আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোটগল্প ম্যানিয়াক ওম্যান

আই লাভ মাইসেল্ফ

ম্যানিয়াক ওমেন পান্থ বিহোস - আপনার নাম? :: জ্বি, আমার নাম অহনা। - ও আচ্ছা, আপনার নাম হলো গিয়ে অহনা, মিস অহনা। ...স্যরি, আমার মনে হয় আপনি মিস। :: হি-হি-হি। অবশ্যই।

যেহেতু আমার মিস্টার নেই অতএব আমি মিস। - তাতো বটেই, তাতো বটেই। আপনি কোন ডিপার্টমেন্টে আছেন? :: কেমিস্ট্রি। - তাই নাকি? তাই নাকি? আমিও তো কেমিস্ট্রি। অথচ কি আশ্চর্য ! আপনাকে তো আগে কাসে দেখিনি।

:: জ্বি, আমি ফার্স্ট ইয়ার। - ও আচ্ছা, ও আচ্ছা। :: আপনি কি প্রায়ই একটা কথা দুবার করে বলেন? - জ্বি না, জ্বি না। :: হি-হি-হি। এখনো তো বললেন! - কোথায়, কোথায় বললাম? :: আচ্ছা এসব থাক।

এবার বলুন আপনার নাম কি? - আমি রুদ্র। কেমেস্ট্রি থার্ড ইয়ার। :: আচ্ছা বলুন তো এবার কি করা যায়? - কি করা যায় মানে? :: মানে, আমি এখন যেতে চাই। আপনি কি আমাকে ডেকেছেন শুধু নাম জানার জন্যে? - জ্বি, ঠিক তা না। ঠিক তা না... তবে- :: তবে কি? যা বলার বলে ফেলুন।

আমার মোটেই সময় নেই। - আসলে আমি কি যে বলবো? আসলে আমি খুব ভীতু। আসলে আমি আপনাকে এম্নিতেই ডেকেছি। আসলে... :: আসলে কি? - জ্বি, ইয়ে... আসলে আপনি খুব সুন্দর। :: সে আমি জানি।

আপনার মতো অনেকের কাছেই শুনেছি। - অনেকের কাছে শুনেছেন? :: জ্বি। - তারপর? তারপর ওদের কি বলেছেন? :: বলেছি থ্যাংকয়ু। বাসায় দাওয়াত দিলাম। চা খেয়ে যাবেন।

আপনাকেও বলছি- রুদ্র, থ্যাংকয়ু ফর য়ুর নাইস কমেন্ট। সো আপনাকে বাসায় চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ করছি। এই নিন আমার কার্ড। যেকোনো দিন সন্ধ্যায় চলে আসুন। এখন যাচ্ছি।

সি য়ু এগেইন, বাই। দুই. : কি ব্যাপার রুদ্র, মনে হচ্ছে কোন সমস্যা? - কই, না তো! আমি ভাল আছি। আই এম ওয়েল। আইএম এ গুডম্যান এন্ড লাকি ম্যান। : অফকোর্স।

কিন্তু আমি তো দেখছি সেই সন্ধ্যা থেকেই রুমে এসে চুপচাপ বসে আছিস। সত্যি কথা বলতো বন্ধু? - আচ্ছা রকিব, তুই আমাকে কি ভাবিস বল তো? তোর কাছে আমি কোনো কথা লুকাই? : তা অবশ্য ঠিক বলেছিস। আসলে তোর মন খারাপ থাকলে আমার নিজেরও ভাল লাগে না। এম্নিতেই হলের জীবন আমার কাছে জেল খানার মতো লাগে। - হল তোর কাছে জেলখানার মতো লাগে? আশ্চর্য! : তা নয়তো কি? সারাণ থাকি আতঙ্কের মধ্যে ।

এই বুঝি ঠুসঠাস শুরু হলো। কিংবা পুলিশের তল্লাশী। কিংবা মেয়েদের হয়রানি। যা কয়েদীর কাছে জেল খানার পাগলা ঘন্টার মতো। - তোর কথা অবশ্য যুক্তিহীন নয়।

: তা বাবা, এবার তোর আসল ঘটনা ঝটপট বলে ফেল তো! - আসলে কি হয়েছে জানিস? শোন আজ সকালে... না থাক । সংক্ষেপে বলি। একটা মেয়ে আমাকে তার বাসায় চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে। সময় যে কোন দিন সন্ধ্যা। : মেয়েটি কে? আর তোকে এম্নি এম্নি চা খাওয়ার দাওয়াত দিল? - তা না।

