলে না । অতৃপ্ত ক্ষুধা গাড়ীর গতি বাড়ার সাথে গাড়ি ঝাকি দিলেও ঝাকি খায় শরীরের বঙ্কিম অংশটি। বালিকা বাম হাত দিয়ে ডান পাহাড়টি চেপে ধরে । ওকে আর লাফতে দেয় না।

বালিকার পাশে বসেছে এক যুবক। যুবক নয়। প্রবীন। বয়স ৪০ উপরে। সেও রঙ্গীর গ্লাসের ভিতর দিয়া বালিকার রুপ সুধা পান করে।

বালিকা এতসব বুজে না সে বুজে আড়মা খাওয়া। আর হাত নেড়ে ছোট বোনকে এটা সেটা দেখানোতে। তার বয়স বাড়ছে। জর্জেট ফ্রগের ভিতর আরটি টেপ জাতীয় পোশাক পড়া দরকার তা সে বুঝে না। বুঝে না তার দিদা ও মা তার মেয়ে বড় হয়েছে।

দীর্ঘ সফরে বালিকা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দিদাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়। ঝাকি খেয়ে ঘুম ভাঙ্গে। স্টেশনে নেমে যায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।