তাহলে তো তোকে বিস্তারিত-ই বলতে হয়। : তো বল। নাকি বলতে লজ্জা করছে? - না করছে না। তোকে সব বলছি। আজ প্রায় অনেকদিন থেকে একটা মেয়েকে আমি দেখে আসছি।

মেয়েটাকে আমার ভাল লাগে। আজ মেয়েটার সাথে সাহস করে কথাই কলে ফেললাম। কথা বলে মনে হলো তারও বোধহয় আমাকে ভাল লাগে। : যা শালা! তবে তো হয়ে গেছে। - কি? কি হয়ে গেছে? : ন্যাকা করবি না।

তারপর কি হলো বল? - তারপর আর কি? ওর নাম অহনা। আমাদের ডিপার্টমেন্টেই ফার্স্ট ইয়ার। আমার নাম জানতে চাইলো। নাম বললাম। বললাম আপনি খুব সুন্দর।

ও বললো আপনাকে বাসায় চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ দিচ্ছি যেকোন দিন সন্ধ্যায় চলে আসুন। : এটুকু কথার মধ্যেই তোকে চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ দিয়ে দিল? ব্যাপারটা কেন যেন খটকা লাগছে না? - দূর! আসলে তোর বোধ হয় হিংসে হচ্ছে। : কথাটা অবশ্য মিথ্যে বলছিস না। তা চা খেতে যাচ্ছিস কবে? - কেন তুইও যাবি নাকি? : আমি অবশ্য যেতে চাই না। কিন্তু তুই যদি নিতে চাস তাহলে তো যেতেই হবে।

তোর জন্য তো আমি আর না বলতে পারি না। হাঃ হাঃ হাঃ। দূর, আমি যাবো কেন? তোর নিমন্ত্রণ তুই যা। তিন. - মনে হচ্ছে, আপনি দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন? বেল বাজার সাথে সাথেই দরজা খুলে দিলেন। :: আসুন, রুদ্র।

হ্যা, আপনাকে ছাদ থেকে দেখতে পেয়ে নেমে এসেছি। - এ রুমে আপনি থাকেন? :: হু। আপনাকে ড্রইং রুমে না বসিয়ে বেড রুমেই নিয়ে এলাম । কিছু মনে করেননি তো? - মনে করবো কেন? এতো আমার সৌভাগ্য। একজন সুন্দরী অষ্টাদশী তরুণীর বেড রুমে আসতে পারা চাট্টিখানি কথা নয়।

:: তাই নাকি? - আমার তাই মনে হয়। :: আচ্ছা ঠিক আছে বসুন। এই স্যুইভেল চেয়ারটায় বসুন। - বসলাম। কিন্তু আপনি? :: এক মিনিট।

বলুন ঠাণ্ডা না গরম? - এ্যাজ য়ুর উইশ! :: তবে ঠাণ্ডা আনি। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে তো! - আনুন। :: আপনি বসুন। আমি দুই মিনিটের মধ্যে আসছি। - আচ্ছা ঠিক আছে।

চার. :: এই নিন! পহেলা আইসক্রিম দিয়েই শুরু করুন। - ওকে। আপনিও নিন। ঠাণ্ডা বলতে যে আপনি এতো কিছুকে বুঝিয়েছেন সেটা আমি বুঝতে পারিনি। :: তাই? - তাই নয়তো কি? ওকি, এখন আবার কাকে মোবাইল করছেন? :: এটা মোবাইল নয়।

এটা একটা রিমোট। এই যে আমি বোতাম টিপলুম দেখুন চেয়ারের সাথে আপনার হাত আটকে গেছে। - মা-মা মানে? :: মানে কিছু নয়। এই দেখুন এবার আপনার পা চেয়ারের সাথে আটকে গেছে। - আপনি কি ক-ক করছেন? আ-আ আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না।

মিস অহনা, আপনি কি আমার সাথে রসিকতা করছেন? :: না, আমি আপনার সাথে রসিকতা করছি না। আর শুনুুন আমার নাম অহনা নয়। আমি শম্পা। শম্পা মানে জানেন তো? মানে বিদ্যুৎ। হ্যাঁ, এখন আমি বিদ্যুতের মতো কিছু কাজ করবো আর এই বোতাম টিপলুম এবং আপনার শরীরও চেয়ারের সাথে আটকে গেল।

নড়াচড়া করবেন না। নড়াচড়া করলে শুধু ব্যথা পাবেন। কখনো ছুটতে পারবেন না। - ওকি! ছুরি বের করছেন কেন? আপনি কি আমাকে মেরে ফেলবেন? :: হাঃ হাঃ হাঃ। স্যরি, হাঃ হাঃ করে হাসলাম।

হাঃ হাঃ করে মেয়েরা হাসে না। হাঃ হাঃ করে হাসে ছেলেরা। মেয়েরা হাঃ হাঃ করে হাসলে অমঙ্গল হয়। জানেন তো? আর শুনুন, আমি আপনাকে খুন করবো না। তবে সামান্য একটু কষ্ট দেব।

স্যরি কিছু মনে করবেন না। আপাতত আপনার শার্ট-প্যান্ট-শর্টস শরীর থেকে আলাদা করে ফেলবো। - কি-ক্বি? অহনা, আপনি কি সেক্স ম্যানিয়াক? :: চুউপ! আমি অহনা নই। আমি শম্পা। আমি সেক্স ম্যানিয়াক নই।

আমি শম্পা। - স্যরি। আসলে আপনি আমাকে কি করতে চান? :: আপাতত এই কাঁচি দিয়ে আপনার শরীর থেকে আপনার কাপড় আলাদা করতে চাই। এই যে প্রথমে আপনার শার্ট কেটে বের করছি। কি, কাঁচির ক্যাচ ক্যাচ শব্দ শুনতে ভাল লাগছে তো? ওরে বাবা,আপনার বুক তো চমৎকার।

নিয়মিত ব্যায়াম করেন বুঝি? বাহ! হাত বুলালে কি আরাম লাগে। এবার আপনার প্যান্ট খুলে ফেলছি। স্যরি কিছু মনে করবেন না। লজ্জা লাগছে? লজ্জা লাগার কিছুই নেই। এই বাসায় আমি ছাড়া আর কেউ-ই নেই।

পাঁচ. > কি ব্যাপার রকিব, এতো রাতে? : সেলিম ভাই, বিপদে পড়েছি। সন্ধ্যায় রুদ্র রুম থেকে বেরিয়েছে এখনো ফেরেনি। > এতে বিপদের কি আছে? হয়তো ওর কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের বাসায় রয়ে গেছে । : না সেলিম ভাই। আমার জানামতে ঢাকায় ওর এমন কোন আত্মীয় বা বন্ধু নেই যার বাসায় ও রাত কাটাতে পারে।

তাছাড়া ও কখনো আমাকে না বলে এতো রাত পর্যন্ত বাইরে থাকে না। > শোনো, এতে চিন্তার কিছু নেই। হয়তো কোনো ঝামেলায় পড়েছে। তোমাকে বলারও সময় হয়নি। ঝামেলা শেষ হলেই চলে আসবে।

: আমারও তাই ধারনা। এবং আমার মনে হয় ওর ঝামেলাটা আমি জানি। > জানো? কি? : ওর আজ একটা মেয়ের বাসায় প্রেগ্রাম আছে। আমার ধারনা ওখানেই ও কোনো ঝামেলায় আটকেছে। > ওই মেয়ের ঠিকানা কি? : তা তো জানি না সেলিম ভাই।

তবে এটুকু জানি মেয়েটা খুব সুন্দরী। ওর নাম অহনা। আমাদের ডিপার্টমেন্টেই ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। > দূর মিয়া, এই ঠিকানায় কি মেয়েকে পাওয়া যাবে? আচ্ছা এক কাজ করি। যেহেতু মেয়েটা খুব সুন্দরী এবং ওর নাম জানা আছে তাহলে ফার্স্ট ইয়ারের ছেলেদের কাছে ওর ঠিকানা পাওয়া যেতে পারে।

কিন্তু সে আশা ক্ষীণ। তবু চেষ্টা করে দেখি। চল আমার সাথে। : কোথায়? > কেন, বুঝতে পারছো না? কেমিস্ট্রির ফার্স্ট ইয়ারের কোনো ছেলেকে জিজ্ঞেস করবো অহনা নামের কোনো মেয়েকে চেনো কি না? তার ঠিকানা জানো কি না? আমার ধারনা যেহেতু মেয়েটা সুন্দরী, তাই ওর ঠিকানা বের করা কোনো ব্যাপারই না। : আচ্ছা , চলুন।

ছয় :: শুনুন রুদ্র সাহেব, আমি খুনি নই যে আপনাকে খুন করবো। তাছাড়া আমার এতো সাহসও নেই আর আমি খুনী হতেও চাই না। - আমার বেঁচে থাকার কোনো কর্থ হয় না। প্লিজ আপনি আমাকে খুন করুন। প্লিজ কিল মী।

কিল মী...কিল মী...কিল মী... .. . :: নো নেভার। শুনুন, মানুষের জীবনের মূল্য অনেক। সামান্য ব্যাপারের জন্য জীবন দেয়া বোকামী। তাছাড়া আমি আপনাকে মরতে দিতে পারি না। আর কাজটা এতো সহজ ভাবে করবো যে আপনি টেরও পাবেন না।

মনে হবে পিপড়ের কামড়। আমার হাত পাকা। এর আগে পাঁচটা কেটেছি। এই দেখুন বয়্যামে ফরমালিন দিয়ে সাজিয়ে রেখেছি। আর আপনি মরবেন কেন? পুরুষঙ্গ কেটে ফেললে মানুষ মরে না।

এই যে পাঁচজন এরা কিন্তু কেউ-ই মরেনি। আমি নিজে ওদের চিকিৎসার পয়সা দিয়েছি। ওদের সিকিউরিটির ব্যবস্থা করেছি। আপনারটাও কেউ জানতে পারবে না। আপনি আপনার বন্ধুকে সুন্দর করে একটা চিঠি লিখবেন যে, আপনি কাজে কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন।

আমি সেই চিঠিও পৌঁছে দেব। আর আপনি সুস্থ্য হয়ে গেলে আমি আপনার সাথে হাসবো গাইবো। আপনার সব থাকবে। শুধু এই অঙ্গটা থাকবে না। এতে দুঃখ পাবার কি আছে? অবশ্য আপনি কোন নারীকে... .. . - প্লিজ স্টপ! স্টপ ইট! :: ওকে।

এখন সোজা হয়ে বসুন। কাজটা সেরে ফেলি। আপনারটা রাখবো এই বয়্যামে। ছয়টা বয়্যাম হবে আমার। একদিন হবে ষাটটি... তারপর ছয়শত... ছয় হাজার...! রুদ্র সাহেব, আমার এখন কি যে আনন্দ হচ্ছে! এই আনন্দের বিনিময়ে আমি আমার সব ধন সম্পদ বিসর্জন দিতে পারি।

এবং দেবও। - মিস শম্পা, আমার একটি অনুরোধ রাখবেন? :: প্লিজ বলুন? তবে আপনার এটা আমি অবশ্যই কাটবো। - আপনি এতো সুন্দর! আপনার কাজটাও সুন্দর। তবে ভয়ঙ্কর সুন্দর! আপনি এ কাজটা কেন করছেন? আপনি কি কোন ছেলের কাছ থেকে দুঃখ পেয়েছেন? :: আরে ধ্যাৎ! ওসব তো সিনেমার ঘটনা। বাস্তবে এমন আছে নাকি? আমার আসলে এটা একটি শখ।

মানুষের কত রকমের শখ থাকে। কারও শখ ডাকটিকিট সংগ্রহ। কারও শখ পান খাওয়া। কারও শখ ঘুম যাওয়া। কারও শখ মেয়েদের নিয়ে ফস্টিনস্টি করা।

কারও শখ ধর্ষণ করা। আমার শখ হচ্ছে পুরুষের লিঙ্গ সংগ্রহ করা। জীবন্ত পুরুষ মানুষের লিঙ্গ। কথাটা শুনতে অবশ্য খারাপ শোনায়। - শুধু শুনতে নয়, এটা বর্বরতা।

:: দূর মিয়া! এটা কোনো বর্বরতা হলো নাকি? প্রাচীন রোমানদের একটা ঘটনা বলি- কোনো যুবতীর সাথে কোনো যুবকের বিয়ে ঠিক হলে কি করা হতো জানেন? যুবকটির কোনো বন্ধু যুবতীটিকে প্রকাশ্যে সবার সামনে ধর্ষণ করতো। কেন এমন করতো জানেন? মেয়েটি কুমারী কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য। মেয়েটিকে যখন ধর্ষণ করা হতো তখন তাদের নিচে থাকতো সাদা চাদর। মেয়েটি যদি কুমারী হতো তাহলে ধর্ষণের সময় মেয়েটির হাইমেন বা সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যেতো এবং সাদা চাদর রক্তে লাল হতো। সেই রক্তমাখা চাদর সবার সামনে উড়িয়ে দেয়া হতো সম্মানের(?) প্রতীক হিসেবে! কেমন মজার ঘটনা না, রুদ্র? পুরুষেরা যদি শখ করে মেয়েদের নিয়ে ফস্টিনস্টি করে ব্লু-ফিল্ম তৈরি করে বাজারজাত করতে পারে তাহলে আমরা মেয়েরা কেন এই সামান্য কাজটুকু করতে পারবো না? আপনি হয়তো জানেন না, আমার মতো শখ আছে এমন মেয়ের সংখ্যা এখন প্রচুর।

এবং তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ছেলেদের লিঙ্গচ্ছেদ করছে। পুরুষরা লজ্জার জন্য এ ঘটনা প্রকাশ করতে পারছে না। তারা বিয়েও করে না। ভণ্ডামী করে সাধু সেজে চিরকুমারের খাতায় নাম লেখায়। আবার দোষ দেয় মেয়েদের।

বলে- মেয়েরা ছলনাময়ী তাই বিয়ে করছি না। খবর্দার! আপনি ভুলেও এসব করতে পারবেন না। তাহলে সবাইকে বলে দেব আপনি বৃহন্নলা। - আপনি বলতে চাচ্ছেন, আপনার মতো হিস্টিরিয়াগ্রন্থ অনেক মেয়ে আছে এবং তাদের দ্বারা অনেক পুরুষ তাদের বিশেষ অঙ্গ হারাচ্ছে? :: আমি বলতে চাচ্ছি না, এ বাস্তব, ধ্র“ব সত্য। সুন্দরী মেয়ে দেখলে যাদের হুস থাকে না শীঘ্রই দেখবেন তাদের অনেকের মাথাই ঠিক হয়ে যাচ্ছে! আর শুনুন, আমি হিস্টিরিয়াগ্রন্থ নই, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ্য একজন তরুণী।

- মিস অহনা... স্যরি শম্পা, আপনি কি আমার একটা অনুরোধ রাখবেন? :: প্লিজ বলুন? - আমার পৌরুষ হারানোর আগে আমি এতো সুন্দর আপনাকে দেখতে চাই। আপনি কি আমার সামনে একটু উম্মেচিত হবেন? :: আপনি চমৎকার করে কথা বলতে পারেন। তবে তা আমার জন্য চমৎকার নয়। - কি ব্যাপার, এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? :: সত্যিই আপনি সুপুরুষ। আপনার ফিগার যেকোনো যুবতীর জন্য লোভনীয় বস্তু।

আপনার অনুরোধ রাখছি। এবং এখনই আমি উম্মেচিত হচ্ছি। সাত. = সেলিম ভাই আমার জানামতে আমাদের কাসে অহনা নামের কোনো মেয়ে নেই। > কি বলছো তুমি, রকিব? = জ্বি ভাই। তবে আপনি যখন বলছেন খুব সুন্দরী তাই শম্পার কথা আমি বলতে পারি।

খুব সুন্দরী। যেমন ফিগার তেমনি চেহারা। কথাও বলে খুব চমৎকার ভাবে। আমার সাথে তার ভাল ভাব। ভাব মানে সে প্রায়ই আমাকে তার বাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ করে।

আমার ভাই এসব ভাল লাগে না কেন... : রবিন, তুমি এসব পরে... > চুপ করো রকিব। তারপর বল রবিন? = আমি বলি ভাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসছি পড়বো। এখানে প্রেম-ট্রেম বাদ। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া কোনো মেয়েকেই আমি বিয়ে করবো না। যাকে বিয়ে করবো না, তাকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে গন্ধ বের হবে।

সে গন্ধ আমার থেকে আর দূর হবে না। পরবর্তীতে এই গন্ধ আমার বউকেও সংক্রামিত করবে। > কেন তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া মেয়েকে বিয়ে করবে না? = খুব যুক্তিহীন কথা ভাই। আমি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই গিয়েছি। অভিজ্ঞতার আলোকে ভাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

> দুই একটি অভিজ্ঞতা বলবে? = রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ব্যবহৃত কনডম, পিল বক্স দেখেছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে ধর্ষণ হচ্ছে দেখেছি। আর জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ-ই দিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি এবং দেখছি। এমনকি আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক মেয়ে- নাম বলবো না।

আমি যে পত্রিকায় কাজ করি সে পত্রিকার রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে আমি সে মেয়েকে ভাড়া খাটতে দেখেছি। তবে ভাল মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না তা আমি বলি না। কিন্তু তাদের আমি কি করে খোঁজে বের করবো? বগুড়ার টাটকা দইয়ের মধ্যে যদি রসগোল্লা, রসমালাই ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে সবার জিহ্বায়-ই রস চলে আসে। কিন্তু সে খাবারে যদি এক ফোটা ময়লা পড়ে তাহলে সবই খাওয়ার অযোগ্য নির্বাচিত হয়। তাছাড়া যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না তারাও যে ভাল, তা না।

নাইনে পড়–য়া মেয়েকেও আমি অ্যাবরেশন হতে দেখেছি। আসলে ভাই... .. . > আচ্ছা ঠিক আছে, রবিন। তোমার কথা অন্য আর একদিন শুনবো। এখন তুমি শম্পার ঠিকানা দাও। দেখি রুদ্রকে পাওয়া যায় কি না।

= এই নিন ভাই কার্ড। এটা শম্পার ঠিকানা। > থ্যাংক-য়ু। রকিব চলো। : চলেন।

আট. :: আমাকে দেখার সাধ মিটেছে? - না, চমৎকার ফিগার তোমার। মেয়েরা যে এতো সুন্দর তা আগে কল্পনাও করতে পারিনি। কি জানি হয়তো প্রথম কোনো নগ্ন মেয়ে দেখছি বলেও এমন মনে হচ্ছে। এতো সুন্দর মেয়েরা কেন যে ছেলেদের ভালবাসে? আমার তো মনে হয় মেয়েরা ছেলেদের অনেক করুণা করে। এবং তুমি যা করছো তা মোটেও অস্বাভাবিক নয়(?)।

:: থ্যাংক য়ু। তুমি এর আগে কোনো নগ্ন মেয়ে দেখোনি? - দূর! কোথায় দেখবো? :: আশ্চর্য! আমি নিজেও কিন্তু আগে কখনো নিজেকে এভাবে নগ্ন করে দেখেনি। অনেক কুমারী মেয়ে নাকি বাথরুমে নগ্ন হয়ে বাথটাবে শুয়ে থাকে। নিজেকে খুঁটিয়ে, খুঁটিয়ে দেখে আয়নায়। অথচ আমি এমন কখনো করিনি।

- তার মানে তুমি এখনো কুমারী? :: হ্যাঁ, অবশ্য তুমি ইচ্ছে করলে আজ আমার হাইমেন ছিঁড়ে দিতে পারো। - কখনো নয়। আমি আমার কুমার জীবন নষ্ট হতে দিতে পারি না। :: তোমার কথা শুনে রাগ হচ্ছে আমার। আমি যা বলি তাই করি।

তোমার হাত ছেড়ে দিচ্ছি। তুমি চেয়ারে বসা অবস্থাতেই সব করবে। পুরুষের কোনো অহংকার সহ্য করতে পারি না। তোমাদের অহংকারের বস্তুতো একটাই আছে, যা আমি সংগ্রহ করছি। এখন সোজা হয়ে বস।

আমি তোমার উপর বসছি। [রুদ্র অনেক ণ যাবৎ এই সুযোগটার অপোয় আছে। সে চাচ্ছে তার হাত অন্তত মুক্ত হোক আর মেয়েটা তার হাতের নাগালে আসুক। কিন্তু মেয়েটাকি তাকে এতো সহজে ধরা দেবে? সে এখন মেয়েটার হাতে বন্দী। তবুও চেষ্টা করতে হবে।

প্রাণপন চেষ্টা। রুদ্র ওকে আদর করছে। পরম আদর!!!]


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।